চাঁদপুর, ৯ মে, শনিবার:
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ৯ পুলিশ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ৫ জনই সাব ইন্সপেক্টর (এসআই) এবং ৪ জন কনস্টেবল রয়েছেন। এই পুলিশ সদস্যরা মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে গিয়ে আক্রান্তের শিকার হয়েছেন।
এছাড়া বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে আলাদা করে হোটেলে কোয়ারান্টাইনে রাখা হয়েছে। এ অবস্থায় চাঁদপুরে পুলিশ সদস্যদের মধ্যে কিছুটা আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে এক থানাতেই এত আক্রান্তের ঘটনায় করোনাবিষয়ক টিমে কাজ করা ৯ শতাধিক পুলিশ সদস্যকে ভাবিয়ে তুলছে।
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, চট্টগ্রাম বিভাগে চট্টগ্রাম জেলার পরই এতো বেশি সংখ্যক পুলিশ আক্রান্ত হলো। এর মধ্যে গত ৭ মে প্রথম ৩ জনের পজেটিভ আসে। এরপর ৯ মে ৫ জনের রিপোর্ট পজেটিভ আসে।
চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জাহেদ পারভেজ চৌধুরী জানান, একমাস আগেই পুলিশ লাইন থেকে শুরু করে প্রতিটি থানা এবং ফাঁড়িতে অবস্থান করে এমন পুলিশ সদস্যদের সবার বাসস্থান আমরা পুনর্বিন্যাস করেছি। ব্যারাক গুলোর ফ্লোর প্ল্যান পুনর্বিন্যাস করেছি। আগে যে রুমে ১২ জন ১৪ জন করে থাকতেন সেখানে এখন ৭-৮ জন থাকেন। এইজন্য থানার বিভিন্ন অফিসারদের রুম খালি করে সেখানে ব্যারাকে স্থাপন করেছি। মিটিং রুমেও থাকার ব্যবস্থা করেছি। ১০ ফুট পর পর খাট বসিয়েছি। আক্রান্ত ও আক্রান্তদের সংস্পর্শে কেউ এলে তাদেরও কোয়ারেন্টাইন রাখার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক আবাসিক হোটেল রিজার্ভ রেখেছি। পুলিশ সদস্যদের ৪-৫ আইটেমের সুরক্ষাসামগ্রী দেওয়া হচ্ছে। তবে সবচেয়ে বড় সংকট হচ্ছে মানসম্মত ব্যারাক এবং আবাসন।
তিনি বলেন, ট্রাফিক পুলিশ বা চেক পোস্টের পুলিশকে মানুষের সংস্পর্শে যেতে হয়। একইভাবে টহল পুলিশকে পুরো উপজেলার গ্রামে-গঞ্জে ঘুরতে হচ্ছে।
পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান বলেন, আক্রান্তদের খোঁজখবর আমরা রাখছি। কাজের জন্য যে ক্লাস্টারগুলো করা হয়েছে, তা অদলবদল করে দেয়া হতে পারে। আক্রান্তরা ইনশাল্লাহ সুস্থ হয়ে উঠবেন