ক্রীড়া ডেস্ক:
আফগানিস্তানের প্রথম ইনিংসের ৩৪২ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে বিপর্যয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর আসা-যাওয়ার মিছিলে যোগ দেন দলের দুই সিনিয়র ব্যাটসম্যান সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। রশিদ খানের একই ওভারে দু’জনেই মাঠ ছাড়েন। সাকিবকে (১১) এলবির ফাঁদে ফেলে পরে মুশফিককে ক্যাচে পরিণত করেন রশিদ। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৪৭ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪২ রান করেছে বাংলাদেশ।
দলীয় ও ব্যক্তিগত শূন্য রানে ইয়ামিন আহমেদ জাইয়ের বলে বিদায় নেন ওপেনার শাদমান ইসলাম। উইকেটরক্ষক আফসার জাজাইকে ক্যাচ দেন এই বাঁহাতি। লিটন দাশের সঙ্গে হালকা জুটি গড়ে দলীয় ২০তম ওভারে আর টিকতে পারলেন না সৌম্য সরকার। মোহাম্মদ নবীর বলে ব্যক্তিগত ১৭ রানে এলবি হয়ে ফেরেন।
রশিদ খানের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন লিটন। ৬৬ বলে ৩টি চার ও এক ছক্কায় ৩৩ করেন এই ডানহাতি। এর আগে চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় আরও ৭১ রান যোগ করে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৩৪২ রানে থামে আফগানিস্তান। দ্বিতীয় দিন আসগর আফগান সেঞ্চুরি বঞ্চিত হলেও, রশিদ খানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৩০০ রান পেরিয়ে যায় সফরকারীরা।
আজ শুক্রবার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় দিনের খেলায় মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ-আফগানিস্তান। দিনের শুরুতেই আসগর আফগানকে ফিরিয়ে দেন তাইজুল ইসলাম। সেঞ্চুরি বঞ্চিত সাবেক এই অধিনায়ক ১৭৪ বলে ৩টি চার ও দুটি ছক্কায় ৯২ করে উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমকে ক্যাচ দেন। পরে ৪১ রানে থাকা আফসার জাজাইকে বোল্ড করেন এই বাঁহাতি।
কাইস আহমেদকে মুমিনুল হকের ক্যাচ বানিয়ে নিজের প্রথম উইকেট তুলে নেন সাকিব আল হাসান। ইয়ামিন আহমেদ জাইকেও ফেরান সাকিব। তবে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা আফগান অধিনায়ক রশিদ খানকে বিদায় করে প্রতিপক্ষের ইনিংসের সমাপ্তি ঘটান মেহেদি হাসান মিরাজ। ৬১ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় ৫১ করে রশিদ।
বাংলাদেশ বোলারদের মধ্যে তাইজুল ৪টি, নাঈম হাসান ও সাকিব দুটি, আর মাহমুদউল্লা ও মিরাজ একটি করে উইকেট পান।
এর আগে সিরিজের একমাত্র টেস্টের প্রথম দিন ৫ উইকেট হারিয়ে ২৭১ রান করেছিল আফগানরা। প্রথম দিন রহমত শাহ’র সেঞ্চুরিতে (১০২) বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রতিরোধ গড়ে আফগানরা। আর ৮৮ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন আসগর আফগান। ৩৫ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন আফসার জাজাই।
প্রথম দিন বাংলাদেশ বোলারদের মধ্যে দুটি করে উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম ও নাঈম হাসান। একটি উইকেট পান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সাকিব আল হাসানকে হটিয়ে টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে দ্রুততম ১০০ উইকেটের মালিক হন তাইজুল।