ব্যারিষ্টার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে পিতৃহীন মেয়েটি বাবার পরিচয়ে সামনে এগিয়ে যেতে চায়

  • আপডেট: ০৪:১৯:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ জুলাই ২০১৯
  • ৩৮

গাজী মোঃ মহসিন :

প্রতিনিয়ত প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে থাকা হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান রুপা আক্তার। বেকারীতে মায়ের রান্নার কাজ করা রোজগারের টাকায় চলে সংসার।তার মধ্যেও পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার অদম্য ইচ্ছা রুপার। দারিদ্রের কষাঘাতে নিত্য সংগ্রাম করে কলেজে ভর্তি হলেও অর্থাভাবে সামনের পড়াশোনা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে অদম্য মেধাবী ছাত্রী রুপা আক্তারের।

  চলতি বছর মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড থেকে এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ৪.৬৭ পেলেও উচ্চ শিক্ষা নিয়ে অনিশ্চিত দিন কাটাচ্ছেন অদম্য মেধাবী ছাত্রী রুপা আক্তার ও তার মা। এক বেলা খেয়ে না খেয়ে অন্যের বাসায় টিউশনি করে এবং এলাকার কিছু সংখ্যক ব্যক্তিদের সহায়তায় নিজের লেখাপড়ার খরচ চালালেও পরবর্তী পড়াশোনার খরচের টাকা নিয়ে বিপাকে রয়েছেন রুপা আক্তার। বার বার তার একটি কথাই মনে হচ্ছে এখান থেকেই বুঝি তার লেখাপড়ার ইতি টানতে হচ্ছে। তারপরেও তার চেষ্টার ত্রুটি নেই। সে তার কাঙ্খিত লক্ষে পৌছাতে শেষ পর্যন্ত লড়াই করবেন।

      রুপা আক্তার চাঁদপুর সদর উপজেলার ৬নং মৈশাদী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড পশ্চিম মৈশাদী গ্রামের অসহায় মাফিয়া বেগমের মেয়ে। বাবা শুক্কুর মিয়াজি তার মা মাফিয়া বেগমের সাথে জন্মের পরপরই দুরুত্ব বজায় রেখে চলছেন।

  সরেজমিনে গিয়ে মাফিয়া বেগমের সাথে কথা বলে জানা যায়, দুঃখ কষ্টের সংসারের মেয়ে মাফিয়া বেগম। তাকে একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলের সাথে বিয়ে দেন তার পরিবার। সে ঘরে একটি ছেলে সন্তান জন্ম দেন মাফিয়া বেগম। ছেলেটির নাম রাখা হয় মোঃ মোস্তফা তফাদার। সংসার জীবনের এক পর্যায়ে পূর্ব পশ্চিম মৈশাদী গ্রামের মৃত ছৈয়দ আলী মিজির ছেলে মোঃ শুক্কুর মিয়াজীর সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন এবং তাদের মাঝে ভালোবাসা দেয়া নেয়ার এক পর্যায়ে শারিরিক সম্পর্কের কারনে মাফিয়া বেগমের গর্ভে চলে আসে সন্তান। শুক্কুর মিজি এমন কথা জানতে পেরে সন্তান নষ্ঠ করার জন্য মাফিয়া বেগমকে চাপ সৃষ্টি করা হলেও করা হয়নি জঘন্যতম এই কাজটি। এ কাজটি না করায় শুক্কুর মিজি আস্তে আস্তে দুরে সরে যেতে লাগলো। শুক্কুর মিয়াজীর এমন আচরন দেখে মাফিয়া বেগম বাদী হয়ে ২০০১ সালের জানুয়ারী মাসের ২৪ তারিখে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৯(১)/১৩ ধারায় শুক্কুর মিজিকে প্রধান আসামী করে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১৭।

 মামলা চলাকালীন তাদের সংসারে চলে আসে একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তান। সখ করে বাবার নামের সাথে মিল রেখে নাম তার রাখা হয় শুক্কুরী। এ মামলায় শুক্কুর মিয়াজীর ১ মাস জেল খাটেন। মামলা তুলে নেয়ার জন্য ও জেল থেকে শুক্কুর মিয়াজীর ছাড়িয়ে আনতে মাফিয়া বেগমের আগের সংসারের ছেলে মোস্তফা তফাদারকে শুক্কুর মিয়াজীর লোকেরা বিভিন্নভাবে হুমকি দিতে থাকলে তার মা সুখ শান্তিতে আছে বলে আদালতে জবানবন্দি দিয়ে জামিনে ছাড়িয়ে আনেন। এরপর থেকে অল্প কয়েকদিন যোগাযোগ থাকলেও আজ অবধি কোন রকমের যোগাযোগ করেননি শুক্কুর মিয়াজী । মেয়েটিও আস্তে আস্তে বড় হতে যাচ্ছে মায়ের দুশ্চিন্তাও ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে। মেয়েটি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শেষ করে উচ্চ মাধ্যমিকে পড়াশোনা করানোর চিন্তা শক্তি থাকলেও তার পক্ষে যেন আর হচ্ছে না।

  এ বিষয়ে মেধাবি ছাত্রী রুপা আক্তার শুক্কুরির সাথে কথা বলে জানা যায়, জন্মের পর থেকে পিতৃহারা মেয়েটি বাবার পরিচয়ে বড় হতে চায় এবং তার আগামি দিনের পড়াশোনার ব্যায়বহুল খরচ তার বাবাকেই যেন নেয়। পড়াশোনা করে ব্যারিষ্টার হতে চায় রুপা আক্তার শুক্কুরি। রুপা আক্তার শুক্কুরি দৈনিক চাঁদপুর প্রবাহকে বলেন, আমি জন্মের পর থেকে বাবার কাছ থেকে কোন ভরন পোষন পাইনি। আমার মা অন্যের দুয়ারে কাজ করে আমার ভরন পোষন ও লেখাপড়ার খরচ এ পর্যন্ত চালিয়ে এসেছে। আমার ব্যারিষ্টার হওয়ার স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে সামনের দিনগুলোতে ব্যায়বহুল টাকা খরচ হবে যা আমার মায়ের পক্ষে কোনভাবেই সম্ভব নয়।

  আমি মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী আলহাজ্ব ডা: দীপু মনি এমপি, চাঁদপুর জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতায় আমার ব্যারিষ্টার হওয়ার স্বপ্ন পূরণে একান্ত সহযোগিতা কামনা করছি। ব্যারিষ্টার হয়ে দেশ ও দেশের মানুষের সেবায় কাজ করতে চাই।

  এ বিষয়ে শুক্কুর মিয়াজী মাফিয়া বেগমের সাথে সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমাকে এলাকার কিছু মানুষ জোড় করে নারী কেলেঙ্কারিতে জড়িয়েছেন এবং তৎকালীন কিছু টাকার বিনিময়ে এর সমাধান হয়ে যায় এবং এ ঘটনার পর থেকে প্রায় ১ যুগের মতো এলাকার বাহিরে অবস্থান নিয়ে বর্তমানে ৩ বছর এলাকায় বসবাস করে আসছি।

  এ বিষয়ে ৩নং ওয়ার্ড ইউপি মেম্বার বজলুল গনি জিলন জানান, মেয়েটি অনেক মেধাবী কিন্তু আর্থিক স্বচ্ছলতার কারনে সামনে এগিয়ে যেতে খুবই অসম্ভব হয়ে পড়েছে। প্রশাসনের কর্মকর্তারা ও ত্রলাকার বিত্তশালীরা যদি মেয়েটির পাশে এসে দাড়ান তাহলে তার পিতৃ পরিচয় পেতে ও পড়াশোনার ব্যায়বহুল খরচের সহযোগিতা পাবে।

   ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মনিরুজ্জামান মানিকের কাছ থেকে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি অসহায় পরিবার ও মেয়েটির বিষয়ে অবগত। সকলের সহযোগিতায় মেয়েটির ব্যারিষ্টার হওয়ার স্বপ্ন পূরণে কাজ করা দরকার এবং সকল স্তরের মানুষের চেষ্টায় বাবার পরিচয়ে মেয়েটির সামনের দিনগুলো কাটুক আরো সুন্দর।

 চাঁদপুর জেলা পরিষদের সদস্য ও মৈশাদী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ নুরুল ইসলাম পাটওয়ারী বলেন, এই অসহায় পরিবারটির বিষয়ে আমি অবগত। মায়ের দুঃখ কষ্টের পরিশ্রমের রোজগার দিয়ে ও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় মেয়েটি এবার এসএসসি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জন করেছে এবং একাদশ শ্রেণীতেও এর ধারা অব্যাহত রাখবে যদি মেয়েটি তার বাবার পরিচয় ও পড়াশোনার খরচের সহযোগিতা পায়। প্রশাসন ও রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দরা সহযোগিতা করলে মেয়েটির কাঙ্খিত স্বপ্ন পূরণ হওয়া অসম্ভবের কিছু নয়।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

মতলব উত্তর উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ কুদ্দুস’সহ ২০৬ জনকে আসামী করে মামলা

ব্যারিষ্টার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে পিতৃহীন মেয়েটি বাবার পরিচয়ে সামনে এগিয়ে যেতে চায়

আপডেট: ০৪:১৯:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ জুলাই ২০১৯

গাজী মোঃ মহসিন :

প্রতিনিয়ত প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে থাকা হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান রুপা আক্তার। বেকারীতে মায়ের রান্নার কাজ করা রোজগারের টাকায় চলে সংসার।তার মধ্যেও পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার অদম্য ইচ্ছা রুপার। দারিদ্রের কষাঘাতে নিত্য সংগ্রাম করে কলেজে ভর্তি হলেও অর্থাভাবে সামনের পড়াশোনা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে অদম্য মেধাবী ছাত্রী রুপা আক্তারের।

  চলতি বছর মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড থেকে এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ৪.৬৭ পেলেও উচ্চ শিক্ষা নিয়ে অনিশ্চিত দিন কাটাচ্ছেন অদম্য মেধাবী ছাত্রী রুপা আক্তার ও তার মা। এক বেলা খেয়ে না খেয়ে অন্যের বাসায় টিউশনি করে এবং এলাকার কিছু সংখ্যক ব্যক্তিদের সহায়তায় নিজের লেখাপড়ার খরচ চালালেও পরবর্তী পড়াশোনার খরচের টাকা নিয়ে বিপাকে রয়েছেন রুপা আক্তার। বার বার তার একটি কথাই মনে হচ্ছে এখান থেকেই বুঝি তার লেখাপড়ার ইতি টানতে হচ্ছে। তারপরেও তার চেষ্টার ত্রুটি নেই। সে তার কাঙ্খিত লক্ষে পৌছাতে শেষ পর্যন্ত লড়াই করবেন।

      রুপা আক্তার চাঁদপুর সদর উপজেলার ৬নং মৈশাদী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড পশ্চিম মৈশাদী গ্রামের অসহায় মাফিয়া বেগমের মেয়ে। বাবা শুক্কুর মিয়াজি তার মা মাফিয়া বেগমের সাথে জন্মের পরপরই দুরুত্ব বজায় রেখে চলছেন।

  সরেজমিনে গিয়ে মাফিয়া বেগমের সাথে কথা বলে জানা যায়, দুঃখ কষ্টের সংসারের মেয়ে মাফিয়া বেগম। তাকে একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলের সাথে বিয়ে দেন তার পরিবার। সে ঘরে একটি ছেলে সন্তান জন্ম দেন মাফিয়া বেগম। ছেলেটির নাম রাখা হয় মোঃ মোস্তফা তফাদার। সংসার জীবনের এক পর্যায়ে পূর্ব পশ্চিম মৈশাদী গ্রামের মৃত ছৈয়দ আলী মিজির ছেলে মোঃ শুক্কুর মিয়াজীর সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন এবং তাদের মাঝে ভালোবাসা দেয়া নেয়ার এক পর্যায়ে শারিরিক সম্পর্কের কারনে মাফিয়া বেগমের গর্ভে চলে আসে সন্তান। শুক্কুর মিজি এমন কথা জানতে পেরে সন্তান নষ্ঠ করার জন্য মাফিয়া বেগমকে চাপ সৃষ্টি করা হলেও করা হয়নি জঘন্যতম এই কাজটি। এ কাজটি না করায় শুক্কুর মিজি আস্তে আস্তে দুরে সরে যেতে লাগলো। শুক্কুর মিয়াজীর এমন আচরন দেখে মাফিয়া বেগম বাদী হয়ে ২০০১ সালের জানুয়ারী মাসের ২৪ তারিখে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৯(১)/১৩ ধারায় শুক্কুর মিজিকে প্রধান আসামী করে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১৭।

 মামলা চলাকালীন তাদের সংসারে চলে আসে একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তান। সখ করে বাবার নামের সাথে মিল রেখে নাম তার রাখা হয় শুক্কুরী। এ মামলায় শুক্কুর মিয়াজীর ১ মাস জেল খাটেন। মামলা তুলে নেয়ার জন্য ও জেল থেকে শুক্কুর মিয়াজীর ছাড়িয়ে আনতে মাফিয়া বেগমের আগের সংসারের ছেলে মোস্তফা তফাদারকে শুক্কুর মিয়াজীর লোকেরা বিভিন্নভাবে হুমকি দিতে থাকলে তার মা সুখ শান্তিতে আছে বলে আদালতে জবানবন্দি দিয়ে জামিনে ছাড়িয়ে আনেন। এরপর থেকে অল্প কয়েকদিন যোগাযোগ থাকলেও আজ অবধি কোন রকমের যোগাযোগ করেননি শুক্কুর মিয়াজী । মেয়েটিও আস্তে আস্তে বড় হতে যাচ্ছে মায়ের দুশ্চিন্তাও ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে। মেয়েটি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শেষ করে উচ্চ মাধ্যমিকে পড়াশোনা করানোর চিন্তা শক্তি থাকলেও তার পক্ষে যেন আর হচ্ছে না।

  এ বিষয়ে মেধাবি ছাত্রী রুপা আক্তার শুক্কুরির সাথে কথা বলে জানা যায়, জন্মের পর থেকে পিতৃহারা মেয়েটি বাবার পরিচয়ে বড় হতে চায় এবং তার আগামি দিনের পড়াশোনার ব্যায়বহুল খরচ তার বাবাকেই যেন নেয়। পড়াশোনা করে ব্যারিষ্টার হতে চায় রুপা আক্তার শুক্কুরি। রুপা আক্তার শুক্কুরি দৈনিক চাঁদপুর প্রবাহকে বলেন, আমি জন্মের পর থেকে বাবার কাছ থেকে কোন ভরন পোষন পাইনি। আমার মা অন্যের দুয়ারে কাজ করে আমার ভরন পোষন ও লেখাপড়ার খরচ এ পর্যন্ত চালিয়ে এসেছে। আমার ব্যারিষ্টার হওয়ার স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে সামনের দিনগুলোতে ব্যায়বহুল টাকা খরচ হবে যা আমার মায়ের পক্ষে কোনভাবেই সম্ভব নয়।

  আমি মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী আলহাজ্ব ডা: দীপু মনি এমপি, চাঁদপুর জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতায় আমার ব্যারিষ্টার হওয়ার স্বপ্ন পূরণে একান্ত সহযোগিতা কামনা করছি। ব্যারিষ্টার হয়ে দেশ ও দেশের মানুষের সেবায় কাজ করতে চাই।

  এ বিষয়ে শুক্কুর মিয়াজী মাফিয়া বেগমের সাথে সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমাকে এলাকার কিছু মানুষ জোড় করে নারী কেলেঙ্কারিতে জড়িয়েছেন এবং তৎকালীন কিছু টাকার বিনিময়ে এর সমাধান হয়ে যায় এবং এ ঘটনার পর থেকে প্রায় ১ যুগের মতো এলাকার বাহিরে অবস্থান নিয়ে বর্তমানে ৩ বছর এলাকায় বসবাস করে আসছি।

  এ বিষয়ে ৩নং ওয়ার্ড ইউপি মেম্বার বজলুল গনি জিলন জানান, মেয়েটি অনেক মেধাবী কিন্তু আর্থিক স্বচ্ছলতার কারনে সামনে এগিয়ে যেতে খুবই অসম্ভব হয়ে পড়েছে। প্রশাসনের কর্মকর্তারা ও ত্রলাকার বিত্তশালীরা যদি মেয়েটির পাশে এসে দাড়ান তাহলে তার পিতৃ পরিচয় পেতে ও পড়াশোনার ব্যায়বহুল খরচের সহযোগিতা পাবে।

   ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মনিরুজ্জামান মানিকের কাছ থেকে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি অসহায় পরিবার ও মেয়েটির বিষয়ে অবগত। সকলের সহযোগিতায় মেয়েটির ব্যারিষ্টার হওয়ার স্বপ্ন পূরণে কাজ করা দরকার এবং সকল স্তরের মানুষের চেষ্টায় বাবার পরিচয়ে মেয়েটির সামনের দিনগুলো কাটুক আরো সুন্দর।

 চাঁদপুর জেলা পরিষদের সদস্য ও মৈশাদী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ নুরুল ইসলাম পাটওয়ারী বলেন, এই অসহায় পরিবারটির বিষয়ে আমি অবগত। মায়ের দুঃখ কষ্টের পরিশ্রমের রোজগার দিয়ে ও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় মেয়েটি এবার এসএসসি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জন করেছে এবং একাদশ শ্রেণীতেও এর ধারা অব্যাহত রাখবে যদি মেয়েটি তার বাবার পরিচয় ও পড়াশোনার খরচের সহযোগিতা পায়। প্রশাসন ও রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দরা সহযোগিতা করলে মেয়েটির কাঙ্খিত স্বপ্ন পূরণ হওয়া অসম্ভবের কিছু নয়।