চাঁদপুরে আসামী ধরতে গিয়ে পুলিশের হ্যান্ডকাপ ছিনতাই॥ সন্ত্রাসী হামলায় আহত- ৬

  • আপডেট: ০৩:২৬:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ এপ্রিল ২০২০
  • ২৯

নিজস্ব প্রতেবদক॥

চাঁদপুরে আসামী ধরতে গিয়ে পুলিশের হ্যান্ডকাপ ছিনতাই করেছে আসামীরা। এ ঘটনার ৩ ঘন্টা পর ব্যাপক চেস্টা চালিয়ে পুলিশের হ্যান্ডকাপ উদ্ধার করা সম্বব হয়েছে। পুলিশের সামনে সন্ত্রাসী হামলায় ৬জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় চাঁদপুর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে চান্দ্রা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড মধ্য বাখরপুর সিরাজ গাজীর বাড়িতে এই হামলার ঘটনা ঘটে।

চাঁদপুর সদর উপজেলার ১২নং চান্দ্রা ইউনিয়নে পুলিশের উপস্থিতিতে সন্ত্রাসী হামলায় মহিলাসহ ছয়জনকে আহত করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ হস্তক্ষেপ করলে সন্ত্রাসীরা পুলিশের উপর হামলা চালায় এবং পুলিশের হ্যান্ডকাপটি ছিনিয়ে নিয়ে যায়। প্রায় তিন ঘণ্টা পর অবশেষে পুলিশের ছিনতাই হওয়া হ্যান্ডকাপ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।

এই ঘটনায় পুলিশের কাছ থেকে হ্যান্ডকাপ ছিনিয়ে নেওয়া আসামি কাজল গাজীর ছেলে ওসমান গাজী ও কাশেম গাজীর ছেলে আরিফ গাজিসহ ১১ জনকে আসামী করে চাঁদপুর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়।

পুলিশের উপস্থিতিতে হামলার শিকার হওয়া সিরাজ গাজী তার মা রাবেয়া বেগম, ছেলে জুয়েল, পারভেজ গাজী, শাকিল গাজী, শিহাব গাজী ও স্ত্রী নাজমা বেগমকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, মধ্য বাখরপুর গ্রামে শাহজাহান গাজীর কাছ থেকে সিরাজ গাজী প্রায় ৩০ শতাংশ জায়গা ক্রয় করে দখল সূত্রে মালিক হয়ে বসবাস করে যাচেছ। সেই জায়গা কাশিম গাজীর ছেলে আরিফ, রাব্বি গাজি, ওসমান ও খলিল গাজী নিজেদের দাবি করে দখল করার চেষ্টা করে। এই ঘটনায় চাঁদপুর আদালতে মামলা দায়ের করা হয়।

এছাড়া জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সিরাজ গাজী চাঁদপুর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। শুক্রবার সিরাজ গাজীর ক্রয়কৃত জায়গায় আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে জোরপূর্বক ভাবে কাশেম গাজির ছেলে আরিফ গাজি বসতঘর নির্মাণের কাজ শুরু করে। এ ঘটনায় সিরাজ গাজী বাদী হয়ে চাঁদপুর মডেল থানায একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে চাঁদপুর মডেল থানার এএসআই ইয়াকুব সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেন। এ সময় পুলিশ দেখামাত্রই কাসেম গাজী লাঠি নিয়ে এসে বাদি সিরাজের উপর হামলা চালায়। তারপরেই দুই পক্ষের মাঝে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ও হামলার ঘটনা ঘটে। পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দিতে গেলে কাজল গাজীর ছেলে ওসমান গাজী পুলিশের কাছ থেকে হ্যান্ডকাপটি ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।

প্রায় তিন ঘণ্টা পর চেষ্টা চালিয়ে পুলিশের ছিনতাই হওয়া হ্যান্ডকাপটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়। পরে পুলিশ আহত বাদি সিরাজ গাজীকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান।

সম্পত্তি দখল ও পুলিশকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোনো সময় আবারও রক্ত ক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা দেখা দিতে পারে। আহত সিরাজ গাজীর পরিবারবর্গ জানায়, মধ্য বাখরপুর এলাকার কাসেম গাজী, কাজল গাজী, আবুল গাজী তিন ভাই ও তাদের ছেলেরা এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালিয়ে সম্পত্তি দখল করার চেষ্টা চালায়। সিরাজ গাজীর ক্রয়কৃত জায়গা দখল করার জন্য বেশ কয়েকবার সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ও হামলা চালায়।

এ ঘটনায় এলাকায় বেশ কয়েকবার সালিশী বৈঠক হলেও তার সমাধান হয়নি অবশেষে আদালত ও থানা পুলিশের আশ্রয় নিলে প্রতিপক্ষরা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। মামলা তুলে নেওয়ার জন্য সিরাজ গাজীকে জানে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। নিরীহ ও অসহায় পরিবারের নিরাপত্তার নেই,যে কোনো সময় তারা আবারও হামলা চালিয়ে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে করে প্রশাসন অতি দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে এই ভূমিদস্যু সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান ভুক্তভোগীরা ।

Tag :

সম্পাদক ও প্রকাশক:
মোঃ মহিউদ্দিন আল আজাদ

মোবাইল : ০১৭১৭-৯৯২০০৯ (নিউজ) বিজ্ঞাপন : ০১৬৭০-৯০৭৩৬৮
ইমেইলঃ notunerkotha@gmail.com

সমন্বয়ক আর জামায়াতের কারণে ইউনুছ সরকার ব্যর্থ হবে-ইঞ্জি. মমিনুল হক

চাঁদপুরে আসামী ধরতে গিয়ে পুলিশের হ্যান্ডকাপ ছিনতাই॥ সন্ত্রাসী হামলায় আহত- ৬

আপডেট: ০৩:২৬:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ এপ্রিল ২০২০

নিজস্ব প্রতেবদক॥

চাঁদপুরে আসামী ধরতে গিয়ে পুলিশের হ্যান্ডকাপ ছিনতাই করেছে আসামীরা। এ ঘটনার ৩ ঘন্টা পর ব্যাপক চেস্টা চালিয়ে পুলিশের হ্যান্ডকাপ উদ্ধার করা সম্বব হয়েছে। পুলিশের সামনে সন্ত্রাসী হামলায় ৬জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় চাঁদপুর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে চান্দ্রা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড মধ্য বাখরপুর সিরাজ গাজীর বাড়িতে এই হামলার ঘটনা ঘটে।

চাঁদপুর সদর উপজেলার ১২নং চান্দ্রা ইউনিয়নে পুলিশের উপস্থিতিতে সন্ত্রাসী হামলায় মহিলাসহ ছয়জনকে আহত করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ হস্তক্ষেপ করলে সন্ত্রাসীরা পুলিশের উপর হামলা চালায় এবং পুলিশের হ্যান্ডকাপটি ছিনিয়ে নিয়ে যায়। প্রায় তিন ঘণ্টা পর অবশেষে পুলিশের ছিনতাই হওয়া হ্যান্ডকাপ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।

এই ঘটনায় পুলিশের কাছ থেকে হ্যান্ডকাপ ছিনিয়ে নেওয়া আসামি কাজল গাজীর ছেলে ওসমান গাজী ও কাশেম গাজীর ছেলে আরিফ গাজিসহ ১১ জনকে আসামী করে চাঁদপুর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়।

পুলিশের উপস্থিতিতে হামলার শিকার হওয়া সিরাজ গাজী তার মা রাবেয়া বেগম, ছেলে জুয়েল, পারভেজ গাজী, শাকিল গাজী, শিহাব গাজী ও স্ত্রী নাজমা বেগমকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, মধ্য বাখরপুর গ্রামে শাহজাহান গাজীর কাছ থেকে সিরাজ গাজী প্রায় ৩০ শতাংশ জায়গা ক্রয় করে দখল সূত্রে মালিক হয়ে বসবাস করে যাচেছ। সেই জায়গা কাশিম গাজীর ছেলে আরিফ, রাব্বি গাজি, ওসমান ও খলিল গাজী নিজেদের দাবি করে দখল করার চেষ্টা করে। এই ঘটনায় চাঁদপুর আদালতে মামলা দায়ের করা হয়।

এছাড়া জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সিরাজ গাজী চাঁদপুর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। শুক্রবার সিরাজ গাজীর ক্রয়কৃত জায়গায় আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে জোরপূর্বক ভাবে কাশেম গাজির ছেলে আরিফ গাজি বসতঘর নির্মাণের কাজ শুরু করে। এ ঘটনায় সিরাজ গাজী বাদী হয়ে চাঁদপুর মডেল থানায একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে চাঁদপুর মডেল থানার এএসআই ইয়াকুব সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেন। এ সময় পুলিশ দেখামাত্রই কাসেম গাজী লাঠি নিয়ে এসে বাদি সিরাজের উপর হামলা চালায়। তারপরেই দুই পক্ষের মাঝে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ও হামলার ঘটনা ঘটে। পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দিতে গেলে কাজল গাজীর ছেলে ওসমান গাজী পুলিশের কাছ থেকে হ্যান্ডকাপটি ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।

প্রায় তিন ঘণ্টা পর চেষ্টা চালিয়ে পুলিশের ছিনতাই হওয়া হ্যান্ডকাপটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়। পরে পুলিশ আহত বাদি সিরাজ গাজীকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান।

সম্পত্তি দখল ও পুলিশকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোনো সময় আবারও রক্ত ক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা দেখা দিতে পারে। আহত সিরাজ গাজীর পরিবারবর্গ জানায়, মধ্য বাখরপুর এলাকার কাসেম গাজী, কাজল গাজী, আবুল গাজী তিন ভাই ও তাদের ছেলেরা এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালিয়ে সম্পত্তি দখল করার চেষ্টা চালায়। সিরাজ গাজীর ক্রয়কৃত জায়গা দখল করার জন্য বেশ কয়েকবার সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ও হামলা চালায়।

এ ঘটনায় এলাকায় বেশ কয়েকবার সালিশী বৈঠক হলেও তার সমাধান হয়নি অবশেষে আদালত ও থানা পুলিশের আশ্রয় নিলে প্রতিপক্ষরা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। মামলা তুলে নেওয়ার জন্য সিরাজ গাজীকে জানে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। নিরীহ ও অসহায় পরিবারের নিরাপত্তার নেই,যে কোনো সময় তারা আবারও হামলা চালিয়ে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে করে প্রশাসন অতি দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে এই ভূমিদস্যু সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান ভুক্তভোগীরা ।