অনলাইন ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরানের ক্রমবর্ধমান তীব্র ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তেহরানের আকাশসীমা এড়িয়ে ভারতীয় বিমান চলাচলের নির্দেশনা জারি করেছে নয়াদিল্লি। দেশটির বেসামরিক বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ) এই নির্দেশনা দিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ইরানের আকাশসীমার আক্রান্ত অংশ এড়িয়ে চলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলো। একই সঙ্গে তাদের ফ্লাইট উপযুক্ত রুটে চলাচল করবে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরানের তীব্র উত্তেজনায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা জেনারেল সিভিল এভিয়েশন অথরিটি (জিসিএএ) ফ্লাইটের পথ মূল্যায়নের জন্য দেশটির সব বিমান সংস্থার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
তবে ইরানের বেসামরিক পরিবহন সংস্থা বলছে, বিমান চলাচলের জন্য ইরানের আকাশসীমা নিরাপদ রয়েছে। শনিবার দেশটির আধা-সরকারি সংবাদসংস্থা তাসনিম নিউজ অ্যাজেন্সি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
ইরানের বেসামরিক পরিবহন সংস্থার মুখপাত্র রেজা জাফর জাদেহ বলেছেন, ইরান নিয়ন্ত্রিত পারস্য উপসাগরের আকাশসীমা এবং বিমান চলাচলের অন্যান্য সব রুট সম্পূর্ন নিরাপদ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার মার্কিন সব বিমানসংস্থাকে হরমুজ প্রণালীর কাছে ও ওমান সাগরে ইরান নিয়ন্ত্রিত আকাশসীমা এড়িয়ে চলতে নির্দেশনা জারি করে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল অ্যাভিয়েশন প্রশাসন। ইতোমধ্যে বেশ কিছু আন্তর্জাতিক বিমানসংস্থা ইরানের আকাশসীমা ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করছে।
ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের উত্তেজনার মাঝে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে যুদ্ধের দামামা বাজছে। যুক্তরাষ্ট্রের একটি মনুষ্যবিহীন ড্রোন তেহরান ভূপাতিত করার পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দেশটিতে হামলা চালাতে সামরিক বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সামরিক বাহিনী প্রস্তুতি নিলেও একেবারে শেষ মুহূর্তে এসে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন তিনি।
সিদ্ধান্ত বাতিলের পেছনে ট্রাম্প বলেছেন, হামলায় অন্তত ১৫০ জন ইরানির প্রাণহানি ঘটতো। যেটি তিনি চাননি। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান চরম এই উত্তেজনার মাঝে শনিবার ওয়াশিংটনকে সতর্ক করে দিয়েছে তেহরান। তারা বলছে, ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের বিরুদ্ধে যে কোনো ধরনের আগ্রাসন হলে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন স্বার্থের ওপর ভয়াবহ পরিণাম নেমে আসবে।
সূত্র : পিটিআই, রয়টার্স।