আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের অবস্থার অবনতি হওয়ার পর মঙ্গলবার তাকে হাসপাতালের একটি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তিনি জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছে। তার তার বান্ধবীও রয়েছে হোম কোয়ারেন্টেনে।
এদিকে কোভিড-১৯ সংকট মোকাবেলায় তার প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রব।- খবর রয়টার্স ও গার্ডিয়ানের
ক্রমাগত করোনার উপসর্গ দেখা দেয়ার পর রোববার দিনের শেষভাগে তাকে মধ্য লন্ডনের সেন্ট থমাস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। একটানা ১০ দিনেরও বেশি সময় ধরে তার শরীরে উচ্চ তাপমাত্রা ছিল।
পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় তার অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটছিল। আশঙ্কাজনক রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হয়; এমন একটি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাকে অক্সিজেন দিতে হয়েছে। তবে তিনি জ্ঞান হারাননি বলে জানিয়েছে তার অফিস।
ডাউনিং স্ট্রিট জানায়, তাকে পূর্ব সতর্কতামূলকভাবে আইসিইউতে নেয়া হয়েছে। যদি তার সুস্থ হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে ভেন্টিলেটর দরকার হয়, সেই আশঙ্কা থেকেই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
একজন প্রধানমন্ত্রী অসমর্থ হয়ে পড়লে তার স্থলাভিষিক্ত করার ক্ষেত্রে আনুষ্ঠানিক কোনো উত্তরসূরি নির্ধারণ পরিকল্পনা নেই ব্রিটেনে।
ডাউনিং স্ট্রিট জানায়, যেখানে প্রয়োজন, সেখানে সরকারপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রবকে অনুরোধ করেছেন বরিস জনসন।
গত মাসে পরীক্ষায় জনসনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছিল। তারপর থেকে ডাউনিং স্ট্রিটের বাসভবনে আইসোলেশনে ছিলেন তিনি।
কিন্তু ১০ দিন পার হওয়ার পরও শরীরে জ্বর থাকায় পরীক্ষার জন্য তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা দরকার বলে মনে করেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক।
করোনাভাইরাস মহামারীর কঠিন সময়ে জাতির উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ আত্ম-নিয়ন্ত্রণ এবং দৃঢ়সংকল্প নিয়ে পরিস্থিতি মোকাবেলার ডাক দেয়ার মাত্র এক ঘণ্টা পর জনসনকে হাসপাতালে ভর্তি করার খবর আসে।
পরীক্ষায় তার দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে তা ২৭ মার্চ ঘোষণা করেছিলেন জনসন। তারপর থেকে ডাউনিং স্ট্রিটের একটি অ্যাপার্টমেন্টে আইসোলেশনে ছিলেন এবং শুক্রবারও শরীরে জ্বর থাকার কথা জানিয়েছিলেন তিনি।
৩ মার্চ এক সংবাদ সম্মেলনে জনসন করোনাভাইরাস রোগীদের সঙ্গে হাত মেলানোর কথা জানিয়েছিলেন।