বুধবার (২২ মে) সকালে চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভায় সভাপতি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) আব্দুল্লাহ আল-মাহমুদ জামান বক্তব্যে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা আগামী ৩ থেকে ৪ দিন সময় দিব এ বিষয়ে সুরাহা করার জন্য। আর এ বিষয়ে বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে একটি চিঠি লঞ্চ মালিক পক্ষকে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করবেন। নির্দেশনা পাওয়ার পর যদি লঞ্চ মালিক পক্ষ তা বাস্তবায়ন না করে। তাহলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান করা হবে। এ সময় লঞ্চের কেবিন বয়দের নির্ধারিত ড্রেস না থাকলে তাদেরকে তুলে নিয়ে আসা হবে এবং আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
সভায় আরো জানানো হয়, লঞ্চগুলোতে নিরাপত্তার জন্য আনসার নিয়োগ প্রয়োজন। সিসিটিভি ক্যামেরা থাকতে হবে। যেসব লঞ্চে সিসিটিভি ক্যামেরা নেই মালিক পক্ষ দ্রুত লাগানোর ব্যবস্থা গ্রহন করবে। তাহলে লঞ্চগুলোতে অপরাধমূলক কর্মকন্ড কমে আসবে।
এছাড়াও লঞ্চগুলোতে প্রতারণা করা হয় এমন অভিযোগ করেছেন, চাঁদপুরের সর্বজন শ্রদ্ধেয় স্বাধীনতা পদক প্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ সৈয়দা বদরুন্নাহার চৌধুরী। তিনি বলেন, লঞ্চের মধ্যে কেবিন কিংবা প্রথম শ্রেনীতে এসি আছে বলে ভাড়া নিলেও অনেক লঞ্চের এসিগুলোতে ত্রুটি আছে। এটি যাত্রীদের সাথে চরম প্রতারণা। মালিক পক্ষ এসব বিষয়ে অবশ্যই দৃষ্টি দিবেন।