শরীফুল ইসলাম:
চাঁদপুর জেলা রেজিষ্টার অফিসে গত দুই সপ্তাহ ধরে বিদ্যুৎ না থাকায় ব্যাহত হচ্ছে এর স্বাভাবিক কার্যক্রম। গত ২৪ জুন চাঁদপুর বিদ্যুৎ অফিস কর্তৃক বকেয়া ও প্রিপ্রেইড সংযোজন না করার অভিযোগ এনে বিদ্যুৎ লাইন বিছিন্ন করা হয়। এতে করে বিদ্যুাৎ না থাকায় রেজিষ্টার ও সাব রেজিষ্টার অফিসের চলমান কার্যক্রম চরম ভাবে ব্যাহত হচ্ছে বলে দাবি করেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
এদিকে রেজিষ্টার অফিসে গত দুই সপ্তাহ ধরে বিদ্যুৎ না থাকায় কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে রেজিষ্টার মসজিদ থেকে বিদ্যুৎ লাইন নিয়ে চলছে পুরো কার্যক্রম। মসজিদের তার টেনে লাইন সংযোগ অবৈধ জেনেও সাধারণ সাধারণ মানুষের সেবার কথা চিন্তা করে বিদ্যুৎ নেওয়া হয়েছে বলে জানায় কর্র্তৃপক্ষ। তাঁরা জানান এখানে দৈনিক ৪ থেকে ৫ হাজার মানুষ সেবা নিতে আসেন, কার্যক্রম স্বাভাকিত রাখতে মসজিদের বিদ্যুৎ সংযোগ সাময়িক নেওয়া হয়েছে।
জেলা রেজিষ্টার অফিস সহকারী মো. গোলাম মোস্তফা জানান, জেলা রেজিষ্টার অফিসে বরাদ্দকতৃ টাকা দিয়ে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে হয়। আমরা প্রতিবছর বরাদ্দের টাকা আসলে বিল পরিশোধ করে থাকি। এবার ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের জুন পর্যন্ত বকেয় বিল আটকে থাকে। বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ প্রসঙ্গে নির্বাহী প্রকৌশলী বরারর আবেদন করেছি। কিন্তু এখনো পর্যন্ত বকেয়া বিলের বরাদ্দকৃত টাকা আমরা পায়নি।
তিনি আরো জানান, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের জুন মাস পর্যন্ত বকেয়া বিল ৯০ হাজার ৫শ’ ২১ টাকা হয় এবং এ বছরের জুন পর্যন্ত বকেয়া বিল জমে থাকে ১ লক্ষ ১৯ হাজার ৮৮ টাকা। আমরা বিদ্যুৎ অফিসে আবদেন করা সত্ত্বেও কোন সময় না দিয়ে বকেয়া বিল ও প্রিপেইড মিটারের জন্য লাইন বিচ্ছিন্ন করে।
জেলা রেজিষ্টার মো. সেলিম মল্লিক বলেন, এটি সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অফিস। হুট করে কোন নোটিশ ছাড়াই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। তাঁরা হঠাৎই এসে বকেয়া ও প্রিপেইড মিটার না থাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেয়। আমরা পুরো বছরের বরাদ্দ আমরা একসাথে পেয়ে থাকি। বিদ্যুৎ অফিসে এ বিষয়ে আবেদন করা হয়েছে। আমরা আশা করছি আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে বরাদ্দকৃত টাকা পেয়ে যাবো।