ক্রীড়া ডেস্ক:
পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে বেশ সতর্ক ছিলেন ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলি।
বিশ্বকাপে ভারতের একচেটিয়া আধিপত্যের রেকর্ডে তৃপ্তির ঢেঁকুর তোলেননি তিনি।
ম্যাচপূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানিয়েছিলেন, ইতিহাস যতই ভারতের পক্ষে যাক, পাকিস্তানের মতো শক্তিশালী দলকে হারাতে হলে সর্বোচ্চাটাই দিতে হবে।
কিন্তু রোববার রাতে সেরাটা দিতে পারলেন না কোহলির সতীর্থরা। পাকিস্তানের বিপক্ষে ১০ উইকেটে শোচনীয় হার মানল ভারত।
এমন লজ্জার হারের নেপথ্যে পাঁচ কারণ খুঁজে পেয়েছে কলকাতার জনপ্রিয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ ।
এক.
কোহলির টস হারাকেই এই পরাজয়ের দুয়ারে প্রথম পা রাখা বলে দাবি করছে আনন্দবাজার।
তারা লিখেছে, টসে হেরে আগে ব্যাট করতে বাধ্য হয়েছে ভারত। এটাই ম্যাচে সব থেকে বড় তফাৎ গড়ে দেয়। শিশিরের কারণে ভারতের পাঁচ বোলার বল ঠিকমতো গ্রিপ করতে পারেননি। ভুবনেশ্বর, শামির হাত থেকে স্লোয়ার দেখা যায়নি। বুমরাহর ইয়র্কার দেখা যায়নি। কিন্তু পাকিস্তান টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করায় তাদের বোলারদের এই সমস্যা হয়নি।
দুই.
কোহলি ও ঋষভ পন্থ ছাড়া ভারতের আর কোনো ব্যাটসম্যানই রান পাননি। বিশেষ করে প্রথম ওভারেই রোহিত শর্মা আউট হয়ে যান। আফ্রিদি পরের ওভারে তুলে নেন লোকেশ রাহুলকে। এর পর আর রান তোলার গতি বাড়াতে পারেনি ভারত।
ভারতের ছোড়া ১৫২ রানের লক্ষ্য হেসেখেলেই পার করে দেন বাবর ও রিজওয়ান।
তিন.
ভারতের অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়ার ফিটনেসহীনতা। গতরাতের ম্যাচে হার্দিককে দেখা গেল তিনি সুস্থ নন। কাঁধের চোটে বলও করেননি তিনি। এ রকম অসুস্থ ক্রিকেটারকে বিশ্বকাপের ম্যাচে কেন খেলানো হলো? সে প্রশ্ন উঠে গেছে ইতোমধ্যে।
চার.
আইপিএল না খেলায় পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা শক্তি, দুর্বলতা সম্পর্কে কোহলিরা ছিলেন অজ্ঞ। অন্যদিকে পাকিস্তান সুপার লিগে খেলে বাবর আজম, শাহিন শাহ আফ্রিদিরা নিজেদের নিঃশব্দে তৈরি করেছেন।
পাঁচ.
ফেভারিটের তকমা নিয়ে নামা কোহলিরাই বেশি চাপে ছিলেন। বাবরদের হারানোর কিছু ছিল না। চাপহীন, ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলে বাজিমাত করেছেন তারা।