হঠাৎ করে হাজীগঞ্জে লকডাউন কার্যকরে কঠোর পুলিশ, সারা দিনই ছিল অভিযান

  • আপডেট: ১০:৫০:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ মে ২০২০
  • ২৭

হাজীগঞ্জ বাজারে বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশের এ্যাকশান।

মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্:

হঠাৎ করে হাজীগঞ্জে লকডাউন কার্যকরে কঠোর হয়েছে পুলিশ। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে এবং হাজীগঞ্জ বাজারে জনসমাগম রোধে বৃহস্পতিবার পুলিশের কঠোর অবস্থান নিতে দেখা গেছে। একই দিন বাজারে মোবাইলকোর্টের ২টি অভিযান প্রদান করা হয়। অভিযানে ২৩ হাজার ৪’শ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

এ দিন সকাল থেকে হাজীগঞ্জ বাজারের প্রবেশ মুখগুলোতে চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহনে তল্লাশি জোরদার করেছে ট্রাফিক পুলিশ। এবং নিয়মিত অভিযানের পাশাপাশি থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে হাজীগঞ্জ বাজারে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। পুলিশের কঠোর অবস্থানের কারণে  অনেক নারী পুরুষ ভয়ে বাজার ত্যঅগ

অভিযানে ব্যবসায়ীদের সতর্ক ও সচেতনতা লক্ষে বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা দেন ওসি। এ সময় বিনা কারণে রাস্তায় যাতে কেউ বের হতে না পারে সেটি তদারকি করা হয়। অনেক জায়গায় অলিতে-গলিতে দাঁড়িয়ে থাকা উৎসুক জনতাকে ধাওয়া করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন তারা ।

আরো পড়ুন: সার্টার বন্ধ করে ভেতরে বিকি-কিনি, মোবাইলকোর্টের অভিযান

অপর দিকে ট্রাফিক পরিদর্শক (টিআই) তালুকদার আল মামুনের নেতৃত্বে যেসব যানবাহন বিনা কারণে বাজারে ঢোকার চেষ্টা করছে সেগুলো ট্রাফিক পুলিশ আটকে রেখে ফিরিয়ে দেন। যেন ভবিষ্যতে লকডাউন চলাকালীন সময়ে বিনাপ্রয়োজনে কেউ বের না হয় সে নির্দেশনা দেন।

পুলিশের এমন কঠোর ভুমিকায় সড়কে যানবাহনসহ অলিতে-গলিতে লোকসমাগম কমে যায়। এর আগে “লকডাউন মানছে না হাজীগঞ্জবাসী” শিরোনামে দৈনিক ইলশেপাড় পত্রিকার প্রিন্ট ও অনলাইনে সংবাদ প্রকাশের পর  নিউজটি ভাইরাল হয়।  শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা।

আরো পড়ুন: চাঁদপুরে করোনায় আক্রান্ত বেড়ে ৬৪

উল্লেখ্য, চাঁদপুর জেলায় প্রাণঘাতী এই করোনা ভাইরাসের সংক্রমন হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার কারণে গত ১০ মে সকাল ৬টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সকল শপিং মল, বিপণী বিতান, মার্কেট, দোকান-পাট, ব্যবসা কেন্দ্র আবশ্যিকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

এর আগে সংক্রামক ঝুঁকি মোকাবেলায় গত ৯ এপিল চাঁদপুর জেলাকে অবরুদ্ধ (লকডাউন) ঘোষণা করা হয়। লকডাউনের পাশাপাশি নিয়মিত চলছে প্রশাসনের অভিযান, সশস্ত্রবাহিনী ও পুলিশের টহল এবং জনপ্রতিনিধিসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সচেতনতামূলক কার্যক্রম।

এমন পরিস্থিতিতে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং জরুরি কাজ ছাড়া বের না হওয়ার সরকারি নির্দেশ থাকলেও তা মানছে না হাজীগঞ্জবাসী।

সরকারি নির্দেশনা ও স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক লকডাউনের মাঝে গত কয়েকদিনে হাজীগঞ্জ বাজারসহ উপজেলার হাট-বাজারগুলোতে দেখা গেছে উল্টো চিত্র। খুলে গেছে বিপণী বিতান, মার্কেট ও দোকানপাটসহ সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। চলছে রিকশা, অটোরিকশাসহ প্রায় সব ধরনের যানবাহন। হচ্ছে জনসমাগম এবং এই জনসমাগমের কারণে সড়কে দেখা গেছে যানজট।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে উদ্বেগ

হঠাৎ করে হাজীগঞ্জে লকডাউন কার্যকরে কঠোর পুলিশ, সারা দিনই ছিল অভিযান

আপডেট: ১০:৫০:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ মে ২০২০

মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্:

হঠাৎ করে হাজীগঞ্জে লকডাউন কার্যকরে কঠোর হয়েছে পুলিশ। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে এবং হাজীগঞ্জ বাজারে জনসমাগম রোধে বৃহস্পতিবার পুলিশের কঠোর অবস্থান নিতে দেখা গেছে। একই দিন বাজারে মোবাইলকোর্টের ২টি অভিযান প্রদান করা হয়। অভিযানে ২৩ হাজার ৪’শ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

এ দিন সকাল থেকে হাজীগঞ্জ বাজারের প্রবেশ মুখগুলোতে চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহনে তল্লাশি জোরদার করেছে ট্রাফিক পুলিশ। এবং নিয়মিত অভিযানের পাশাপাশি থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে হাজীগঞ্জ বাজারে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। পুলিশের কঠোর অবস্থানের কারণে  অনেক নারী পুরুষ ভয়ে বাজার ত্যঅগ

অভিযানে ব্যবসায়ীদের সতর্ক ও সচেতনতা লক্ষে বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা দেন ওসি। এ সময় বিনা কারণে রাস্তায় যাতে কেউ বের হতে না পারে সেটি তদারকি করা হয়। অনেক জায়গায় অলিতে-গলিতে দাঁড়িয়ে থাকা উৎসুক জনতাকে ধাওয়া করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন তারা ।

আরো পড়ুন: সার্টার বন্ধ করে ভেতরে বিকি-কিনি, মোবাইলকোর্টের অভিযান

অপর দিকে ট্রাফিক পরিদর্শক (টিআই) তালুকদার আল মামুনের নেতৃত্বে যেসব যানবাহন বিনা কারণে বাজারে ঢোকার চেষ্টা করছে সেগুলো ট্রাফিক পুলিশ আটকে রেখে ফিরিয়ে দেন। যেন ভবিষ্যতে লকডাউন চলাকালীন সময়ে বিনাপ্রয়োজনে কেউ বের না হয় সে নির্দেশনা দেন।

পুলিশের এমন কঠোর ভুমিকায় সড়কে যানবাহনসহ অলিতে-গলিতে লোকসমাগম কমে যায়। এর আগে “লকডাউন মানছে না হাজীগঞ্জবাসী” শিরোনামে দৈনিক ইলশেপাড় পত্রিকার প্রিন্ট ও অনলাইনে সংবাদ প্রকাশের পর  নিউজটি ভাইরাল হয়।  শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা।

আরো পড়ুন: চাঁদপুরে করোনায় আক্রান্ত বেড়ে ৬৪

উল্লেখ্য, চাঁদপুর জেলায় প্রাণঘাতী এই করোনা ভাইরাসের সংক্রমন হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার কারণে গত ১০ মে সকাল ৬টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সকল শপিং মল, বিপণী বিতান, মার্কেট, দোকান-পাট, ব্যবসা কেন্দ্র আবশ্যিকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

এর আগে সংক্রামক ঝুঁকি মোকাবেলায় গত ৯ এপিল চাঁদপুর জেলাকে অবরুদ্ধ (লকডাউন) ঘোষণা করা হয়। লকডাউনের পাশাপাশি নিয়মিত চলছে প্রশাসনের অভিযান, সশস্ত্রবাহিনী ও পুলিশের টহল এবং জনপ্রতিনিধিসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সচেতনতামূলক কার্যক্রম।

এমন পরিস্থিতিতে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং জরুরি কাজ ছাড়া বের না হওয়ার সরকারি নির্দেশ থাকলেও তা মানছে না হাজীগঞ্জবাসী।

সরকারি নির্দেশনা ও স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক লকডাউনের মাঝে গত কয়েকদিনে হাজীগঞ্জ বাজারসহ উপজেলার হাট-বাজারগুলোতে দেখা গেছে উল্টো চিত্র। খুলে গেছে বিপণী বিতান, মার্কেট ও দোকানপাটসহ সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। চলছে রিকশা, অটোরিকশাসহ প্রায় সব ধরনের যানবাহন। হচ্ছে জনসমাগম এবং এই জনসমাগমের কারণে সড়কে দেখা গেছে যানজট।