বিশেষ প্রতিনিধি॥
চাঁদপুরে রেলওয়ের জায়গা ও কোয়াটার অবৈধ ভাবে দখল করে একের পর এক মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে বিক্রি হচেছ। এ ছাড়া কোয়াটারের সামনে থাকা খালি জায়গায় পাকা স্থাপনা নির্মান করে বিশাল আকারের বাসাবাড়ি নির্মান করে যাচেছ,এক শ্রেনীর দখলবাজ চক্ররা। প্রতিদিন যে ভাবে পাকাঁ স্থাপনা নির্মান হচেছ,তাতে মনে হচেছ,এ রেলওয়ের জায়গা ও কোয়াটার দেখার যেন কেহ নেই।
চাঁদপুর শহরের কোর্টস্টেশন এলাকার বকুলতলায় দীর্ঘ দিন যাবত চলছে রেলওয়ে জায়গা দখল করে বিক্রি ও কোয়াটার বিক্রির হিড়িক। এক শ্রেনীর অসাধু ব্যক্তিরা সরকার দলীয় নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে রেলওয়ের জায়গায় আধিপত্য বিস্তার করে দখল করে কোয়াটার ও জায়গা দখল করে বিক্রি করে নিজেরা লাখ-লাখ ও কোটি-কোটি টাকায় বিক্রি করে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়ে যাচেছ।
অনেকে রেলওয়ের জায়গায় বাসাবাড়ি বানিয়ে নিজেরা স্বঘোসিত বাড়ি ওয়ালা বনে সে বাসাবাড়ি ভাড়া দিয়ে প্রতি মাসে লাখ-লাখ টাকা হাতিয়ে নিচেছ এবং অনেকে এ জায়গা ভাড়া দিয়ে লাখ পতি ও কোটি পতি হয়ে গেছেন। অসাধূ ব্যক্তিরা রেলওয়ের জায়গায় বাসাবাড়ি বানিয়ে ভাড়া দিয়ে প্রতিমাসে লাখ-লাখ টাকা হাতিয়ে নিলেও সরকার এ সব জায়গা থেকে এক টাকাও রাজস্ব পাচেছনা। এ সব অবৈধ দখলদারদের দাপটে রেলওয়ের বেধ কর্মকর্তা ও স্টাফরা এলাকায় থাকতে হচেছ,তাদের কাছে জিম্মি হয়ে।
মনে হচেছ এটা যেন তাদের রাম রাজত্ব চলছে চাঁদপুরের রেলওয়ের এলাকায়। চাঁদপুর শহরের বকুলতলা এলাকার রেলওয়ে শিশু বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় চাঁদপুরস্থ রেলওয়ের কোয়াটার নং-টি/১১৭ একটি সম্পূর্ন ভাল বসবাস যোগ্য কোয়াটার দখল করে জনৈক যুবলীগ নামধারী নেতা। সে নেতা কোয়াটার নং-টি/১১৭ সে বাসাটি ৫লাখ টাকা অর্থের বিনিময়ে অবৈধ ভাবে ছেড়ে দেওয়ার ফলে শহরের পালবাজারের গোসস্ত বিক্রেতা রফিকুল ইসলাম রকা বাসাটি ক্রয় করে।
সে বর্তমানে বাসাটি দখল করে বসবাস করছে এবং সে বাসার সামনে গতকাল বুধবার অবৈধ ভাবে দখল করে সেখানে পাকাঁ করে নতুন করে স্থাপনা নির্মান করছে। যেভাবে গোসস্তো বিক্রেতা রফিকুল ইসলাম রকা, পাকাঁ স্থাপনা নির্মান করছে তাতে মনে হচেছ এটি যেন তার পত্তিক (বাপ-দাদার) সম্পত্তি।
বুধবার চাঁদপুর রেলওয়ের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা এসএ/ই মো: আবুল কালাম আজাদ ও মো: সোলেমান অবৈধ ভাবে বাসাটির সামনে পাকাঁ করে নির্মান কাজ, নির্মান কাজ কোন বৈধতায় করছে জানতে চাইলে রফিকুল ইসলাম রকা ও তার লোকজন রেলওয়ের কর্মকর্তাদের সাথে খারাপ আচরন করে এবং তাদের উপর মারাত্বক ভাবে তেরে উঠে।
এ সব কর্মকর্তারা তাৎক্ষনিক বিষয়টি রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মো: সারওয়ার আলমকে জানালে তার নিদ্দের্শে রেলওয়ে পুলিশ বুধবার বিকেলে ঘটনাস্থল থেকে নির্মান কাজ করার সময় ২জনকে আটক করে রেলওয়ে থানায় নিয়ে যায়। পরে পাকা স্থাপনা নির্মান করবেনা এ অঙ্গিকারে স্থানীয় কাউন্সিলরের জিম্বায় তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে ওসি মো: সারওয়ার আলম জানান।
তাদেরকে ছেড়ে দেওয়ার পর তারা অবৈধ ভাবে নির্মান কাজ আরো দ্রুত গতিতে চালিয়ে যাচেছ। গতকাল বুধবার ও বৃহস্পতিবার ২দিন যাবত কোর্টস্টেশন এলাকার ১০নং কোয়াটারের পার্শ্ববর্তী এলাকায় টি/১১৭ নং-কোয়াটারের সামনে ১৫ ফুট চড়া ও ৩০ফুট লম্বা জায়গায় অনেক লেবার ব্যবহার করে তড়িঘড়ি করে পাকা করে বাসাবাড়ি বানানোর জন্য পাকাঁ স্থাপনা নির্মান করে যাচেছ। এ বিষয়ে নির্মান কারী রফিকুল ইসলাস রকার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,এক জন নেতার কাছ থেকে ৫ লাখ টাকায় ৩ বছর পূর্বে টি/১১৭ নং কোয়াটারটি ক্রয় করে বসবাস করছি। কোয়াটারের ভিতরে জায়গা না’হওয়ায় বাহিরের অংশে একটি ঘর নির্মানের জন্য পাকা করার চেস্টা করছি। রেলওয়ের কর্মকর্তাদের সাথে আলাপ হয়েছে,তারা মৌখিক ভাবে অনুমতি দিয়েছে। রেলওয়ে পুলিশ ২জনকে আটক করলেও স্থানীয় কাউন্সিলরের জিম্মায় ছেড়ে দিয়েছে। এতে কিছু অর্থব্যয় হয়েছে। এ ভাবে যারা রেলওয়ের কোয়াটার দখল করেছে,অনেকেই এ ভাবে পাকা স্থাপনা নির্মান করছে,যার ফলে আমি পাকা করে একটি রুম নির্মান করছি।
এ ব্যাপারে চাঁদপুর-লাকসাম রেলওয়ের ভুমির দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা লাকসামে অবস্থানরত মো:আতিকুর রহমান মুঠো ফোনে জানান,বিষযটি আমার জানা নেই। আমি অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহন করবো। আমি যেনে চাঁদপুরে আমার দপ্তরের যারা রয়েছে, তাদের মাধ্যমে খোজ খবর নিয়ে রেলওয়ে জিআরপি পুলিশ ও নিরাপত্তার বাহিনীকে মেমো দিয়ে বিষয়টি ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য বলবো। চাঁদপুরে রেলওয়ের প্রায় ৪শ’কোয়াটার রয়েছে,এর মধ্যে ৮০/৮৫টি রেলওয়ে কোয়াটা স্টাফদের নামে বরাদ্ব রয়েছে। আমি আমার উধর্বতন কর্ক্ষৃপক্ষ বিষয়টি অবগত করে উচেছদের ব্যবস্থা গ্রহন করবো। চাঁদপুরে নতুন রেলওয়ে ব্যবস্থাপক যোগদান করেছেন। তিনি চাঁদপুর পরিদর্শন করার পর সারা দেশে রেলওয়ের অবৈধ স্থাপনা যেভাবে উচেছদ হয়েছে,সে ভাবে বড় ধরনের চাঁদপুরে একটি উচেছদের জন্য আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে। অচিরেই তা’বাস্তবায়ন হবে।
এ ছাড়া,খোদ চাঁদপুর শহরের বড় স্টেশন,কোর্টস্টেশন ও রেলওয়ে বকুলতলা এলাকায় রেলওয়ের শত-শত একর জায়গা ও প্রায় ৪শ’টি কোয়াটার অবৈধ ভাবে দখল করে দোকান পাট বানিয়ে,দোকানপাট উঠিয়ে ও কোয়াটার দখল করে কোয়াটারের সামনে পাকা স্থাপনা তৈরী করে বিক্রি করে লাখ-লাখ টাকা হাতিয়ে নিচেছ বলে অভিযোগ উঠেছে। এক শ্রেনীর অসংখ্য সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক সরকার দলীয় নেতাদের নাম ব্যবহার করে সেখানে একের পর এক এরশাদ শিকদারের মত পেশিশক্তি প্রয়োগ করে দখল করে দখল বিক্রি করে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিয়ে যাচেছ। এ ছাড়া শহরের বড়স্টেশন ৩নং ঘাট এলাকায় সরকারের গুরুত্বপূর্ন জায়গা দখল করে সেখানে বড় আকারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উঠিয়ে বিক্রি করছে আলমগীর নামীয় জনৈক এক ব্যাক্তি। এলাকাবাসীর প্রশ্ন কে এই বিএনপি নেতা আলমগীর। যে আওয়ামীলীগ সরকারের ক্ষমতার সময়ও অবৈধ ভাবে রেলওয়ের জায়গা দখল করছে আর বিক্রি করছে। তাকে প্রশাসন নিয়ন্ত্রন করতে পারছেনা। তার পিছনে কি এমন শক্তি কাজ করছে তা’চাঁদপুর বাসী জানতে চায়। শহরের ৩নং কয়লাঘাট এলাকায় আলমগীর পেশীশক্তি ব্যবহার করে সে এলাকায় দখলবাজি,চাঁদাবাজি,ছিনতাই,ভূমিদখল করে একজন বড় মাপের ভূমিদসু হিসেবে আলোচনায় এসেছেন।