চাঁদপুরে করোনা সন্দেহে হাসপাতালে ১জন ভর্তি, চিকিৎসকসহ ৩৩৭জন হোম কোয়ারেন্টিনে

  • আপডেট: ০২:৩০:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ মার্চ ২০২০
  • ২৮

হাজীগঞ্জ, ২৭ মার্চ, শুক্রবার:

চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে মানিকগঞ্জ জেলার বাসিন্দা সুমন (১৭) নামে এক যুবককে শুক্রবার (২৭ মার্চ) দুপুরে চাঁদপুর সরকারী জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া চাঁদপুর সরকারী জেনারেল হাসপাতালে করোনা সন্দেহে হাসপাতালের আইসোলেশনে থাকা মতলব উত্তর উপজেলার সৌদি প্রবাসি মা মেয়ে’সহ সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছে।

অপরদিকে ভারত থেকে আসা নতুন একজনসহ ৩৩১ জন ও আজকের ৬জনসহ ৩৩৭জন প্রবাসী ও প্রবাস ফেরত ব্যক্তি হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। ১৪ দিন অতিবাহিত করায় ১৫ জনকে শুক্রবার হোম কোয়ারেন্টাইন থেকে মুক্ত করা হয়েছে।

চাঁদপুর সরকারী হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার আরএমও মো: হাসিবুল হাসান আসিব চৌধুরী যুবক সুমনকে দেখে করোনাভাইরাস হয়েছে সন্দেহে তাকে আইসোলেশনে ভর্তি দেয়। চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালের জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত কর্মকর্তা জানায়, ১ সপ্তাহ পূর্বে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত যুবক সুমনকে সদরঘাটে অসুস্থ অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাকে স্থানীয়রা যাত্রীবাহী লঞ্চ যোগে চাঁদপুরে পাঠিয়ে দেয়।

অসুস্থ অবস্থায় সুমন এক সপ্তাহ যাবৎ চাঁদপুরে রাস্তায় ঘোরাফেরা করতে থাকে। শুক্রবার দুপুরে রাস্তার পারে পড়ে থাকতে দেখে চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র পদপ্রার্থী অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান জুয়েল খবর পেয়ে তার সহযোগিতায় অসুস্থ সুমনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।

শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে আইইডিসিআর-এর দায়িত্বরতরা এসে ভর্তিকৃত রোগীর শরীর থেকে করোনার নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে গেছে,বলে চাঁদপুরের সিভিল সার্জন মো: সাখায়াত উল্লাহ্ জানিয়েছেন।

চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) মো: সুজাউদ্দৌলা রুবেল জানান, স্থানীয় কয়েকজন ব্যাক্তি সুমন নামের যুবককে এনে ভর্তি করিয়েছে। সুমনের গ্রামের বাড়ি ঢাকার মানিকগঞ্জের দক্ষিণ সহিরপুর গ্রামে। সে চাঁদপুরে শ্রমিকের কাজ করতো। লঞ্চঘাট এলাকায় সে অসুস্থ্য হলে স্থানীয়রা তাকে হাসপাতালে এনে ভর্তি করায়।

তিনি আরো বলেন, সুমনকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে যারা চিকিৎসা সেবা প্রদান করেছে তাদের সবাইকে হোম কোয়ারেন্টিনে যাবার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এরা হলেন-আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আসিবুল আহসান আসিব, ওয়ার্ড মাস্টার মোঃ মনিরুজ্জামান, সেবক আব্দুর রশিদ, আবুল কাশেম, অফিস সহকারি আল আমিন ও বহিরাগত রতন নামের এক ব্যাক্তি।

আরএমও সুজাউদ্দৌলা রুবেল আরো জানান, আইসলোশনে ভর্তি হওয়া রোগীর মধ্যে করোনার কিছু লক্ষণ দেখা যাচ্ছে বলে আমরা তাকে ভর্তি করেছি। তার শরীর থেকে কীট সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়াগেলে বুঝা যাবে সে করোনায় আক্রান্ত কিনা।

সরকারি নির্দেশনার আলোকে জেলার সকল জনসাধারণকে বাসা বাড়ীতে থাকার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন প্রশাসন। এই বিষয়ে প্রতিদিনই মসজিদে ও এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে।

আজ বাদ জুম’আ বিভিন্ন মসজিদে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র এর পক্ষ থেকে।

এ ব্যাপারে চাঁদপুরের সিভিল সার্জন মো: সাখায়াত উল্লাহ জানান,সুমন(১৭) নামে এক যুবককে দুপুরে চাঁদপুর সরকারী হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া চাঁদপুর সরকারী জেনারেল হাসপাতালে করোনা সন্দেহে হাসপাতালের আইসোলেশনে থাকা মতলব উত্তর উপজেলার তিনজন সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছে। অপরদিকে, ৩৩১ জন ও আজকের ৬জনসহ ৩৩৭জন প্রবাসী ও প্রবাস ফেরত ব্যক্তি হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। ১৪ দিন অতিবাহিত কারায় ১৫৫ জনকে শুক্রবার হোম কোয়ারেন্টাইন থেকে মুক্ত করা হয়েছে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে আইইডিসিআর-এর দায়িত্বরতরা এসে ভর্তিকৃত রোগীর শরীর থেকে করোনার কৃট এর নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে গেছে। পরীক্ষার পর জানা যাবে তার শরীরে করোনা আছে কিনা। তবে প্রাথমিকে ধারনা করা যাচেছ যুবক সৃমন করোনা আক্রান্ত।

Tag :

সম্পাদক ও প্রকাশক:
মোঃ মহিউদ্দিন আল আজাদ

মোবাইল : ০১৭১৭-৯৯২০০৯ (নিউজ) বিজ্ঞাপন : ০১৬৭০-৯০৭৩৬৮
ইমেইলঃ notunerkotha@gmail.com

সমন্বয়ক আর জামায়াতের কারণে ইউনুছ সরকার ব্যর্থ হবে-ইঞ্জি. মমিনুল হক

চাঁদপুরে করোনা সন্দেহে হাসপাতালে ১জন ভর্তি, চিকিৎসকসহ ৩৩৭জন হোম কোয়ারেন্টিনে

আপডেট: ০২:৩০:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ মার্চ ২০২০

হাজীগঞ্জ, ২৭ মার্চ, শুক্রবার:

চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে মানিকগঞ্জ জেলার বাসিন্দা সুমন (১৭) নামে এক যুবককে শুক্রবার (২৭ মার্চ) দুপুরে চাঁদপুর সরকারী জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া চাঁদপুর সরকারী জেনারেল হাসপাতালে করোনা সন্দেহে হাসপাতালের আইসোলেশনে থাকা মতলব উত্তর উপজেলার সৌদি প্রবাসি মা মেয়ে’সহ সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছে।

অপরদিকে ভারত থেকে আসা নতুন একজনসহ ৩৩১ জন ও আজকের ৬জনসহ ৩৩৭জন প্রবাসী ও প্রবাস ফেরত ব্যক্তি হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। ১৪ দিন অতিবাহিত করায় ১৫ জনকে শুক্রবার হোম কোয়ারেন্টাইন থেকে মুক্ত করা হয়েছে।

চাঁদপুর সরকারী হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার আরএমও মো: হাসিবুল হাসান আসিব চৌধুরী যুবক সুমনকে দেখে করোনাভাইরাস হয়েছে সন্দেহে তাকে আইসোলেশনে ভর্তি দেয়। চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালের জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত কর্মকর্তা জানায়, ১ সপ্তাহ পূর্বে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত যুবক সুমনকে সদরঘাটে অসুস্থ অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাকে স্থানীয়রা যাত্রীবাহী লঞ্চ যোগে চাঁদপুরে পাঠিয়ে দেয়।

অসুস্থ অবস্থায় সুমন এক সপ্তাহ যাবৎ চাঁদপুরে রাস্তায় ঘোরাফেরা করতে থাকে। শুক্রবার দুপুরে রাস্তার পারে পড়ে থাকতে দেখে চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র পদপ্রার্থী অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান জুয়েল খবর পেয়ে তার সহযোগিতায় অসুস্থ সুমনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।

শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে আইইডিসিআর-এর দায়িত্বরতরা এসে ভর্তিকৃত রোগীর শরীর থেকে করোনার নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে গেছে,বলে চাঁদপুরের সিভিল সার্জন মো: সাখায়াত উল্লাহ্ জানিয়েছেন।

চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) মো: সুজাউদ্দৌলা রুবেল জানান, স্থানীয় কয়েকজন ব্যাক্তি সুমন নামের যুবককে এনে ভর্তি করিয়েছে। সুমনের গ্রামের বাড়ি ঢাকার মানিকগঞ্জের দক্ষিণ সহিরপুর গ্রামে। সে চাঁদপুরে শ্রমিকের কাজ করতো। লঞ্চঘাট এলাকায় সে অসুস্থ্য হলে স্থানীয়রা তাকে হাসপাতালে এনে ভর্তি করায়।

তিনি আরো বলেন, সুমনকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে যারা চিকিৎসা সেবা প্রদান করেছে তাদের সবাইকে হোম কোয়ারেন্টিনে যাবার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এরা হলেন-আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আসিবুল আহসান আসিব, ওয়ার্ড মাস্টার মোঃ মনিরুজ্জামান, সেবক আব্দুর রশিদ, আবুল কাশেম, অফিস সহকারি আল আমিন ও বহিরাগত রতন নামের এক ব্যাক্তি।

আরএমও সুজাউদ্দৌলা রুবেল আরো জানান, আইসলোশনে ভর্তি হওয়া রোগীর মধ্যে করোনার কিছু লক্ষণ দেখা যাচ্ছে বলে আমরা তাকে ভর্তি করেছি। তার শরীর থেকে কীট সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়াগেলে বুঝা যাবে সে করোনায় আক্রান্ত কিনা।

সরকারি নির্দেশনার আলোকে জেলার সকল জনসাধারণকে বাসা বাড়ীতে থাকার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন প্রশাসন। এই বিষয়ে প্রতিদিনই মসজিদে ও এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে।

আজ বাদ জুম’আ বিভিন্ন মসজিদে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র এর পক্ষ থেকে।

এ ব্যাপারে চাঁদপুরের সিভিল সার্জন মো: সাখায়াত উল্লাহ জানান,সুমন(১৭) নামে এক যুবককে দুপুরে চাঁদপুর সরকারী হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া চাঁদপুর সরকারী জেনারেল হাসপাতালে করোনা সন্দেহে হাসপাতালের আইসোলেশনে থাকা মতলব উত্তর উপজেলার তিনজন সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছে। অপরদিকে, ৩৩১ জন ও আজকের ৬জনসহ ৩৩৭জন প্রবাসী ও প্রবাস ফেরত ব্যক্তি হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। ১৪ দিন অতিবাহিত কারায় ১৫৫ জনকে শুক্রবার হোম কোয়ারেন্টাইন থেকে মুক্ত করা হয়েছে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে আইইডিসিআর-এর দায়িত্বরতরা এসে ভর্তিকৃত রোগীর শরীর থেকে করোনার কৃট এর নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে গেছে। পরীক্ষার পর জানা যাবে তার শরীরে করোনা আছে কিনা। তবে প্রাথমিকে ধারনা করা যাচেছ যুবক সৃমন করোনা আক্রান্ত।