মো. মহিউদ্দিন আল আজাদ॥
জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্ট (করোনার প্রধানতম উপসর্গ) নিয়ে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল (সদর) হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাত্র কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে ২জন মারা গেছেন। বুধবার মধ্য রাতে ১২টার দিকে এক কিশোরী ও বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এক বৃদ্ধা মারা যান।
হাসপাতাল সূত্রে জানাযায়, দুপর সাড়ে ১২টার দিকে ফরিদগঞ্জের পশ্চিম লাড়ুয়া এলাকার কিশোরী শারমিন (১৪) আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
এর আগে মধ্যরাতে একই উপজেলার নয়ারহাট এলাকার বৃদ্ধা আনোয়ারা হোসেন (৭৫) একই হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে মৃত্যুবরণ করেন।
করোনার সন্দেহভাজন রোগী হিসেবে তাদের দু’জনকে বিশেষ ব্যবস্থায় দাফন করা হবে। শারমিনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে মারা যাওয়ার পর আর আনোয়ারা হোসেনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল বুধবার চিকিৎসাধীন অবস্থায়। তাদের উভয়ের নমুনা ঢাকা আইইআরডিতে পরীক্ষার প্রেরণ করা হয়েছে।
চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডা. সুজাউদ্দৌলা রুবেল এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গত মঙ্গলবার করোনার উপসর্গ নিয়ে বৃদ্ধা আনোয়ারা চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে আসলে সন্দেহভাজন রোগী হিসেবে তাকে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। বুধবার তার করোনা টেস্টের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এরপর বুধবার দিবাগত (বৃহস্পতিবার) মধ্যরাতে তিনি আইসোলেশন ওয়ার্ডেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
অন্যদেকে শারমিন করোনার উপসর্গ নিয়ে বুধবার দিবাগত (বৃহস্পতিবার) রাত সাড়ে ১২টায় চাঁদপুর সদর হসপিটালের আইসোলেশনে ভর্তি হয়েছিল। ভর্তির প্রায় ১২ ঘন্টা পর সে মারা যায়।
ডা. রুবেল আরো জানান, যেহেতু ওই বৃদ্ধার নমুনা আগেই নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল তাই নতুন করে আর নমুনা সংগ্রহের প্রয়োজন নেই। আগে পাঠানো নমুনার রিপোর্ট আসলে নিশ্চিত হওয়া যাবে তিনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন কিনা। অন্যদিকে কিশোরীর নমুনাও সংগ্রহ হয়েছে। রিপোর্ট আসলে তার করোনা আক্রান্তের বিষয়টিও জানা যাবে।
অপর দিকে চাঁদপুর থেকে আইইডিসিআর এ প্রেরণকৃত ১০জনের রিপোর্ট বৃহস্পতিবার সকালে চাঁদপুর এসে পৌঁছেছে। এ গুলোর রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। এর মধ্যে ৫জন পুলিশ ও ১জন ডাক্তারের নমুনাও ছিল।
সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, এখন পর্যন্ত মোট নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ২৩৫জনের। রিপোর্ট এসেছে ১৭৬জনের। রিপোর্ট অপেক্ষমান আছে ৫৯জনের।