হাজীগঞ্জ, ১৭ এপ্রিল, শুক্রবার:
হাজীগঞ্জবাসিকে সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচাতে লকডাউন আরো কঠের হতে হবে। কোন ভাবেই লকডাউনকে দূর্বল করে দেখা ঠিক হবেনা। কারণ ইতোমধ্যে চাঁদপুর সদর, ফরিদগঞ্জ, শাহরাস্তি এবং হাজীগঞ্জের সাথে সরাসরি যোগাযোগ সম্পন্ন উপজেলা রামগঞ্জে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। তাই হাজীগঞ্জ উপজেলায় বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া অন্য উপজেলার গাড়ী ঢুকতে দেয়া মানে হাজীগঞ্জবাসি বিপদে পড়া।
করোনার সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী লক্ষীপুর জেলায় ১৯জন করোনায় আক্রান্ত রয়েছে। এর মধ্যে শুধু রামগঞ্জেই ডাক্তারসহ ১৩জন রয়েছে। একইভাবে ফরিদগঞ্জ উজেলায় একজন, চাঁদপুর সদরে হাজীগঞ্জ লাগোয়া সীমান্তবর্তী রামপুর ইউনিয়নের কামরাঙ্গীতে একজন করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছে। ওই রোগী করোনায় আক্রান্ত ছিল বলে রিপোর্টে জানাগেছে। একইভাবে চাঁদপুরে একই পরিবারের স্বামী -স্ত্রী ও তাদের মেয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। মতলব উত্তরে জেলায় প্রথম করোনা রোগী সনাক্ত হয়েছে। পাশাপাশি মতলব উত্তর হাসপাতালের ডাক্তার সহ ওই উপজেলায় ৪জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে।
চাঁদপুরের মধ্যে মতলবকে বলা হয় করোনার হটস্পট এলাকা। যেহেত মতলব উত্তরের সাথে নৌ পথে করোনার হটস্পট নারায়গঞ্জের যোগাযোগ সহজতর।
এ ছাড়াও শাহরাস্তিতে ২জনের করোনা উপসর্গ রয়েছে এবং একজন করোনা উপসর্গ নিয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছে। তার বাড়ী লকডাউন করা হয়েছে।
জেলায় মতলব দক্ষিণ, হাজীগঞ্জ, কচুয়া এ ৩ উপজেলায় কোন করোন রোগী পাওয়া যায়নি।
হাজীগঞ্জের সুশীল সমাজের দাবী হাজীগঞ্জবাসিকে করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা করতে প্রশাসনকে লকডাউন আরো কঠোর করতে হবে।
হাজীগঞ্জ লাগোয়া লক্ষীপুর জেলাল রামগঞ্জ উপজেলায় ডাক্তার সহ ১৩জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসারসহ একই হাসপাতালের আরও চার কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছে।
রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. গুনময় পোদ্দার জানান, গত ৯ এপ্রিল উপজেলার দাসপাড়া গ্রামের ঢাকার এক পোশাক শ্রমিককে কাশিমনগর এলাকার শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়। পরে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন-নিকটাত্মীয়সহ উপজেলার ৬০ জনের নমুনা সংগ্রহ করে চট্টগ্রামে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। তাদের মধ্যে চিকিৎসক ও হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারী আছেন। পরীক্ষায় তাদের ১৩ জনের করোনা ধরা পড়ে। আক্রান্তের তালিকায় শিশু ও নারীও রয়েছেন।
যেহেতু হাজীগঞ্জের সাথে রামগঞ্জের নিরবিচ্ছিন্ন যোগা-যোগ রয়েছে তাই বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া এ উপজেলার সাথে হাজীগঞ্জের যোগাযোগ ব্যবস্থা সাময়িক বন্ধ করে দেয়া প্রয়োজন।