রোহিত শর্মার সেঞ্চুরি ও লোকেশ রাহুলের ফিফটিতে ৯ উইকেট ৩১৪ রান সংগ্রহ করেছে ভারত। উদ্বোধনীতে জুটিতে ১৮০ রান করে ভারতকে রানের পাহাড় গড়ার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন রোহিত-রাহুল। এরপর ভারতের লাগাম টেনে ধরেন টাইগাররা। মোস্তাফিজুর রহমানের গতির মুখে পড়ে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে শেষ পর্যন্ত ৩১৪ রানে ইনিংস গুটায় ভারত।
বাঁচা-মরার লড়াইয়ের ম্যাচে জিততে হলে ৩১৫ রান করতে হবে বাংলাদেশকে। এর ব্যতিক্রম হলে সেমিফাইনালের আগেই বিদায় নিতে হবে মাশরাফি বিন মুর্তজাদের।
মঙ্গলবার ইংল্যান্ডের বার্মিংহামের এজবাস্টনে বাংলাদেশের বিপক্ষে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত।
ইনিংসের শুরু থেকেই অনবদ্য ব্যাটিং করে যান রোহিত শর্মা ও লোকেশ রাহুল। অবশ্য ১৮ রানেই ব্রেক থ্রু পাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ দলের। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে মোস্তাফিজুর রহমানের বলে ছক্কা হাঁকাতে চেয়েছিলেন রোহিত। কিন্তু ডিপ স্কয়ার লেগ থেকে দৌড়ে গিয়েও ক্যাচটি মুঠোয় জমাতে পারেননি তিনি। দলীয় ১৮ ও ব্যক্তিগত ৯ রানে জীবন ফিরে পান রোহিত শর্মা।
এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি রোহিতকে। ক্রমে আক্রমণাত্মকে হয়ে ওঠেন ভারতীয় এই ওপেনার। পাওয়ার প্লের প্রথম ১০ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৬৯ রান সংগ্রহ করেন ভারতের দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও লোকেশ রাহুল। ১৭.২ ওভারের স্কোর বোর্ডে বিনা উইকেটে ১০০ রান সংগ্রহ করেন তারা। ২০ ওভারের ভারতের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ১২২ রান।
উদ্বোধনী জুটিতে ক্যারিয়ারের ২৬তম এবং বিশ্বকাপের এক আসরে চতুর্থ সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন রোহিত। শতরানের মাইলফলক স্পর্শ করার পর বাংলাদেশের অনিয়মিত বোলার সৌম্য সরকারের বলে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ তুলে দেন রোহিত। তার আগে ৯২ বলে সাতটি চার ও ৫টি ছক্কায় ১০৪ রান করেন তিনি।
রোহিত শর্মার বিদায়ের মধ্য দিয়ে ২৯.২ ওভারে ১৮০ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙে ভারতের। ৩০ ওভারে ১৮১/১ রান করে ভারত। এরপর অন্য ওপেনার লোকেশ রাহুলকে সাজঘরে ফেরান রুবেল হোসেন। তার গতির বলে মুশফিকুর রহিমের হাতে ক্যাচ তুলে দেয়ার আগে ৯২ বলে ছয়টি চার ও এক ছক্কায় ৭৭ রান করেন রাহুল।
১৫ রানের ব্যবধানে রোহিত শর্মা ও লোকেশ রাহুলের উইকেট শিকারের মধ্য দিয়ে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। সবশেষ পাঁচ ম্যাচে টানা ফিফটি তুলে নেয়া বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলিকে আউট করেন মোস্তাফিজ। তার আগে ২৭ বলে ২৬ রান করেন কোহলি। ব্যাটিংয়ে নেমে মোস্তাফিজের কাটারের দ্বিতীয় শিকার হার্দিক পান্ডিয়া।
২৩৭ রানে রোহিত শর্মা, লোকেশ রাহুল, বিরাট কোহলি ও হার্দিক পান্ডিয়ার বিদায়ের পর জুটি গড়েন মহেন্দ্র সিং ধোনি ও রিশভ প্যান্ট। পঞ্চম উইকেটে তারা ৪০ রান যোগ করেন। সাকিব আল হাসানের বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের হাতে ক্যাচ তুলেদেন প্যান্ট। তার আগে ৪১ বলে ছয়টি চার ও এক ছক্কায় ৪৮ রান করেন রিশব।