হাইমচর প্রতিনিধি:
হাইমচর উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা রাসেল হোসেন মাল কে হত্যার উদ্দেশ্য তার বাড়িতে মঙ্গলবার তাজুল ইসলাম মালের নেতৃত্বে হামলা করা হয়।এতে করে রাসেল মালের মাথায় রড় দিয়ে আঘাত করতে গেলে ডান হাতে দিয়ে বাধা দিলে হাতের দুটি হাড় ভেঙ্গে যায় ও পুরো শরীর কে লোহার পাইফ দিয়ে থেতলে দেয় হামলা কারীরা।হামলায় রাসেল মালকে বাচাতে তার বড় ভাই এগিয়ে আসলে, তিনিও আহত হয়। রাসেল মালের ভাই জয়নাল মালের হাতের দুটি আঙ্গুল পড়ে যায় এবং পিটে সারা শরীর থেতলে দেয়া হয়।
১৪ এপ্রিল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় উপজেলার প্রাণ কেন্দ্রে মহজমপুর গ্রামে আক্কাছ মাল ও তাজুল ইসলাম মালের মধ্যে পূর্ব শত্রুতা কে কেন্দ্র করে তাজুল ইসলাম মালের নেতৃত্বে আক্কাস মালের বাড়িতে গিয়ে হামলায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার সন্ধার সময় হঠাৎ করে তাজুল ইসলাম মাল ও তার ছেলে সোহাগ মাল ও শাহিন মাল সহ ৩০জনের মত অস্ত্র, বগী ও লোহার পাইফ নিয়ে রাসেল মালের বাড়িতে এসে হামলা করে।
হামলায় আহতদের কে নিয়ে প্রথমে হাইমচর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা করে দ্রুত এম্বুলেন্স দিয়ে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
সদর হাসপাতালে রাসেল মাল হাত এক্স করালে দুটি হাড় ভাংগা দেখা যায়।পিঠে বগী দিয়ে কুপ দেওয়ার ফলে রক্ত খরন হয়েছে।মাথায় প্রচন্ড আগাত পেয়েছে,যার কারণে মাথা সিটি স্কিন করালে রিপোর্ট দেখে ডা বলেন,শরীর একটু উন্নত হলে ঢাকায় নিউরোলজি বিভাগের ডাক্তার দেখিয়ে চিকিৎসা নেওয়া জন্য বলেছেন।
রাসেল মালের বাবা মহজমপুর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আক্কাস মাল বলেন,হামলা সময় আমি বাড়িতে ছিলাম না।আমি হাসপাতালে এসে আমার তিন সন্তান কে ইম্রাজেসি বিভাগে দেখতে পাই। আমার সন্তান কে হত্যার উদ্দেশ্য এই নরকীয় হামলা করেছে।আমি শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি মহোদয় সহ আওয়ামীলীগে ও প্রশাসন সকলের কাছে সুবিচার চাই।দেশের এই পরিবেশে মানুষ এভাবে কার উপর হামলা করতে পারে না।
সংঘর্ষের ঘটনার সংবাদ পেয়ে হাইমচর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জহিরুল ইসলাম খাঁন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।তিনি বলেন,এখন পযন্ত মামলা হয়নী, কেউ গ্রেফতার ও হয়নী।
এদিকে রাসেল মালের মাথায় প্রচন্ড আঘাত পাওয়া কারণে উন্নতি চিকিৎসা জন্য হাসপাতাল থেকে থাকে সিট কেটে ঢাকায় গিয়ে উন্নতি চিকিৎসা জন্য ডক্টর পরামর্শ দেন।
এ ঘটনায় চাঁদপুর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, আমরা এ ঘটনার সুস্ট বিচার চাই,যারাই এ ঘটনার সাথে জড়িত তাদের কে আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, বাড়িতে গিয়ে হামলা ঘটনা হয়েছে তা সত্য।আর যেভাবে অস্ত্র নিয়ে তারা এলাকায় শক্তি প্রদর্শন করেছে,তা আমাদের এলাকার জন্য ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। যে সকল অস্ত্র ব্যবহার করেছে তা যদি পুলিশ উদ্ধার করে তাহলে এলাকার জন্য ভালো হবে।