হাজীগঞ্জে খাবার হোটেল ও মিস্টির দোকানসহ ৪টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ৩৬ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। রবিবার (২৯ মে) হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রিট মো. রাশেদুল ইসলাম এ অভিযান পরিচালনা করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাশেদুল ইসলাম তাঁর ফেইসবুকে লিখেন কি খাচ্ছি আর কি কিনছি আমরা, এতে ব্যবসায়ীরা তাদের নৈতিকতা ও বিশ্বাস হারিয়ে ফেলছে।
তিনি আরো জানান, ময়দার ৫৫ কেজির বস্তায় ৩ কেজি কম, মিস্টির দোকানে মিস্টি আর পোকা যেন পাশাপাশি সহাবস্থান। নোংরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে প্রস্তুত মিষ্টির সিরা, হোটেলের রান্নাঘর যেন ভাগাড়, ময়লা প্লেট ধোয়া হচ্ছে ময়লাতেই, সেটিতে আবার খাবার খেতে দেওয়া হচ্ছে। বেকারিতে বিস্কুটের প্যাকেটে উৎপাদনের তারিখ লেখা ৩০ মে, অথচ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করছি ২৯ মে। নিষিদ্ধ এমোনিয়া, বিস্কুটের গুড়া আর বালি মিলেমিশে একাকার, এ জন্য ৪টি প্রতিষ্ঠানকে ৩৬ হাজার টাকা জরিমানা করে সর্তক করা হয়েছে। পরবর্তীতে একই রকম অব্যবস্থাপনা পেলে কঠোর পদপে নিবেন বলে জানান।
ভ্রাম্যমাই আদালতে জরিমানাকৃত ৪টি প্রতিষ্ঠান হলো, রনি ফাওয়ার মিলকে ১৫ হাজার, খাওয়া দাওয়া হোটেলকে ৫ হাজার, হাজী সুইটসকে ৬ হাজার এবং মিনহাজ বেকারীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মেহেদী হাসান মানিক, উপজেলা স্যানেটারী পরিদর্শক মো. সামছুল ইসলাম রমিজ, বিএসটিআই এর কুমিল্লা কার্যালয়ের পরিদর্শক মো. আনিছুর রহমান ও হাজীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক মো. আল-আমিন উপস্থিত ছিলেন।