মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্ :
হাজীগঞ্জের বীরমুক্তিযোদ্ধা শাহাবুদ্দিন মজুমদার টেলুর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) বাদ জোহর চট্টগ্রাম নয়া-বাজার জমাদার জামে মসজিদে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এর আগে বুধবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে তিনি চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
মরহুম শাহাবুদ্দিন মজুমদার হাজীগঞ্জ উপজেলার কালচোঁ উত্তর ইউনিয়নের খিলপাড়া গ্রামের মজমুদার বাড়ির মৃত আব্দুল হান্নান মজুমদারের ছেলে। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। তিনি স্ত্রী, ৩ মেয়ে ও নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
জানা গেছে, ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে শাহাবুদ্দিন মজুমদার টেলু প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ করেন। তিনি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কাজে সম্পৃক্ত ছিলেন। চাকরির সুবাদে চট্টগ্রামে বসবাস করলেও তিনি নিজ এলাকা হাজীগঞ্জের খিলপাড়া গ্রামে নিয়মিত আসা-যাওয়া এবং পারিবারিক ও সামাজিক কাজে অংশগ্রহন করতেন।
চাকরি পরবর্তী সময়ে শাহাবুদ্দিন মজুমদার মুক্তিযুদ্ধ ও প্রাচীন সময়কাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত মুদ্রা (টাকা) বিষয়ক তথ্য সংগ্রহ (গবেষণা) এবং বই কিংবা প্রসপেক্টাসের মাধ্যমে প্রকাশ করতেন। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন সংগঠন প্রতিষ্ঠা করে নিয়মিত সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কাজে জড়িয়ে রাখতেন।
সম্প্রতি ব্রেনস্টোক করে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন শাহাবুদ্দিন মজুমদার। এরপর থেকে তিনি চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন এবং সেখানেই তিনি ১৪ আগস্ট, বুধবার দিবাগত রাত আনুমানিক তিনটার দিকে মৃত্যুবরণ করেন। বৃহস্পতিবার জানাযা শেষে তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
কালচোঁ উত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মানিক হোসেন প্রধানীয়া ও পরিবারের পক্ষ থেকে শাহাবুদ্দিন মজুমদারের মৃত্যু ও দাফনের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। এ দিকে শাহাবুদ্দিন মজুমদারের মৃত্যুতে তাঁর নিজ গ্রাম ও চট্টগ্রাম নয়াবাজার এলাকায় এবং বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে।