notunerkotha.com
প্রথম দিনের শঙ্কা কাটিয়ে নতুন নিয়ম অনুযায়ী সৌদি অংশের আগাম ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া ঢাকায় শুরু হয়েছে। প্রথমবারের মতো এমন সুবিধা পেয়ে খুশি হজে গমনেচ্ছুরা। ফলে সৌদিতে পৌঁছে চেক-ইনে দীর্ঘসময় অপেক্ষা করতে হবে না, ব্যাগ-লাগেজ নিয়ে পড়তে হবে না ভোগান্তিতে। যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে হজ অফিস।
গতকাল শুক্রবার বাংলাদেশ বিমান ও সৌদি এয়ারলাইন্সের ১৪টি ফ্লাইট ছেড়ে গেছে। ঝামেলা ছাড়া হজযাত্রায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন অনেকেই। এদিকে আশকোনায় হজ ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। গতকাল দুপুর পৌনে ১টায় হজ ক্যাম্পে পরিদর্শনে যান মেয়র। এ সময় আশকোনা হজ ক্যাম্পের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন।
হজ ক্যাম্পের যাত্রী ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপকালে তারা জানান, নিরাপত্তাজনিত কারণে শুক্রবার সকাল থেকে হজযাত্রীর আত্মীয়-স্বজনদের ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। শুধুমাত্র হজযাত্রীকে একা ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে।
সরেজমিন দেখা যায়, ক্যাম্পে হজযাত্রীদের জন্য কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা রোভার স্কাউটস ও পুলিশ সদস্যরা শুধু হজযাত্রীকে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন।
এদিন হজ ক্যাম্পে ছিল বৃহস্পতিবারের চেয়ে বেশি ভিড়। শুক্রবার বিমান ও সৌদি এয়ারলাইন্সের সাতটি করে সব মিলে মোট ১৪টি হজ ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। ফ্লাইটগুলো সবমিলে ৫ হাজার ৫৮ জন হজযাত্রী নিয়ে যায়। এর মধ্যে বিমানের বিজি-৩০০৩ রাত ১টা ৩৭ মিনিটে নিয়ে গেছে ৪১৩ জন, বিজি-৩১০৩ ভোর ৬টা ২৮ মিনিটে ৪১৩ জন, বিজি-৩২০৩ সকাল সোয়া ১০টায় ৪১৯ জন, দুপুর সোয়া ২টায় বিজি-৩৩০৩ ফ্লাইটে ৪১৯ জন, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বিজি-০১৩৫ ফ্লাইটে ১০০ জন।
এছাড়া সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় বিজি-৩০০৫ ফ্লাইটে ৪১৯ জন, রাত ১১টা ৫০ মিনিটে বিজি-৩১০৫ ফ্লাইট ৪১৯ জন হজযাত্রী নিয়ে আকাশে উড়ে ফ্লাইট। বিমানের সাতটি ফ্লাইটে মোট ২ হাজার ৬০৮ জন হজযাত্রী সৌদি যান। অপরদিকে সৌদি এয়ারলাইন্সের সাতটি ফ্লাইটে যান ২ হাজার ৪৫০ জন হজযাত্রী।
যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হজ অফিসের পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত যে পরিস্থিতি অতিক্রম করছি, তা অনেক স্বস্তিদায়ক। কোথাও কোনো রকমের সমস্যা দেখা যাচ্ছে না।
হজ এজেন্সিস অব বাংলাদেশ (হাব) বলছে, মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম কমাতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। এবার বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৬ হাজার ৮৯৮ জনের হজে যাওয়ার কথা রয়েছে, এখন পর্যন্ত ভিসা পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৮৮৮ জন।