সফরমালী গো হাটে মলম পাটির দৌরত্বে অতিষ্ঠ ক্রেতা বিক্রেতা

  • আপডেট: ০২:১৫:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ অগাস্ট ২০১৯
  • ৯০

স্টাফ রিপোর্টার:
চাঁদপুর সদর উপজেলার একমাত্র ইজারা বিহীন জেলার শ্রেষ্ঠ সফরমালীর গোহাটে মলম পাটিদের দৌরত্ব বেড়েই চলছে। প্রতি হাটেই কোন না কোন ব্যবসায়ী, ক্রেতার পকের কাটাসহ বিভিন্ন কৌশলে টাকা পয়সা চুরি অব্যাহত রয়েছে। গত সোমবারের হাটে প্রায় দেড় লাখ টাকা মলম পাটিরা ক্রেতা বিক্রেতার কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে। বাজার কমিটি এ বিষয়ে একে বারে উদাশিন বলে ব্যবসায়ী ও ক্রেতা সাধারন জানিয়েছে। গরু ক্রয় বিক্রয় করা উভয়ের কাছ থেকেই রশিদ দিয়ে টাকা উত্তোলন করলে ও বাজারের নিরাপত্তা নিয়ে ক্রেতা বিক্রেতার মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। এ ভাবে বাজারটি চলতে থাকলে যে কোন সময় প্রানহানীর আংশকা করছে এলাকাবাসী।
এদিকে শনিবার সকালে বাজারের বাশের আড়ার সাথে গরু বাদা নিয়ে দুপক্ষের মাঝে বাকবিতর্ক হয়েছে। স্থানীয়দের সহযোগীতায় বিষয়টি নিষ্পতি হলে ও বাজারের আশপাশের মানুষের মাঝে ঘটনাটি নিয়ে নানাহ প্রশ্ন বিরাজ করছে।
সফরমালীর গো হাটটি জেলার মধ্যে একমাত্র বড় বাজার হওয়া সত্ত্বে ও এ বাজারটি সরকারি ভাবে কোন প্রকার ইজারা এখন পর্যন্ত হয়নি। সরকারি ভাবে ইজারা না হওয়ায় প্রতি বছর এখান থেকে লাখ টাকা সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। এ নিয়ে এলাকার সচেতন মহলের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রীয়া বিরাজ করছে।
প্রতি বছর এ বাজারটি ইজারা হলে সরকারি কোশাঘারে লাখ লাখ টাকা জমা পড়বে বলে এলাকাবাসী দাবি করেছে। দীর্ঘ দিন যাবৎ এ বাজারটি একটি পরিবারের কাছে জিম্বি রয়েছে। তারা এলাকার কিছু ব্যাক্তিদের ম্যানেজ করে বাজারটি পরিচালনা করে আসছে। বাজারটি ইজারার মাধ্যমে পরিচালনা করার জন্য এলাকাবাসী জেলা প্রশাসকসহ প্রশাসনের সকলের কাছে দাবি জানিয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, সফরমালীর গো হাটটি প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকেই এক পরিবারের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। এ বাজারটি প্রতি সপ্তাহের সোমবার বসে, প্রতি বাজারে এখানে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সড়ক ও নৌ পথে কয়েক হাজার গরু আসে। এ বাজারে গরু আমদানি ও রপ্তানি বেশি হওয়ায় জেলা ও জেলার বাহির থেকে শত শত ক্রেতা ও বিক্রেতার এখানে মিলন মেলা এখানে ঘটে। আর এ বাজারে গরু সড়ক পথে নেওয়ার জন্য প্রায় শতাধিক ট্র্যাক ও নসিমন আসে। এ যানবাহনগুলো নিবিঘেœ যাতায়েত করছে। কিন্তু যানবাহনগুলো যাতায়েতের কারনে সরকারের কোটি কোটি টাকা ব্যায় নির্মত সড়কগুলো নষ্ট হচ্ছে, আর সে বাজারেই সরকারের কোন প্রকার ইজারা না থাকার কারনে বাজারে আগত ব্যাক্তিদের মাঝে নানাহ প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। প্রশাসনের চোখের অন্তঃরালে কিভাবে বাজারটি ব্যাক্তি মালিকানা ধারা পরিচালনা হচ্ছে, এ নিয়ে জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া বিরাজ করছে।
তাই বাজারটি দ্রুত প্রজ্ঞাপন জারি করে ইজারার ব্যবস্থা করার জন্য স্থানীয়রা প্রশাসনের জোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।

Tag :

সম্পাদক ও প্রকাশক:
মোঃ মহিউদ্দিন আল আজাদ

মোবাইল : ০১৭১৭-৯৯২০০৯ (নিউজ) বিজ্ঞাপন : ০১৬৭০-৯০৭৩৬৮
ইমেইলঃ notunerkotha@gmail.com

দেশে HMPV ভাইরাসে আক্রান্ত নারীর মৃত্যু, বাড়ছে আতঙ্ক

সফরমালী গো হাটে মলম পাটির দৌরত্বে অতিষ্ঠ ক্রেতা বিক্রেতা

আপডেট: ০২:১৫:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ অগাস্ট ২০১৯

স্টাফ রিপোর্টার:
চাঁদপুর সদর উপজেলার একমাত্র ইজারা বিহীন জেলার শ্রেষ্ঠ সফরমালীর গোহাটে মলম পাটিদের দৌরত্ব বেড়েই চলছে। প্রতি হাটেই কোন না কোন ব্যবসায়ী, ক্রেতার পকের কাটাসহ বিভিন্ন কৌশলে টাকা পয়সা চুরি অব্যাহত রয়েছে। গত সোমবারের হাটে প্রায় দেড় লাখ টাকা মলম পাটিরা ক্রেতা বিক্রেতার কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে। বাজার কমিটি এ বিষয়ে একে বারে উদাশিন বলে ব্যবসায়ী ও ক্রেতা সাধারন জানিয়েছে। গরু ক্রয় বিক্রয় করা উভয়ের কাছ থেকেই রশিদ দিয়ে টাকা উত্তোলন করলে ও বাজারের নিরাপত্তা নিয়ে ক্রেতা বিক্রেতার মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। এ ভাবে বাজারটি চলতে থাকলে যে কোন সময় প্রানহানীর আংশকা করছে এলাকাবাসী।
এদিকে শনিবার সকালে বাজারের বাশের আড়ার সাথে গরু বাদা নিয়ে দুপক্ষের মাঝে বাকবিতর্ক হয়েছে। স্থানীয়দের সহযোগীতায় বিষয়টি নিষ্পতি হলে ও বাজারের আশপাশের মানুষের মাঝে ঘটনাটি নিয়ে নানাহ প্রশ্ন বিরাজ করছে।
সফরমালীর গো হাটটি জেলার মধ্যে একমাত্র বড় বাজার হওয়া সত্ত্বে ও এ বাজারটি সরকারি ভাবে কোন প্রকার ইজারা এখন পর্যন্ত হয়নি। সরকারি ভাবে ইজারা না হওয়ায় প্রতি বছর এখান থেকে লাখ টাকা সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। এ নিয়ে এলাকার সচেতন মহলের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রীয়া বিরাজ করছে।
প্রতি বছর এ বাজারটি ইজারা হলে সরকারি কোশাঘারে লাখ লাখ টাকা জমা পড়বে বলে এলাকাবাসী দাবি করেছে। দীর্ঘ দিন যাবৎ এ বাজারটি একটি পরিবারের কাছে জিম্বি রয়েছে। তারা এলাকার কিছু ব্যাক্তিদের ম্যানেজ করে বাজারটি পরিচালনা করে আসছে। বাজারটি ইজারার মাধ্যমে পরিচালনা করার জন্য এলাকাবাসী জেলা প্রশাসকসহ প্রশাসনের সকলের কাছে দাবি জানিয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, সফরমালীর গো হাটটি প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকেই এক পরিবারের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। এ বাজারটি প্রতি সপ্তাহের সোমবার বসে, প্রতি বাজারে এখানে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সড়ক ও নৌ পথে কয়েক হাজার গরু আসে। এ বাজারে গরু আমদানি ও রপ্তানি বেশি হওয়ায় জেলা ও জেলার বাহির থেকে শত শত ক্রেতা ও বিক্রেতার এখানে মিলন মেলা এখানে ঘটে। আর এ বাজারে গরু সড়ক পথে নেওয়ার জন্য প্রায় শতাধিক ট্র্যাক ও নসিমন আসে। এ যানবাহনগুলো নিবিঘেœ যাতায়েত করছে। কিন্তু যানবাহনগুলো যাতায়েতের কারনে সরকারের কোটি কোটি টাকা ব্যায় নির্মত সড়কগুলো নষ্ট হচ্ছে, আর সে বাজারেই সরকারের কোন প্রকার ইজারা না থাকার কারনে বাজারে আগত ব্যাক্তিদের মাঝে নানাহ প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। প্রশাসনের চোখের অন্তঃরালে কিভাবে বাজারটি ব্যাক্তি মালিকানা ধারা পরিচালনা হচ্ছে, এ নিয়ে জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া বিরাজ করছে।
তাই বাজারটি দ্রুত প্রজ্ঞাপন জারি করে ইজারার ব্যবস্থা করার জন্য স্থানীয়রা প্রশাসনের জোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।