দুই মাস পর চাঁদপুর-ঢাকা রুটে লঞ্চ চলাচল শুরু, নেই স্বাস্থবিধি

  • আপডেট: ০২:৩৪:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ মে ২০২০
  • ৩১

চাঁদপুর, ৩১ মে, রবিবার:

করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) পরিস্থিতি কারণে দীর্ঘ দুই মাস বন্ধের পর রোববার (৩১ মে) চাঁদপুর-ঢাকা এবং সারা দেশে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে।

এইদিন সকাল সাড়ে ৭টায় এমভি সোনার তরী নামে যাত্রীবাহী লঞ্চ চাঁদপুর নৌ টার্মিনাল থেকে রাজধানী ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এরআগে গত ২৫ মার্চ থেকে লকডাউনের ফলে ঢাকাসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোর সাথে চাঁদপুরের লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আর ৯ এপ্রিল থেকে চাঁদপুর লকডাউন ঘোষণা করে প্রশাসন।

চাঁদপুর লঞ্চঘাটে সামাজিক দূরত্ব বজায়ে রাখার কথা থাকলেও মানা হয়নি তা। অনেক যাত্রীর মুখে মাস্ক ছিল না। তাছাড়া লঞ্চকর্তৃপক্ষের নিকট থেকেও দেখা যায়নি বিশেষ কোন ব্যবস্থা। লঞ্চগুলোতে হ্যান্ড স্যানেটাইজারের ব্যবস্থা বা জীবানুনাসক দ্রব্য স্প্রে করতে দেখা যায়নি। অতীতের সময়ের মত তারা স্বাভাবিক ভাবেই যাত্রী পরিবহন করতে দেখাগেছে সকালে।

সরজমিনে দেখা যায়, কোন ধরনের নিয়মনীতি না মেনেই যাত্রীরা লঞ্চে যাত্রা করছেন। বিশেষ করে আশপাশের চরাঞ্চল থেকে নৌকায় করেও যাত্রীদের লঞ্চঘাটে আসতে দেখা যায়।

লঞ্চযাত্রী মুক্তার হোসেন ও তারেক হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আজ থেকে চঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে। আমাদের অফিসের কাজে যোগ দেওয়ার জন্য আমরা ঢাকায় যাচ্ছি। কিন্তু করোনা সংক্রমণরোধে লঞ্চ কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে তেমন কোন ব্যবস্থা চোখে পড়েনি। অনেক যাত্রীর মুখে মাস্কও পড়া নেই। এভাবে ঢালাও ভাবে লঞ্চ চলাচল করতে সংক্রমণ আরো বাড়তে পারে।

চাঁদপুর বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, দীর্ঘ দুই মাসের বেশি সময় পর রোববার থেকে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে। ঘাটে চঞ্চের সংখ্যা কিছুটা কম থাকায় লঞ্চ ছাড়ার সময় সূচি সঠিকভাবে মানা যায়নি। তবে সোমবার থেকে লঞ্চের সূচি মেনে চলাচল করবে।

যাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেন, নিজেদের সুরক্ষায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে লঞ্চে যাতায়াত করার অনুরোধ জানাই। পাশাপাশি লঞ্চগুলো যেন অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে না পারে সে ব্যাপারে আমরা তৎপর রয়েছি। কোন লঞ্চ কর্তৃপক্ষ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়ার চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উল্লেখ্য, চাঁদপুর থেকে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন নৌরুটে প্রায় ৪০টি লঞ্চ চলাচল করে থাকে। নিরাপদ, আরামদায়ক ও সাশ্রয়ী হওয়ায় চাঁদপুর হয়ে আশপাশের অনেক মানুষ লঞ্চে করে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে থাকেন।

Tag :

সম্পাদক ও প্রকাশক:
মোঃ মহিউদ্দিন আল আজাদ

মোবাইল : ০১৭১৭-৯৯২০০৯ (নিউজ) বিজ্ঞাপন : ০১৬৭০-৯০৭৩৬৮
ইমেইলঃ notunerkotha@gmail.com

দেশে HMPV ভাইরাসে আক্রান্ত নারীর মৃত্যু, বাড়ছে আতঙ্ক

দুই মাস পর চাঁদপুর-ঢাকা রুটে লঞ্চ চলাচল শুরু, নেই স্বাস্থবিধি

আপডেট: ০২:৩৪:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ মে ২০২০

চাঁদপুর, ৩১ মে, রবিবার:

করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) পরিস্থিতি কারণে দীর্ঘ দুই মাস বন্ধের পর রোববার (৩১ মে) চাঁদপুর-ঢাকা এবং সারা দেশে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে।

এইদিন সকাল সাড়ে ৭টায় এমভি সোনার তরী নামে যাত্রীবাহী লঞ্চ চাঁদপুর নৌ টার্মিনাল থেকে রাজধানী ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এরআগে গত ২৫ মার্চ থেকে লকডাউনের ফলে ঢাকাসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোর সাথে চাঁদপুরের লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আর ৯ এপ্রিল থেকে চাঁদপুর লকডাউন ঘোষণা করে প্রশাসন।

চাঁদপুর লঞ্চঘাটে সামাজিক দূরত্ব বজায়ে রাখার কথা থাকলেও মানা হয়নি তা। অনেক যাত্রীর মুখে মাস্ক ছিল না। তাছাড়া লঞ্চকর্তৃপক্ষের নিকট থেকেও দেখা যায়নি বিশেষ কোন ব্যবস্থা। লঞ্চগুলোতে হ্যান্ড স্যানেটাইজারের ব্যবস্থা বা জীবানুনাসক দ্রব্য স্প্রে করতে দেখা যায়নি। অতীতের সময়ের মত তারা স্বাভাবিক ভাবেই যাত্রী পরিবহন করতে দেখাগেছে সকালে।

সরজমিনে দেখা যায়, কোন ধরনের নিয়মনীতি না মেনেই যাত্রীরা লঞ্চে যাত্রা করছেন। বিশেষ করে আশপাশের চরাঞ্চল থেকে নৌকায় করেও যাত্রীদের লঞ্চঘাটে আসতে দেখা যায়।

লঞ্চযাত্রী মুক্তার হোসেন ও তারেক হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আজ থেকে চঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে। আমাদের অফিসের কাজে যোগ দেওয়ার জন্য আমরা ঢাকায় যাচ্ছি। কিন্তু করোনা সংক্রমণরোধে লঞ্চ কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে তেমন কোন ব্যবস্থা চোখে পড়েনি। অনেক যাত্রীর মুখে মাস্কও পড়া নেই। এভাবে ঢালাও ভাবে লঞ্চ চলাচল করতে সংক্রমণ আরো বাড়তে পারে।

চাঁদপুর বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, দীর্ঘ দুই মাসের বেশি সময় পর রোববার থেকে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে। ঘাটে চঞ্চের সংখ্যা কিছুটা কম থাকায় লঞ্চ ছাড়ার সময় সূচি সঠিকভাবে মানা যায়নি। তবে সোমবার থেকে লঞ্চের সূচি মেনে চলাচল করবে।

যাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেন, নিজেদের সুরক্ষায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে লঞ্চে যাতায়াত করার অনুরোধ জানাই। পাশাপাশি লঞ্চগুলো যেন অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে না পারে সে ব্যাপারে আমরা তৎপর রয়েছি। কোন লঞ্চ কর্তৃপক্ষ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়ার চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উল্লেখ্য, চাঁদপুর থেকে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন নৌরুটে প্রায় ৪০টি লঞ্চ চলাচল করে থাকে। নিরাপদ, আরামদায়ক ও সাশ্রয়ী হওয়ায় চাঁদপুর হয়ে আশপাশের অনেক মানুষ লঞ্চে করে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে থাকেন।