বিদেশ ফেরতরা আদেশ না মানলে গুণতে হবে জেল-জরিমানা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

  • আপডেট: ০২:৩৮:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ মার্চ ২০২০
  • ২৫

অনলাইন ডেস্ক:

বিদেশফেরত বাংলাদেশিদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, বিদেশফেরত সবাইকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। কেউ এর ব্যত্যয় ঘটালে সংক্রমণ ব্যাধির আইন অনুযায়ী তাকে জেল-জরিমানা করা হবে। মঙ্গলবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নতুন ভবনে সমন্বিত নিয়ন্ত্রণকক্ষ উদ্বোধন করে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের ১৭০টি দেশ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। এই দেশগুলো থেকে আসা অনেকেই বিমানবন্দরে প্রাথমিক চিকিৎসা না নিয়ে পালিয়ে গেছেন। তাদের চিহ্নিত করতে মাঠপর্যায়ে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, আক্রান্ত দেশ থেকে আসা সবাইকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। কোয়ারেন্টাইনে থাকা অবস্থায় যদি কারও করোনার লক্ষণ দেখা দেয় তাহলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা জন্য আইইডিসিআরের হটলাইনে যোগাযোগ করতে হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গত দুই মাস আগে থেকে আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। বিভাগীয়, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে আমরা কমিটি গঠন করেছি। ইতিমধ্যে দেশে ১০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। হয়তো দেশে আরও আক্রান্ত থাকতে পারে। দেশে স্থানীয়ভাবে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই আমাদের সতর্কতা আরও বাড়াতে হবে।’

সর্বোচ্চ নিরাপত্তার জন্য স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, এখন যদি কোনো শিক্ষার্থী বাইরে ঘোরাফেরা করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. বর্ধন জং রানাসহ অধিদফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

যেভাবে হ ত্যা করা হয় তরুণ আইনজীবী সাইফলকে

বিদেশ ফেরতরা আদেশ না মানলে গুণতে হবে জেল-জরিমানা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

আপডেট: ০২:৩৮:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ মার্চ ২০২০

অনলাইন ডেস্ক:

বিদেশফেরত বাংলাদেশিদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, বিদেশফেরত সবাইকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। কেউ এর ব্যত্যয় ঘটালে সংক্রমণ ব্যাধির আইন অনুযায়ী তাকে জেল-জরিমানা করা হবে। মঙ্গলবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নতুন ভবনে সমন্বিত নিয়ন্ত্রণকক্ষ উদ্বোধন করে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের ১৭০টি দেশ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। এই দেশগুলো থেকে আসা অনেকেই বিমানবন্দরে প্রাথমিক চিকিৎসা না নিয়ে পালিয়ে গেছেন। তাদের চিহ্নিত করতে মাঠপর্যায়ে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, আক্রান্ত দেশ থেকে আসা সবাইকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। কোয়ারেন্টাইনে থাকা অবস্থায় যদি কারও করোনার লক্ষণ দেখা দেয় তাহলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা জন্য আইইডিসিআরের হটলাইনে যোগাযোগ করতে হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গত দুই মাস আগে থেকে আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। বিভাগীয়, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে আমরা কমিটি গঠন করেছি। ইতিমধ্যে দেশে ১০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। হয়তো দেশে আরও আক্রান্ত থাকতে পারে। দেশে স্থানীয়ভাবে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই আমাদের সতর্কতা আরও বাড়াতে হবে।’

সর্বোচ্চ নিরাপত্তার জন্য স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, এখন যদি কোনো শিক্ষার্থী বাইরে ঘোরাফেরা করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. বর্ধন জং রানাসহ অধিদফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।