ধোপল্লায় খেলাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত- ১

  • আপডেট: ০৮:০১:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুন ২০১৯
  • ৬০

নতুনেরকথা অনলাইন :
শাহরাস্তির ধোপল্লায় লুডু খেলাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের অর্তকিত হামলা ও মারধরে আবু সুফিয়ান (৪০) নামের এক যুবক গুরুতর আহত হয়েছেন। তিনি বর্তমানে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। রবিবার দিবাগত রাতে ধোপল্লা বাজারে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহত আবু সুফিয়ান ধোপল্লা দক্ষিণ পাড়া মিয়াজি বাড়ীর আবু তালেবের বড় ছেলে।

একই এলাকার মাসুদ আলম (২৮) ও ইসমাঈল (৩০) এর অর্তকিত হামলা এবং মারধরে মাথা ফেটে ও রক্তাক্ত জখম হয়ে গুরুতর আহত হন আবু সুফিয়ান। হামলাকারী মাসুদ আলম ওই গ্রামের শেখ বাড়ির মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে এবং ইসমাঈল একই বাড়ির রফিকুল ইসলামের ছেলে। তারা দুজন চাচাতো-জেঠাতো ভাই। এ ঘটনায় আইনের আশ্রয় নিবেন বলে জানান আবু সুফিয়ানের পরিবার।

ঘটনার বিবরনে সুফিয়ানের ছোট ভাই আবু শাহিদ জানান, গত শুক্রবার লুডু খেলাকে কেন্দ্র করে আমার সাথে মাসুদ ও ইসমাঈলের বাক-বিতন্ডা হয়। পরে ওই দিন রাতে তারা দুজন অর্তকিত হামলা চালিয়ে আমাকে মারধর করে। বিষয়টি আমি এলাকাবাসীকে জানাই। আজ (রবিবার) রাতে তারা আবারো আমার বড় ভাই আবু সুফিয়ানের উপর অর্তকিত হামলা চালায় এবং তাকে মারধর করে।

প্রত্যক্ষদর্শী সোহাগ জানান, এদিন রাতে তিনিসহ আবু সুফিয়ান ধোপল্লা বাজারের একটি দোকানে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। হঠাৎ করে সুফিয়ানের উপর মাসুদ আলম ও ইসমাঈল অর্তকিত হামলা চালায়। তাদের কিল-ঘুষি এবং চার্জ লাইটের বেশ কয়েকটি আঘাতে রক্তাক্ত হয়ে মাটিতে লুটিতে পড়েন সুফিয়ান। পরবর্তীতে তিনিসহ স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন।

এ বিষয়ে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক (উপ-সহকারি কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার) মামুন জানান, আবু সুফিয়ান আশংকামুক্ত। তবে তিনি গুরুতর আহত হয়েছেন। তার মাথায় কয়েকটি সেলাই দিতে হয়েছে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত রয়েছে।

মারধরে বিষয়ে অভিযুক্ত মাসুদ আলম জানান, কয়েকদিন আগে লুডু খেলাকে কেন্দ্র করে শাহিদের সাথে বাক-বিতন্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। বিষয়টি সেখানেই শেষ হয়ে যায়। পরবর্তীতে রবিবার সন্ধ্যায় শাহিদ ও সোহেলসহ কয়েকজন একত্রিত হয়ে আমার উপর অর্তকিত হামলা চালায় এবং আমাকে মারধর করে।

তিনি বলেন, আমি ও ইসমাঈল মারধরের বিষয়টি শাহিদের বড় ভাই সুফিয়ানকে অবহিত করলে, তিনি উল্টা-পাল্টা কথা বলেন। এ সময় আমাদের সাথে তার বাক-বিতন্ডা হয় হয় এবং হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এক প্রশ্নের জবাবে মাসুদ আলম বলেন, আমি গ্রাম্য ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নিয়েছি।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

মতলব উত্তর উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ কুদ্দুস’সহ ২০৬ জনকে আসামী করে মামলা

ধোপল্লায় খেলাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত- ১

আপডেট: ০৮:০১:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুন ২০১৯

নতুনেরকথা অনলাইন :
শাহরাস্তির ধোপল্লায় লুডু খেলাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের অর্তকিত হামলা ও মারধরে আবু সুফিয়ান (৪০) নামের এক যুবক গুরুতর আহত হয়েছেন। তিনি বর্তমানে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। রবিবার দিবাগত রাতে ধোপল্লা বাজারে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহত আবু সুফিয়ান ধোপল্লা দক্ষিণ পাড়া মিয়াজি বাড়ীর আবু তালেবের বড় ছেলে।

একই এলাকার মাসুদ আলম (২৮) ও ইসমাঈল (৩০) এর অর্তকিত হামলা এবং মারধরে মাথা ফেটে ও রক্তাক্ত জখম হয়ে গুরুতর আহত হন আবু সুফিয়ান। হামলাকারী মাসুদ আলম ওই গ্রামের শেখ বাড়ির মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে এবং ইসমাঈল একই বাড়ির রফিকুল ইসলামের ছেলে। তারা দুজন চাচাতো-জেঠাতো ভাই। এ ঘটনায় আইনের আশ্রয় নিবেন বলে জানান আবু সুফিয়ানের পরিবার।

ঘটনার বিবরনে সুফিয়ানের ছোট ভাই আবু শাহিদ জানান, গত শুক্রবার লুডু খেলাকে কেন্দ্র করে আমার সাথে মাসুদ ও ইসমাঈলের বাক-বিতন্ডা হয়। পরে ওই দিন রাতে তারা দুজন অর্তকিত হামলা চালিয়ে আমাকে মারধর করে। বিষয়টি আমি এলাকাবাসীকে জানাই। আজ (রবিবার) রাতে তারা আবারো আমার বড় ভাই আবু সুফিয়ানের উপর অর্তকিত হামলা চালায় এবং তাকে মারধর করে।

প্রত্যক্ষদর্শী সোহাগ জানান, এদিন রাতে তিনিসহ আবু সুফিয়ান ধোপল্লা বাজারের একটি দোকানে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। হঠাৎ করে সুফিয়ানের উপর মাসুদ আলম ও ইসমাঈল অর্তকিত হামলা চালায়। তাদের কিল-ঘুষি এবং চার্জ লাইটের বেশ কয়েকটি আঘাতে রক্তাক্ত হয়ে মাটিতে লুটিতে পড়েন সুফিয়ান। পরবর্তীতে তিনিসহ স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন।

এ বিষয়ে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক (উপ-সহকারি কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার) মামুন জানান, আবু সুফিয়ান আশংকামুক্ত। তবে তিনি গুরুতর আহত হয়েছেন। তার মাথায় কয়েকটি সেলাই দিতে হয়েছে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত রয়েছে।

মারধরে বিষয়ে অভিযুক্ত মাসুদ আলম জানান, কয়েকদিন আগে লুডু খেলাকে কেন্দ্র করে শাহিদের সাথে বাক-বিতন্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। বিষয়টি সেখানেই শেষ হয়ে যায়। পরবর্তীতে রবিবার সন্ধ্যায় শাহিদ ও সোহেলসহ কয়েকজন একত্রিত হয়ে আমার উপর অর্তকিত হামলা চালায় এবং আমাকে মারধর করে।

তিনি বলেন, আমি ও ইসমাঈল মারধরের বিষয়টি শাহিদের বড় ভাই সুফিয়ানকে অবহিত করলে, তিনি উল্টা-পাল্টা কথা বলেন। এ সময় আমাদের সাথে তার বাক-বিতন্ডা হয় হয় এবং হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এক প্রশ্নের জবাবে মাসুদ আলম বলেন, আমি গ্রাম্য ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নিয়েছি।