আফগানিস্তানের ক্রিকেট পরিচালক মোলস

  • আপডেট: ১২:৩৫:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০১৯
  • ৩৯

notunerkotha.com

আফগানিস্তানের ক্রিকেটে দারুণ উন্নতির পেছনে একটা বড়ো ভূমিকা আছে অ্যান্ডি মোলসের। সাবেক এই ইংলিশ ক্রিকেটার ২০১৪ সাল থেকে দেশটির ক্রিকেটে নানা ভূমিকায় জড়িয়ে আছেন। সর্বশেষ বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত একমাত্র টেস্টের সিরিজ ও ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে তিনি দলের প্রধান কোচও ছিলেন। এবার সেই মোলসকে ক্রিকেট পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দিল আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। সেই সঙ্গে ৫৮ বছর বয়সে এই সাবেক কোচ দলটির প্রধান নির্বাচক হিসেবেও কাজ করবেন।

নিউজিল্যান্ড জাতীয় দলের সাবেক কোচ মোলস ২০১৪ সালে আফগানিস্তান জাতীয় দলের কোচ হিসেবে নিয়োগ পান। ২০১৫ সালে আফগানিস্তানকে তাদের ইতিহাসের প্রথম বিশ্বকাপ অভিযানে নিয়ে যান তিনি। এরপর থেকে জাতীয় দলের কোচ না থাকলেও আফগানিস্তানের ক্রিকেট নিয়েই কাজ করতে থাকেন তিনি। মূলত তরুণদের নিয়ে নেওয়া বিভিন্ন প্রকল্প পরিচালনা করেন মোলস। এর মধ্যে অনূর্ধ্ব-১৯ ও অনূর্ধ্ব-২৩ দল নিয়েও কাজ করেন এই সাবেক ক্রিকেটার।

২০১৯ বিশ্বকাপের পর ফিল সিমন্স যখন পদত্যাগ করলেন, সেই জায়গায় আবার প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মোলস। তার অধীনে আফগানিস্তান বাংলাদেশকে হারায় একমাত্র টেস্টে। সেই সঙ্গে ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টেও যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন হয় তারা।

গত সপ্তাহে আফগানিস্তান জাতীয় দলের জন্য নতুন কোচ হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয় ল্যান্স ক্লুজনারের। তিনি ২০২০ সাল পর্যন্ত প্রাথমিকভাবে দলটির দায়িত্ব পালন করবেন। এরপর দুই পক্ষ সম্মত হলে আরো চুক্তি দীর্ঘায়িত হবে।

গত কয়েক বছরে ক্রিকেট বিশ্বে সবচেয়ে বেশি উন্নতি করা দলগুলোর একটা হলো আফগানিস্তান। এবার বিশ্বকাপে একটা রোমাঞ্চ ছড়িয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি নিয়ে তারা গিয়েছিল ইংল্যান্ডে। কিন্তু মাঠের বাইরের বিভিন্ন ঘটনা তাদের অভিযানকে প্রভাবিত করেন। বিশ্বকাপের কয়েক সপ্তাহ আগে নিয়মিত অধিনায়ক আসগর আফগানকে সরিয়ে বিশ্বকাপের দায়িত্ব দেওয়া হয় গুলবাদিন নাইবকে। এর প্রতিবাদ করেন প্রকাশ্যে রশীদ খান, মোহাম্মদ নবীর মতো ক্রিকেটাররা। টুর্নামেন্ট চলা অবস্থায়ও দলে নানারকম বিতর্ক চলেছে। বিশ্বকাপের মধ্যেই ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ শাহাজাদকে হাঁটুর ইনজুরির কথা বলে দেশে পাঠানো হয়। কিন্তু তিনি দেশে ফিরে দাবি করেন, তিনি ফিট আছেন। এর প্রভাবেই নয়টি ম্যাচের সবগুলো হেরে ফেরে তারা।

এই বিশ্বকাপের বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠার দরকার ছিল তাদের। সেই পথে বাংলাদেশকে টেস্টে হারানোটা তাদের একটা বিরাট প্রাপ্তি ছিল। সম্প্রতিই সব ফরম্যাটে দলের দায়িত্ব নেওয়া রশীদ খান সেই টেস্ট জয়ে বড়ো ভূমিকা রাখেন। ফিফটি করেন এবং দুই ইনিংসে ১১টি উইকেট নেন।

আর এই সবকিছুই ঘটে মোলসের অধীনে। যদিও অভিযানের শেষ দিকে তিনি আরো অসুস্থ হয়ে পড়ে বাংলাদেশে চিকিত্সাও গ্রহণ করেন।

Tag :

সম্পাদক ও প্রকাশক:
মোঃ মহিউদ্দিন আল আজাদ

মোবাইল : ০১৭১৭-৯৯২০০৯ (নিউজ) বিজ্ঞাপন : ০১৬৭০-৯০৭৩৬৮
ইমেইলঃ notunerkotha@gmail.com

সমন্বয়ক আর জামায়াতের কারণে ইউনুছ সরকার ব্যর্থ হবে-ইঞ্জি. মমিনুল হক

আফগানিস্তানের ক্রিকেট পরিচালক মোলস

আপডেট: ১২:৩৫:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০১৯

notunerkotha.com

আফগানিস্তানের ক্রিকেটে দারুণ উন্নতির পেছনে একটা বড়ো ভূমিকা আছে অ্যান্ডি মোলসের। সাবেক এই ইংলিশ ক্রিকেটার ২০১৪ সাল থেকে দেশটির ক্রিকেটে নানা ভূমিকায় জড়িয়ে আছেন। সর্বশেষ বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত একমাত্র টেস্টের সিরিজ ও ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে তিনি দলের প্রধান কোচও ছিলেন। এবার সেই মোলসকে ক্রিকেট পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দিল আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। সেই সঙ্গে ৫৮ বছর বয়সে এই সাবেক কোচ দলটির প্রধান নির্বাচক হিসেবেও কাজ করবেন।

নিউজিল্যান্ড জাতীয় দলের সাবেক কোচ মোলস ২০১৪ সালে আফগানিস্তান জাতীয় দলের কোচ হিসেবে নিয়োগ পান। ২০১৫ সালে আফগানিস্তানকে তাদের ইতিহাসের প্রথম বিশ্বকাপ অভিযানে নিয়ে যান তিনি। এরপর থেকে জাতীয় দলের কোচ না থাকলেও আফগানিস্তানের ক্রিকেট নিয়েই কাজ করতে থাকেন তিনি। মূলত তরুণদের নিয়ে নেওয়া বিভিন্ন প্রকল্প পরিচালনা করেন মোলস। এর মধ্যে অনূর্ধ্ব-১৯ ও অনূর্ধ্ব-২৩ দল নিয়েও কাজ করেন এই সাবেক ক্রিকেটার।

২০১৯ বিশ্বকাপের পর ফিল সিমন্স যখন পদত্যাগ করলেন, সেই জায়গায় আবার প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মোলস। তার অধীনে আফগানিস্তান বাংলাদেশকে হারায় একমাত্র টেস্টে। সেই সঙ্গে ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টেও যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন হয় তারা।

গত সপ্তাহে আফগানিস্তান জাতীয় দলের জন্য নতুন কোচ হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয় ল্যান্স ক্লুজনারের। তিনি ২০২০ সাল পর্যন্ত প্রাথমিকভাবে দলটির দায়িত্ব পালন করবেন। এরপর দুই পক্ষ সম্মত হলে আরো চুক্তি দীর্ঘায়িত হবে।

গত কয়েক বছরে ক্রিকেট বিশ্বে সবচেয়ে বেশি উন্নতি করা দলগুলোর একটা হলো আফগানিস্তান। এবার বিশ্বকাপে একটা রোমাঞ্চ ছড়িয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি নিয়ে তারা গিয়েছিল ইংল্যান্ডে। কিন্তু মাঠের বাইরের বিভিন্ন ঘটনা তাদের অভিযানকে প্রভাবিত করেন। বিশ্বকাপের কয়েক সপ্তাহ আগে নিয়মিত অধিনায়ক আসগর আফগানকে সরিয়ে বিশ্বকাপের দায়িত্ব দেওয়া হয় গুলবাদিন নাইবকে। এর প্রতিবাদ করেন প্রকাশ্যে রশীদ খান, মোহাম্মদ নবীর মতো ক্রিকেটাররা। টুর্নামেন্ট চলা অবস্থায়ও দলে নানারকম বিতর্ক চলেছে। বিশ্বকাপের মধ্যেই ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ শাহাজাদকে হাঁটুর ইনজুরির কথা বলে দেশে পাঠানো হয়। কিন্তু তিনি দেশে ফিরে দাবি করেন, তিনি ফিট আছেন। এর প্রভাবেই নয়টি ম্যাচের সবগুলো হেরে ফেরে তারা।

এই বিশ্বকাপের বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠার দরকার ছিল তাদের। সেই পথে বাংলাদেশকে টেস্টে হারানোটা তাদের একটা বিরাট প্রাপ্তি ছিল। সম্প্রতিই সব ফরম্যাটে দলের দায়িত্ব নেওয়া রশীদ খান সেই টেস্ট জয়ে বড়ো ভূমিকা রাখেন। ফিফটি করেন এবং দুই ইনিংসে ১১টি উইকেট নেন।

আর এই সবকিছুই ঘটে মোলসের অধীনে। যদিও অভিযানের শেষ দিকে তিনি আরো অসুস্থ হয়ে পড়ে বাংলাদেশে চিকিত্সাও গ্রহণ করেন।