মৈশাদী পরিষদে বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে সকল মেম্বারদের নিন্দা ও প্রতিবাদ

  • আপডেট: ০৯:১৬:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ মে ২০২০
  • ৩৯

বিশেষ প্রতিনিধিঃ

চাঁদপুর সদর উপজেলার ৬নং মৈশাদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যানের বিরুদ্ধে চাউল চুরির অপবাদের নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়েছে পরিষদের সকল মেম্বারগণ। এ বিষয়ে ৮ মে শুক্রবার পরিষদের সকল পুরুষ এবং নারী মেম্বাবারগণ একত্রিত হয়ে এমন মিথ্যা, বানোয়াট অপপ্রচারের সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন। পাশাপাশি যতোদিন পর্যন্ত এই অপপ্রচার ও অপবাদের বিচার না হবে, ততদিন তারা কেউ সরকারি কোনো ত্রান বিতরণ করবেন না এবং প্রয়োজনে প্রদত্যাগ করার হুঁসিয়ারি দেন।

সকল মেম্বারদের পক্ষে ৩নং ওয়ার্ড সদস্য বজলুল গণি জিলন বলেন, শুক্রবার মৈশাদী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি লিটন সরকার ও সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম মিয়াজী একটি অনাকাঙ্ক্ষিত-অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটায়। আমরা না কি চাউল চুরি করি, ত্রান দেই না, বলে সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার করেন। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। কারণ ওইদিন আমরা চাউলই বিতরণ করিনি। এই পরিষদের ১২ জন মেম্বারের মধ্যে ১০ জনই জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। আমরা এই করোনার মধ্যেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চেয়াম্যনসহ প্রতিটা মুহূর্ত সরকারের উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন এবং জনগণের কল্যানে কাজ করে যাচ্ছি। এখানে চেয়ারম্যান যদি অনিয়ম করতো তবে সরকার দলের মেম্বার হয়ে আমরাই আগে প্রতিবাদ করতাম।

তিনি আরো বলেন, আমাদের ইউনিয়নে মোট ২৬৭ জন জেলে রয়েছেন। তারা প্রত্যেকে ৪০ কেজি করে মোট ১০৬৮০ কেজি চাউল বরাদ্ধ পাবার কথা থাকলেও এই বছর অন্যান্য ইউনিয়নের মতো আমরাও কম বরাদ্ধের ১৯৮ জনের জন্যে ৭৯২০ কেজি চাউল পেয়েছি। যার ফলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে ২৬৭ জনের চাউল ১৯৮ জনের মাঝে ভাগ করে দিয়েছি।

৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মোশারফ হোসেন বেপারী বলেন, সারা বাংলাদেশে মৈশাদী ইউনিয়নের সুনাম রয়েছে।আমাদের পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামানা মানিক সমগ্র চাঁদপুর জেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠ ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছেন। আমি দুই বারের নির্বাচিত মেম্বার। এই পরিষদনে কখনোই চাউল চুরির মতো ঘটনা ঘটেনি। যারা এমন মিথ্যা অপবাদ-অপ্রচার করছে, আমরা তার নিন্দা জানাই।

আরো পড়ুন; চাঁদপুরে চাল চুরির প্রতিবাদে মৈশাদির ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল

২নং ওয়ার্ডের মেম্বার আবুল কালাম বেপারী এবং নারী মেম্বার ও ইউনিয়ম মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শিল্পী আক্তার বলেন, আমাদের ইউনিয়নে প্রতিটা গরীব অসহায় পরিবারের মাঝে আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সরকারের খাদ্যসহায়তা পৌঁছে দিচ্ছি। আমাদের পরিষদের নামে যারা চাউল চুরির নামে মিথ্যা অপপ্রচার করছে তার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার মো. ফারুক সরকার বলেন, এই পরিষদ কখনোই চাউল চুরি বা ত্রান অত্মসাৎ করেনি। এ বিষয়টি আমরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে অবগত করেছি।

এসময় অন্যান্য মেম্বারদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, হাকিম গাজী, সেলিম বেপারী, মোঃ দেলোয়ার হোসেন, আব্দুল বারেক, আবুল হোসেন খান মনা, সাহিদা বেগম।

মৈশাদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মনিরুজ্জামানা মানিক বলেন, আমার পরিষদের সকল মেম্বারগণ সরকারের সকল কর্মসূচি বাস্তবায়নে নিরলসভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। আমাদের মাননীয় সংসদ সদস্য ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি মহোদয়ের নির্বাচনী এলাকায় সরকারের কোনো বদনাম হোক এমন কাজ আমরা কখনোই করিনি। প্রতিটি ত্রার সভায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের সাথে সমন্বয় করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।  এই দূর্যোগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা সরকারের সহায়তায় পাশাপাশি ব্যক্তিগত অর্থায়নে অসহায় পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি। এমন ভালো কাজে ঈশ্বান্নিত হয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি লিটন সরকার ও সাধারণ সম্পাদক…আমাদের নামে মিথ্যা অপবাদ রটাতে চাচ্ছে। যার প্রতিবাদ জানানোর ভাষাও আমার জানা নেই। আমি মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী, জেলা প্রশাসক, ইউএনও এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মহোদয়ের কাছে এমন অপপ্রচারকারিদের বিচার দাবী করছি।

মনিরুজ্জামানা মানিক আরো বলেন, গত ৫ মে উপজেলা প্রশাসন থেকে অসহায়দের জন্যে ১০টাকা কেজি ধরে চাল বিতেণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহায়াতা কর্মসূচির তালিকা চাওয়া হয়। এবং ৬ মে দুপুর ১২টার মধ্যে সে তালিকা অনলাইনে জমা দেবার জন্যে বলা হয়। এ ক্ষেত্রে ওই দিনই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সস্পাদককে তাদের কোটার ১৩০ টি নামের তালিকা জমা দিতে বলি  কিন্তু বার বার বলার পরেও তারা তালিকা জমা দেয়নি। ফলে বাধ্য হয়ে আমরা শুধুমাত্র পরিষদের এবং এমপি মহোদয়ের কোটার নামের তালিকা জমা দেয়। তাদের জনে এই ইউনিয়নের বরাদ্দ থাকার পরেও কম নাম পাঠাতে হয়েছে।

এদিকে মেম্বারদের প্রতিবাদের খবর পেয়ে তাৎক্ষণাত সেখানে আসেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি লিটন সরকার। তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে আমারও কিছু দায়বদ্ধতা রয়েছে। অনেক ভুক্তভোগী মানুষ চালের বিষয় নিয়ে আমাদের কাছে অভিযোগ করেছে,

Tag :

সম্পাদক ও প্রকাশক:
মোঃ মহিউদ্দিন আল আজাদ

মোবাইল : ০১৭১৭-৯৯২০০৯ (নিউজ) বিজ্ঞাপন : ০১৬৭০-৯০৭৩৬৮
ইমেইলঃ notunerkotha@gmail.com

সমন্বয়ক আর জামায়াতের কারণে ইউনুছ সরকার ব্যর্থ হবে-ইঞ্জি. মমিনুল হক

মৈশাদী পরিষদে বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে সকল মেম্বারদের নিন্দা ও প্রতিবাদ

আপডেট: ০৯:১৬:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ মে ২০২০

বিশেষ প্রতিনিধিঃ

চাঁদপুর সদর উপজেলার ৬নং মৈশাদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যানের বিরুদ্ধে চাউল চুরির অপবাদের নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়েছে পরিষদের সকল মেম্বারগণ। এ বিষয়ে ৮ মে শুক্রবার পরিষদের সকল পুরুষ এবং নারী মেম্বাবারগণ একত্রিত হয়ে এমন মিথ্যা, বানোয়াট অপপ্রচারের সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন। পাশাপাশি যতোদিন পর্যন্ত এই অপপ্রচার ও অপবাদের বিচার না হবে, ততদিন তারা কেউ সরকারি কোনো ত্রান বিতরণ করবেন না এবং প্রয়োজনে প্রদত্যাগ করার হুঁসিয়ারি দেন।

সকল মেম্বারদের পক্ষে ৩নং ওয়ার্ড সদস্য বজলুল গণি জিলন বলেন, শুক্রবার মৈশাদী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি লিটন সরকার ও সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম মিয়াজী একটি অনাকাঙ্ক্ষিত-অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটায়। আমরা না কি চাউল চুরি করি, ত্রান দেই না, বলে সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার করেন। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। কারণ ওইদিন আমরা চাউলই বিতরণ করিনি। এই পরিষদের ১২ জন মেম্বারের মধ্যে ১০ জনই জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। আমরা এই করোনার মধ্যেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চেয়াম্যনসহ প্রতিটা মুহূর্ত সরকারের উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন এবং জনগণের কল্যানে কাজ করে যাচ্ছি। এখানে চেয়ারম্যান যদি অনিয়ম করতো তবে সরকার দলের মেম্বার হয়ে আমরাই আগে প্রতিবাদ করতাম।

তিনি আরো বলেন, আমাদের ইউনিয়নে মোট ২৬৭ জন জেলে রয়েছেন। তারা প্রত্যেকে ৪০ কেজি করে মোট ১০৬৮০ কেজি চাউল বরাদ্ধ পাবার কথা থাকলেও এই বছর অন্যান্য ইউনিয়নের মতো আমরাও কম বরাদ্ধের ১৯৮ জনের জন্যে ৭৯২০ কেজি চাউল পেয়েছি। যার ফলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে ২৬৭ জনের চাউল ১৯৮ জনের মাঝে ভাগ করে দিয়েছি।

৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মোশারফ হোসেন বেপারী বলেন, সারা বাংলাদেশে মৈশাদী ইউনিয়নের সুনাম রয়েছে।আমাদের পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামানা মানিক সমগ্র চাঁদপুর জেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠ ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছেন। আমি দুই বারের নির্বাচিত মেম্বার। এই পরিষদনে কখনোই চাউল চুরির মতো ঘটনা ঘটেনি। যারা এমন মিথ্যা অপবাদ-অপ্রচার করছে, আমরা তার নিন্দা জানাই।

আরো পড়ুন; চাঁদপুরে চাল চুরির প্রতিবাদে মৈশাদির ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল

২নং ওয়ার্ডের মেম্বার আবুল কালাম বেপারী এবং নারী মেম্বার ও ইউনিয়ম মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শিল্পী আক্তার বলেন, আমাদের ইউনিয়নে প্রতিটা গরীব অসহায় পরিবারের মাঝে আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সরকারের খাদ্যসহায়তা পৌঁছে দিচ্ছি। আমাদের পরিষদের নামে যারা চাউল চুরির নামে মিথ্যা অপপ্রচার করছে তার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার মো. ফারুক সরকার বলেন, এই পরিষদ কখনোই চাউল চুরি বা ত্রান অত্মসাৎ করেনি। এ বিষয়টি আমরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে অবগত করেছি।

এসময় অন্যান্য মেম্বারদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, হাকিম গাজী, সেলিম বেপারী, মোঃ দেলোয়ার হোসেন, আব্দুল বারেক, আবুল হোসেন খান মনা, সাহিদা বেগম।

মৈশাদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মনিরুজ্জামানা মানিক বলেন, আমার পরিষদের সকল মেম্বারগণ সরকারের সকল কর্মসূচি বাস্তবায়নে নিরলসভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। আমাদের মাননীয় সংসদ সদস্য ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি মহোদয়ের নির্বাচনী এলাকায় সরকারের কোনো বদনাম হোক এমন কাজ আমরা কখনোই করিনি। প্রতিটি ত্রার সভায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের সাথে সমন্বয় করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।  এই দূর্যোগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা সরকারের সহায়তায় পাশাপাশি ব্যক্তিগত অর্থায়নে অসহায় পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি। এমন ভালো কাজে ঈশ্বান্নিত হয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি লিটন সরকার ও সাধারণ সম্পাদক…আমাদের নামে মিথ্যা অপবাদ রটাতে চাচ্ছে। যার প্রতিবাদ জানানোর ভাষাও আমার জানা নেই। আমি মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী, জেলা প্রশাসক, ইউএনও এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মহোদয়ের কাছে এমন অপপ্রচারকারিদের বিচার দাবী করছি।

মনিরুজ্জামানা মানিক আরো বলেন, গত ৫ মে উপজেলা প্রশাসন থেকে অসহায়দের জন্যে ১০টাকা কেজি ধরে চাল বিতেণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহায়াতা কর্মসূচির তালিকা চাওয়া হয়। এবং ৬ মে দুপুর ১২টার মধ্যে সে তালিকা অনলাইনে জমা দেবার জন্যে বলা হয়। এ ক্ষেত্রে ওই দিনই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সস্পাদককে তাদের কোটার ১৩০ টি নামের তালিকা জমা দিতে বলি  কিন্তু বার বার বলার পরেও তারা তালিকা জমা দেয়নি। ফলে বাধ্য হয়ে আমরা শুধুমাত্র পরিষদের এবং এমপি মহোদয়ের কোটার নামের তালিকা জমা দেয়। তাদের জনে এই ইউনিয়নের বরাদ্দ থাকার পরেও কম নাম পাঠাতে হয়েছে।

এদিকে মেম্বারদের প্রতিবাদের খবর পেয়ে তাৎক্ষণাত সেখানে আসেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি লিটন সরকার। তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে আমারও কিছু দায়বদ্ধতা রয়েছে। অনেক ভুক্তভোগী মানুষ চালের বিষয় নিয়ে আমাদের কাছে অভিযোগ করেছে,