১ মাস পর হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদে জুময়ার নামাজ

  • আপডেট: ০৮:৫৩:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ মে ২০২০
  • ২৫

গাজী মহিনউদ্দিন:

করোনাভাইরাসের কারণে মসজিদে নামাজ পড়ার ওপর দেয়া বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার পর প্রথম জুমায় শুক্রবার চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদে অর্ধলক্ষাধীক মুসল্লি জুমার নামাজে অংশ নেন।

সরকারের দেওয়া স্বাস্থ্য নির্দেশনা মেনে মাস্ক পরিধান ও দূরত্ব বজায় রেখে নামাজ আদায় আদায় করেন মুসল্লীরা। এছাড়াও  মসজিদে প্রবেশের পূর্বে সকলকে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হয়।

প্রায় এক মাস করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধে মসজিদে ১২ জনের বেশী নামাজ আদায় করা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নিষিদ্ধ ছিল।

হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদে বারান্দা, দ্বিতীয়তলা মাঠসহ আশপাশে অর্ধলক্ষাধীিক মুসল্লি জুমার নামাজে অংশ নেন। তবে মসজিদ কর্তৃপক্ষ ব্যাপক তদারকিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি মাওলানা আবদুর রউফ মুসল্লিদের উদ্দেশে বলেন, ইতেকাফের জন্য হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদে প্রচুর মুসল্লি আসেন কিন্তু এবার সে সুযোগ নেই। ধর্মমন্ত্রণালয়ের নির্দেশে মসজিদে ৫জনের বেশী ইতেকাফে বসা যাবেনা। সে কারণে সবাইকে স্ব-স্ব মসজিদে ইতেকাফ করতে হবে। এ ছাড়া ফিতরা ৭০ টাকা হারে প্রদান করার কথা বলেন তিনি।

এ প্রতিষ্ঠানের মোতাওয়াল্লি অধ্যক্ষ ড. আলমগীর কবির পাটোয়ারি বলেন, এ মসজিদে প্রতি বছর রমজানে হাজার হাজার মুসল্লি অংশ নিতেন। আজও সে পরিস্থিতি হয়েছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই এবার নামাজ আদায় হচ্ছে। আমরা নিজেরাই সীমাবদ্ধ রাখার চেষ্টা করছি। স্বাস্থ্যসম্মত সব ব্যবস্থাই প্রস্তুত ছিল।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

১৬ বছর ধরে গায়ের জোরে ক্ষমতায় ছিল আ. লীগ: এহছানুল হক মিলন

১ মাস পর হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদে জুময়ার নামাজ

আপডেট: ০৮:৫৩:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ মে ২০২০

গাজী মহিনউদ্দিন:

করোনাভাইরাসের কারণে মসজিদে নামাজ পড়ার ওপর দেয়া বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার পর প্রথম জুমায় শুক্রবার চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদে অর্ধলক্ষাধীক মুসল্লি জুমার নামাজে অংশ নেন।

সরকারের দেওয়া স্বাস্থ্য নির্দেশনা মেনে মাস্ক পরিধান ও দূরত্ব বজায় রেখে নামাজ আদায় আদায় করেন মুসল্লীরা। এছাড়াও  মসজিদে প্রবেশের পূর্বে সকলকে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হয়।

প্রায় এক মাস করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধে মসজিদে ১২ জনের বেশী নামাজ আদায় করা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নিষিদ্ধ ছিল।

হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদে বারান্দা, দ্বিতীয়তলা মাঠসহ আশপাশে অর্ধলক্ষাধীিক মুসল্লি জুমার নামাজে অংশ নেন। তবে মসজিদ কর্তৃপক্ষ ব্যাপক তদারকিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি মাওলানা আবদুর রউফ মুসল্লিদের উদ্দেশে বলেন, ইতেকাফের জন্য হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদে প্রচুর মুসল্লি আসেন কিন্তু এবার সে সুযোগ নেই। ধর্মমন্ত্রণালয়ের নির্দেশে মসজিদে ৫জনের বেশী ইতেকাফে বসা যাবেনা। সে কারণে সবাইকে স্ব-স্ব মসজিদে ইতেকাফ করতে হবে। এ ছাড়া ফিতরা ৭০ টাকা হারে প্রদান করার কথা বলেন তিনি।

এ প্রতিষ্ঠানের মোতাওয়াল্লি অধ্যক্ষ ড. আলমগীর কবির পাটোয়ারি বলেন, এ মসজিদে প্রতি বছর রমজানে হাজার হাজার মুসল্লি অংশ নিতেন। আজও সে পরিস্থিতি হয়েছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই এবার নামাজ আদায় হচ্ছে। আমরা নিজেরাই সীমাবদ্ধ রাখার চেষ্টা করছি। স্বাস্থ্যসম্মত সব ব্যবস্থাই প্রস্তুত ছিল।