ক্রিকেটারদের হিংসাও করিনা, তাই বলে কি অভিমানও হবে না?

  • আপডেট: ০২:৪৭:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯
  • ৩৭

অনলাইন ডেস্ক

বর্তমানে দেশের জনপ্রিয় খেলা ক্রিকেট। এক সময় ছিল ফুটবল। কিন্তু ক্রমে ক্রিকেটের আগ্রাসনে ফুটবলের কথা অনেকেই ভুলে গেছেন। এখন তো পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে, ক্রিকেটের তারকাখ্যাতির কাছে পাত্তা পান না অন্য খেলার খেলোয়াড়রা। যেমন রোমান সানা।

গত শুক্রবার এশীয় র‌্যাংকিং আর্চারিতে সোনা জিতে দেশকে গর্বিত করেছেন তিনি। ১৯৮৬ সালে সিউল এশিয়ান গেমসে বক্সিংয়ে মোশাররফ হোসেনের ব্রোঞ্জ জয় ছিল এতদিন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ অর্জন। এবার দেশকে আন্তর্জাতিক সম্মান উপহার দিয়েও বিনিময়ে কিছু পাননি রোমান সানা। আজ সোমবার দেশে ফিরে তাই নিজের কষ্টের কথা গোপন করেননি।
দেশবাসীকে সোনার পদক উৎসর্গ করা রোমান সানা সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের দেশে ক্রিকেটে একটা সিরিজ জিতলেই ক্রিকেটাররা বাড়ি গাড়ি পেয়ে যান। অথচ ২০৯ জনকে পেছনে ফেলে বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ জিতেও আমরা কিছু পাই না। দেশকে সাফল্য এনে দিলাম। কিছু পাওয়ার আশা তো থাকে। আমরা গাড়ি-বাড়ি চাই না। লাখ টাকা বেতনও চাই না। আমরা একটা নিশ্চিন্ত জীবনের স্বপ্ন দেখি। সেটা কি খুব বেশি কিছু?

রোমান সানা তার খেলা নিয়ে দিনরাত মগ্ন থাকতে পারেন না। মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান রোমানকে তো সংসার চালাতে হবে। তাই বাংলাদেশ আনসারে সাধারণ একটা চাকরি করেন তিনি। এত প্রতিবন্ধকতার পরেও খেলা ছাড়েননি তিনি। নিজের জন্য এবং দেশের জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।

আন্তর্জাতিক পদক জেতার পর নিজের ফেডারেশন বা ক্রীড়া মন্ত্রণালয় তাকে কোনো পুরস্কারও দেয়নি। কেউ কিছু না দিলেও অলিম্পিকের জন্য প্রস্তুত হবেন রোমান সানা। দেশকে আবারও সম্মান এনে দেয়াই তার লক্ষ্য। বড় কিছু আশা করেন না তিনি, ক্রিকেটারদের হিংসাও করেন না, তাই বলে কি অভিমানও হবে না?

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

‘ম্যানেজ করে’ এক সাথে দুই স্বামীর সংসার করছিলেন জান্নাতুল!

ক্রিকেটারদের হিংসাও করিনা, তাই বলে কি অভিমানও হবে না?

আপডেট: ০২:৪৭:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯

অনলাইন ডেস্ক

বর্তমানে দেশের জনপ্রিয় খেলা ক্রিকেট। এক সময় ছিল ফুটবল। কিন্তু ক্রমে ক্রিকেটের আগ্রাসনে ফুটবলের কথা অনেকেই ভুলে গেছেন। এখন তো পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে, ক্রিকেটের তারকাখ্যাতির কাছে পাত্তা পান না অন্য খেলার খেলোয়াড়রা। যেমন রোমান সানা।

গত শুক্রবার এশীয় র‌্যাংকিং আর্চারিতে সোনা জিতে দেশকে গর্বিত করেছেন তিনি। ১৯৮৬ সালে সিউল এশিয়ান গেমসে বক্সিংয়ে মোশাররফ হোসেনের ব্রোঞ্জ জয় ছিল এতদিন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ অর্জন। এবার দেশকে আন্তর্জাতিক সম্মান উপহার দিয়েও বিনিময়ে কিছু পাননি রোমান সানা। আজ সোমবার দেশে ফিরে তাই নিজের কষ্টের কথা গোপন করেননি।
দেশবাসীকে সোনার পদক উৎসর্গ করা রোমান সানা সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের দেশে ক্রিকেটে একটা সিরিজ জিতলেই ক্রিকেটাররা বাড়ি গাড়ি পেয়ে যান। অথচ ২০৯ জনকে পেছনে ফেলে বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ জিতেও আমরা কিছু পাই না। দেশকে সাফল্য এনে দিলাম। কিছু পাওয়ার আশা তো থাকে। আমরা গাড়ি-বাড়ি চাই না। লাখ টাকা বেতনও চাই না। আমরা একটা নিশ্চিন্ত জীবনের স্বপ্ন দেখি। সেটা কি খুব বেশি কিছু?

রোমান সানা তার খেলা নিয়ে দিনরাত মগ্ন থাকতে পারেন না। মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান রোমানকে তো সংসার চালাতে হবে। তাই বাংলাদেশ আনসারে সাধারণ একটা চাকরি করেন তিনি। এত প্রতিবন্ধকতার পরেও খেলা ছাড়েননি তিনি। নিজের জন্য এবং দেশের জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।

আন্তর্জাতিক পদক জেতার পর নিজের ফেডারেশন বা ক্রীড়া মন্ত্রণালয় তাকে কোনো পুরস্কারও দেয়নি। কেউ কিছু না দিলেও অলিম্পিকের জন্য প্রস্তুত হবেন রোমান সানা। দেশকে আবারও সম্মান এনে দেয়াই তার লক্ষ্য। বড় কিছু আশা করেন না তিনি, ক্রিকেটারদের হিংসাও করেন না, তাই বলে কি অভিমানও হবে না?