দোকান এবং মেস ভাড়া মওকুফ করা উচিৎ 

  • আপডেট: ০২:০২:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ মে ২০২০
  • ৩৮

সুজন কুমার শীল

করোনা ভাইরাসের মরণ থাবায় ক্ষতবিক্ষত হচ্ছে গোটা বিশ্ব। গত নভেম্বরে চীন থেকে শুর হওয়া এই ভাইরাস বিশ্বের ২১০ টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্বের শক্তিশালী ও ধনী রাষ্ট্রগুলোও করোনা ভাইরাসের থাবায় ক্ষতবিক্ষত হচ্ছে। বিশ্বের সুনামধন্য বিজ্ঞানীরাও ব্যর্থ হচ্ছে এর ঔষধ তৈরি করতে। করোনা ভাইরাসের প্রভাবে গোটা বিশ্ব এখন নিরব হয়ে রয়েছে। এর প্রতিকার করতে রাষ্ট্রের সরকার রাষ্ট্রকে লকডাউন করে রাখছে।

করোনার প্রভাব বাংলাদেশেও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশের ৬৪ টি জেলার মধ্যে ৬১ টি জেলায় করোনা রোগী সনাক্ত হয়েছে। লকডাউন হয়েছে করোনা আক্রান্ত সকল জেলা।বাংলাদেশে প্রথম করোনা সনাক্ত হওয়ার পরপরই সরকারি নির্দেশনায় বন্ধ করা হয় শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকান,কাঁচাবাজার এবং ফার্মেসী ব্যাতীত বন্ধ করা হয় সকল দোকানপাঠ।এতে করে কর্মহীন হয়ে পড়ে দেশের কোটি কোটি মানুষ।

হাতে গোনা কিছু মানুষ ব্যাতীত বাংলাদেশের বেশী র ভাগ মানুষই আছে যাদের একদিন কর্মক্ষেত্রে না গেলে আর্থিক সমস্যায় পড়তে হয়।  শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ায় শিক্ষার্থীরা তাদের মেস/ হোস্টেল ছেড়ে বাসায় চলে আসে। নিরুপায় হয়ে দোকান- পাঠ বন্ধ করে বাসায় বসে থাকে বিভিন্ন পেশার দোকানীরা। এতে করে তাদের আর্থিক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। দিন যতই গড়াচ্ছে তাদের সমস্যা জটিল থেকে জটিলতর হয়ে উঠছে।

এত সমস্যার মধ্যেও তাদের দিতে হচ্ছে দোকানভাড়া,ছেলেমেয়েদের মেস/হোস্টল ভাড়া,স্কল-কলেজের বেতন। যেগুলো রীতিমত বন্ধ রয়েছে। দোকান ভাড়া না দিলে মালিক বিভিন্ন ধরনের ভয়ভিতি দেখাচ্ছে। দোকান ছেড়ে দেওয়ার কথা বলছে। ছেলেমেয়েদের মেস/হোস্টেল ভাড়ার জন্য চাপ দিচ্ছে মেস মালিক। এত সমস্যার সম্মুখীন হয়ে অবিভাবকদের প্রায় আত্মহত্যা করার অবস্থা।

তাদের দাবী তারা দুইবেলা খেতে পারছে না। তাহলে এইসব ভাড়া তারা সংগ্রহ করবে কিভাবে? তারা মনে করেন একমাত্র সরকারই পারে এই সমস্যা দূর করতে। সরকারি ভাবে যদি এইসব ভাড়া মওকুফ করা হয় তাহলে মালিকেরা তাদের চাপ দিতে পারবে না। ফলে তাদের দোকান ছেড়ে দিতে হবে না। ছেলেমেয়েদের মেস ছেড়ে দিতে হবে না। তারা সন্মানের সহিত দুইবেলা খেতে পারবে এবং সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক ঘরে থাকতে পারবে।

এইদিকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। অর্থাৎ এতদিন বাসায় থাকতে হবে সকল শিক্ষার্থীদের। আর বাসায় থেকেই প্রতিমাসে তাদের দিতে হবে মেস ভাড়া। এমতাবস্থায় অনেক শিক্ষার্থী মেস ছেড়ে দিতে চাইলে মালিক হুমকি-ধামকা দিচ্ছে।

এই কঠিন পরিস্থিতির স্বীকার হয়ে শিক্ষার্থীরা বিভিন্নভাবে আন্দোলন করছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের আন্দোলন দেখে অনেকে আশঙ্কা করছে এমনভাবে চলতে থাকলে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে পড়বে আন্দোলন করতে। এতে করে করোনা পরিস্থিতি আরো ভয়ানক রূপ নিতে পারবে।

তাই সকল অবিভাবকদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে বন্ধ থাকা সকল প্রতিষ্ঠানের ভাড়া মওকুফ করার দাবী জানায়। তারা মনে করে সরকারি ভাবে এই ভাড়া মওকুফ করা হলে শিক্ষার্থী এবং সাধারণ মানুষ অনেক উপকৃত হবে। সকলের কথা চিন্তা করে বন্ধ থাকা প্রতিষ্ঠানের ভাড়া মওকুফ করা উচিৎ।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

অবসরপ্রাপ্ত সচিব এএমএম নাসিরউদ্দিন প্রধান নির্বাচন কমিশনার

দোকান এবং মেস ভাড়া মওকুফ করা উচিৎ 

আপডেট: ০২:০২:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ মে ২০২০

করোনা ভাইরাসের মরণ থাবায় ক্ষতবিক্ষত হচ্ছে গোটা বিশ্ব। গত নভেম্বরে চীন থেকে শুর হওয়া এই ভাইরাস বিশ্বের ২১০ টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্বের শক্তিশালী ও ধনী রাষ্ট্রগুলোও করোনা ভাইরাসের থাবায় ক্ষতবিক্ষত হচ্ছে। বিশ্বের সুনামধন্য বিজ্ঞানীরাও ব্যর্থ হচ্ছে এর ঔষধ তৈরি করতে। করোনা ভাইরাসের প্রভাবে গোটা বিশ্ব এখন নিরব হয়ে রয়েছে। এর প্রতিকার করতে রাষ্ট্রের সরকার রাষ্ট্রকে লকডাউন করে রাখছে।

করোনার প্রভাব বাংলাদেশেও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশের ৬৪ টি জেলার মধ্যে ৬১ টি জেলায় করোনা রোগী সনাক্ত হয়েছে। লকডাউন হয়েছে করোনা আক্রান্ত সকল জেলা।বাংলাদেশে প্রথম করোনা সনাক্ত হওয়ার পরপরই সরকারি নির্দেশনায় বন্ধ করা হয় শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকান,কাঁচাবাজার এবং ফার্মেসী ব্যাতীত বন্ধ করা হয় সকল দোকানপাঠ।এতে করে কর্মহীন হয়ে পড়ে দেশের কোটি কোটি মানুষ।

হাতে গোনা কিছু মানুষ ব্যাতীত বাংলাদেশের বেশী র ভাগ মানুষই আছে যাদের একদিন কর্মক্ষেত্রে না গেলে আর্থিক সমস্যায় পড়তে হয়।  শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ায় শিক্ষার্থীরা তাদের মেস/ হোস্টেল ছেড়ে বাসায় চলে আসে। নিরুপায় হয়ে দোকান- পাঠ বন্ধ করে বাসায় বসে থাকে বিভিন্ন পেশার দোকানীরা। এতে করে তাদের আর্থিক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। দিন যতই গড়াচ্ছে তাদের সমস্যা জটিল থেকে জটিলতর হয়ে উঠছে।

এত সমস্যার মধ্যেও তাদের দিতে হচ্ছে দোকানভাড়া,ছেলেমেয়েদের মেস/হোস্টল ভাড়া,স্কল-কলেজের বেতন। যেগুলো রীতিমত বন্ধ রয়েছে। দোকান ভাড়া না দিলে মালিক বিভিন্ন ধরনের ভয়ভিতি দেখাচ্ছে। দোকান ছেড়ে দেওয়ার কথা বলছে। ছেলেমেয়েদের মেস/হোস্টেল ভাড়ার জন্য চাপ দিচ্ছে মেস মালিক। এত সমস্যার সম্মুখীন হয়ে অবিভাবকদের প্রায় আত্মহত্যা করার অবস্থা।

তাদের দাবী তারা দুইবেলা খেতে পারছে না। তাহলে এইসব ভাড়া তারা সংগ্রহ করবে কিভাবে? তারা মনে করেন একমাত্র সরকারই পারে এই সমস্যা দূর করতে। সরকারি ভাবে যদি এইসব ভাড়া মওকুফ করা হয় তাহলে মালিকেরা তাদের চাপ দিতে পারবে না। ফলে তাদের দোকান ছেড়ে দিতে হবে না। ছেলেমেয়েদের মেস ছেড়ে দিতে হবে না। তারা সন্মানের সহিত দুইবেলা খেতে পারবে এবং সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক ঘরে থাকতে পারবে।

এইদিকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। অর্থাৎ এতদিন বাসায় থাকতে হবে সকল শিক্ষার্থীদের। আর বাসায় থেকেই প্রতিমাসে তাদের দিতে হবে মেস ভাড়া। এমতাবস্থায় অনেক শিক্ষার্থী মেস ছেড়ে দিতে চাইলে মালিক হুমকি-ধামকা দিচ্ছে।

এই কঠিন পরিস্থিতির স্বীকার হয়ে শিক্ষার্থীরা বিভিন্নভাবে আন্দোলন করছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের আন্দোলন দেখে অনেকে আশঙ্কা করছে এমনভাবে চলতে থাকলে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে পড়বে আন্দোলন করতে। এতে করে করোনা পরিস্থিতি আরো ভয়ানক রূপ নিতে পারবে।

তাই সকল অবিভাবকদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে বন্ধ থাকা সকল প্রতিষ্ঠানের ভাড়া মওকুফ করার দাবী জানায়। তারা মনে করে সরকারি ভাবে এই ভাড়া মওকুফ করা হলে শিক্ষার্থী এবং সাধারণ মানুষ অনেক উপকৃত হবে। সকলের কথা চিন্তা করে বন্ধ থাকা প্রতিষ্ঠানের ভাড়া মওকুফ করা উচিৎ।