• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২৭ জানুয়ারি, ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট : ২৭ জানুয়ারি, ২০২৪

হাজীগঞ্জ ফোরামের উৎসবে শত ধরনের পিঠাপুলি

অনলাইন ডেস্ক
[sharethis-inline-buttons]

গ্রামবাংলার শীতের অন্যতম ঐতিহ্য পিঠাপুলি। শীত এলেই এই পিঠাপুলি খাওয়ার ধুম পড়ে যায়। সেই পিঠাপুলির মধুর ঘ্রাণেই মুখরিত এখন চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ। শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) বিকালে বিজনেস পার্ক ট্রেড সেন্টারের ফুড লাভার্স এন্ড পার্টি সেন্টারে শুরু হয়েছে এ পিঠা উৎসব। হাজীগঞ্জ ফোরাম আয়োজিত দুই দিনব্যাপী পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাজীগঞ্জ ও ফরিদগঞ্জ সার্কেল) পঙ্কজ কুমার দে।

ফোরামের সদস্য সচিব ব্যারিস্টার শাহরিয়ার আহমেদের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পঙ্কজ কুমার দে বলেন, গ্রামীণ সংস্কৃতির অন্যতম উপাদান পিঠাপুলি। এ পিঠাপুলির উৎসবের আয়োজন আমাদেরকে সংস্কৃতির কথা মনে করিয়ে দেয়। এটা শুধু একটি উৎসব নয়, এটা নাগরিক জীবনের যান্ত্রিকতার মাঝে নির্মল আনন্দের খোরাকও। তাই আবহমান বাংলার সংস্কৃতির চিরন্তন উপাদান তুলে ধরার জন্য আয়োজক কমিটিকে ধন্যবাদ জানান।

ফোরামের সদস্য জাহিদ হাসানের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, হাজীগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মিন্টু কুমার দত্ত, উৎসব বাস্তবায়ন কমিটির পক্ষে অধ্যাপক এস.এম চিশতী ও মহিউদ্দিন আল আজাদ প্রমুখ। বক্তব্য শেষে পিঠা উৎসবের স্টল ঘুরে দেখেন অতিথিবৃন্দ।

পিঠা উৎসব ঘুরে দেখা যায়, পিঠার স্টলগুলো জমেছে বেশ। শিশুদের নিয়ে বাবা-মাসহ পরিবারের সদস্য, বন্ধু-স্বজনদের নিয়ে অনেকেই এসেছিলেন গ্রামবাংলার পিঠার স্বাদ নিতে। বেশিরভাগ মানুষেরই আগ্রহের পিঠা ছিল মিষ্টি জাতীয়। তবে ঝাল-টক পিঠা এবং কেক, পায়েসেও ছিল না অরুচি। উৎসব প্রাঙ্গণের উন্মুক্ত মঞ্চে বেলা ৩টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত থাকছে নাচ, গান, আবৃত্তিসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।

উৎসবে ইশার পিঠা ঘর, রাধুনী মার্ট, সাজদা দি কেক স্টোরি, আনিশা পিঠা ঘর, গোপাল ঘর, ফুডপিক, সাথী শখের হাঁড়ি ঘর, নবান্ন পিঠা ঘর, শিউলী ফুড জোন, ইয়াম্মি কেক, মারিয়া ইয়াম্মি ক্যার্ভেস, দিয়া ফ্যাশনসহ নারী উদ্যোক্তাদের ২০টি স্টলে প্রায় শতাধিক পদের পিঠা নিয়ে হাজির হয়েছেন উপজেলার পিঠাশিল্পীরা।

যার মধ্যে ছিল, নকশি পিঠা, কদম পুলি, ডিম সুন্দরী, ভাপে রোল, বল পিঠা, ইলিশ পিঠা, আস্কে পিঠা, নারকেল পুর, তিলের পিঠা, লাচ্ছা পিঠা, মুগ পাকন, তিলে ডোনাট, তালের কোন ছাইন্না পিঠা, ডিম চপ, লিচু পিঠা, ফুড কাস্টার, মেমো, শিউলী ফুলের পিঠা, তালের বরা, শাহি পায়েস, ঝাড় কেক, পাটি সাপটা, কমলা পিঠা, চিংড়ি মাছের পিঠা, নারকেল পুলি ডিম পুলি, নারকেল পাক্কন, সবজি পাকড়া, সুজির পিঠা, ফুল পিঠা, চিতল পিঠার পায়েস, তিল পিঠা, কাউনের চালের মিস্টান্ন।

এছাড়া রয়েছে ক্ষিরের সন্দেস, ভাপ পুলি, চিড়া মোয়া, নারকেল বাটা, কুচার সন্দেশ, ক্ষীরের পাটি সাপটা, ভাজা পুলি, সেমাই পিঠা, ঝালের নাড়ু, ডিমের পিঠা, পুডিং, ক্ষীর পাটি, খেজুর রসের পায়েস, তিল পুলি পিঠা, চিকন রোল, ডিমের কেক, কাপ কেক, জেনাট কেক, রেড ভেলবেট, অরেঞ্জ কেক, মিনি কেক, বেন্টু কেক, জার কেক, মিনি কেক, মালাই কেক, ক্রীম কুনফো, নবাবি সেমাই, পোয়া পিঠা, শিম ফুল পিঠা, গোটা পিঠা, এলোজেলে পিঠা, ছিড়ার মোয়া, নাড়ু, চন্দ্র কাটা পিঠা, হাসের মাংস, চালের রুটি ও পায়েসসহ বাহারি পিঠা।

Sharing is caring!

[sharethis-inline-buttons]

আরও পড়ুন

  • অন্যান্য এর আরও খবর
error: Content is protected !!