ছেলে ধরা গুজব প্রতিহত করতে কচুয়া থানার ওসির বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা

  • আপডেট: ০৩:৩৪:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জুলাই ২০১৯
  • ৬৮

ওমর ফারুক সাইম, কচুয়া॥
ছেলে ধরা সন্দেহে কোন ব্যক্তিকে আক্রমন না করে সরাসরি পুলিশকে কিংবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করতে অনুরোধ জানিয়ে এ সচেতনতামূলক কর্মসূচির আওতায় কচুয়ার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা করা হচ্ছে। ২৪ জুলাই বুধবার সকাল থেকে ছেলে ধরা গুজব প্রতিহত করতে কচুয়া থানার ওসি মোঃ ওয়ালিউল্লাহ জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে এ কর্মসূচির আয়োজন করেন।
কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ওয়ালিউল্লাহ অলি বুধবার সকালে কচুয়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় এবং হযরত শাহ্ নেয়ামতশাহ্ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় করেন। মতবিনিময় কালে মোঃ ওয়ালিউল্লাহ (অলি) শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ছেলে ধরা গুজবের সম্পর্কে আমরা সবাই জানি। ছেলে ধরার নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাগল, অসুস্থ এবং অসহায় লোকদের গনপিটুনি দিয়ে আহত এবং নিহতের ঘটনা ঘটেছে। যারা গনপিটুনিতে অংশগ্রহণ করেছে এবং এ গুজব ছড়িয়েছে তাদের কিছু লোককে আইনের আওতায় আনা হয়েছে এবং বাকীদেরও আইনের আওতায় এনে শাস্তি প্রদান করা হবে। পদ্মা সেতু তৈরি করতে মানুষের মাথা লাগবে একথাটা স্রেফ গুজব। এর কোন ভিত্তি নেই। কিন্তু একটি অসাধু চক্র এ কথাটিকে পুঁজি করে গুজব ছড়িয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। তোমরা বাড়ি গিয়ে তোমাদের অভিভাবকদের জানাবে পদ্মা সেতুতে মানুষের মাথা লাগবে একথাটি গুজব। কাউকে সন্দেহ করে আইন নিজের হাতে তোলা যাবে না। যদি কাউকে সন্দেহ হয় তাহলে ঐ ব্যক্তিকে সরাসরি পুলিশের হাতে তুলে দিতে হবে। তোমাদের কিছু সহপাঠীরা এ গুজবে আতঙ্কিত হয়ে স্কুলে আসে তোমরা এ শিক্ষার্থীদের এবং তাদের অভিভাবকদের গিয়ে বিষয়টি বুঝাবে যাতে করে তোমাদের অনান্য সহপাঠীরা এই আতঙ্কটি কাটিয়ে তোমাদের সাথে পুনরায় নিয়মিত স্কুলে আসতে পারে।
তিনি আরো বলেন, আমরা ইতিপূর্বে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে জনসচেতনতা করতে মাইকিং করেছিলাম বর্তমানে পুনরায় সর্বত্র উপজেলায় আমরা মাইকিং করা সহ লিফলেট বিতরণ করব।
এসময় কচুয়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যায়ের বিদ্যালয়ে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বাসিরউদ্দীন, আবুল বাশার, জাকির হোসেন, এমদাদ হোসেন, শিল্পি রানী, আঃ হাই, কচুয়া থানার এএসআই নাসিরউদ্দীনসহ বিদ্যালয়ের প্রায় ৬ শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল।
অপরদিকে হযরত শাহ্ নেয়ামতশাহ্ উচ্চ বিদ্যালয়ে জনসচেতনতা মূলক সভায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ইলিয়াস মিয়া, সহকারী শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন, রুহুল আমিন, আবুল কালাম, হিমেল, সুমি রাণী, সুফিয়া বেগমসহ বিদ্যালয়ের প্রায় ৪ শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল।
একইদিনে কচুয়ার রহিমানগর বিএবি উচ্চ বিদ্যালয়ে কচুয়া থানার ওসি (তদন্ত) শাহজাহান কামাল শিক্ষার্থীদের সচেতন করার লক্ষে শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় করেন।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

মেঘনায় ইলিশ ধরার সময় কৃষি ব্যাংকের এজিএমসহ ১৪ জেলে আটক

ছেলে ধরা গুজব প্রতিহত করতে কচুয়া থানার ওসির বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা

আপডেট: ০৩:৩৪:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জুলাই ২০১৯

ওমর ফারুক সাইম, কচুয়া॥
ছেলে ধরা সন্দেহে কোন ব্যক্তিকে আক্রমন না করে সরাসরি পুলিশকে কিংবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করতে অনুরোধ জানিয়ে এ সচেতনতামূলক কর্মসূচির আওতায় কচুয়ার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা করা হচ্ছে। ২৪ জুলাই বুধবার সকাল থেকে ছেলে ধরা গুজব প্রতিহত করতে কচুয়া থানার ওসি মোঃ ওয়ালিউল্লাহ জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে এ কর্মসূচির আয়োজন করেন।
কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ওয়ালিউল্লাহ অলি বুধবার সকালে কচুয়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় এবং হযরত শাহ্ নেয়ামতশাহ্ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় করেন। মতবিনিময় কালে মোঃ ওয়ালিউল্লাহ (অলি) শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ছেলে ধরা গুজবের সম্পর্কে আমরা সবাই জানি। ছেলে ধরার নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাগল, অসুস্থ এবং অসহায় লোকদের গনপিটুনি দিয়ে আহত এবং নিহতের ঘটনা ঘটেছে। যারা গনপিটুনিতে অংশগ্রহণ করেছে এবং এ গুজব ছড়িয়েছে তাদের কিছু লোককে আইনের আওতায় আনা হয়েছে এবং বাকীদেরও আইনের আওতায় এনে শাস্তি প্রদান করা হবে। পদ্মা সেতু তৈরি করতে মানুষের মাথা লাগবে একথাটা স্রেফ গুজব। এর কোন ভিত্তি নেই। কিন্তু একটি অসাধু চক্র এ কথাটিকে পুঁজি করে গুজব ছড়িয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। তোমরা বাড়ি গিয়ে তোমাদের অভিভাবকদের জানাবে পদ্মা সেতুতে মানুষের মাথা লাগবে একথাটি গুজব। কাউকে সন্দেহ করে আইন নিজের হাতে তোলা যাবে না। যদি কাউকে সন্দেহ হয় তাহলে ঐ ব্যক্তিকে সরাসরি পুলিশের হাতে তুলে দিতে হবে। তোমাদের কিছু সহপাঠীরা এ গুজবে আতঙ্কিত হয়ে স্কুলে আসে তোমরা এ শিক্ষার্থীদের এবং তাদের অভিভাবকদের গিয়ে বিষয়টি বুঝাবে যাতে করে তোমাদের অনান্য সহপাঠীরা এই আতঙ্কটি কাটিয়ে তোমাদের সাথে পুনরায় নিয়মিত স্কুলে আসতে পারে।
তিনি আরো বলেন, আমরা ইতিপূর্বে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে জনসচেতনতা করতে মাইকিং করেছিলাম বর্তমানে পুনরায় সর্বত্র উপজেলায় আমরা মাইকিং করা সহ লিফলেট বিতরণ করব।
এসময় কচুয়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যায়ের বিদ্যালয়ে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বাসিরউদ্দীন, আবুল বাশার, জাকির হোসেন, এমদাদ হোসেন, শিল্পি রানী, আঃ হাই, কচুয়া থানার এএসআই নাসিরউদ্দীনসহ বিদ্যালয়ের প্রায় ৬ শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল।
অপরদিকে হযরত শাহ্ নেয়ামতশাহ্ উচ্চ বিদ্যালয়ে জনসচেতনতা মূলক সভায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ইলিয়াস মিয়া, সহকারী শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন, রুহুল আমিন, আবুল কালাম, হিমেল, সুমি রাণী, সুফিয়া বেগমসহ বিদ্যালয়ের প্রায় ৪ শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল।
একইদিনে কচুয়ার রহিমানগর বিএবি উচ্চ বিদ্যালয়ে কচুয়া থানার ওসি (তদন্ত) শাহজাহান কামাল শিক্ষার্থীদের সচেতন করার লক্ষে শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় করেন।