শাহানা আকতার:
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার ১১নং পশ্চিম হাটিলা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড পাতানিশ গ্রামের সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী ইউপি মেম্বার প্রতারণার মাধ্যমে মাতৃত্বকালীন ভাতার টাকা তুলে নেয়ার পর পুনরায় ব্যাংকে ফেরত দিয়েছেন। এ ঘটনায় এলাকায় বেশ আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। এর পূর্বে প্রতারণার এ ঘটনা জানাজানি হলে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সোনালী ব্যাংকের আলীগঞ্জ শাখায় ওই ইউনিয়নের ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য মমতাজ বেগম উত্তোলণ করা টাকা ফেরত দিলেন।
আলীগঞ্জ সোনালী ব্যাংক শাখার ব্যবস্থাপক রুহুল আমিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে ইউপি সদস্য মমতাজ বেগম নিজে এসে টাকাগুলো ফেরত দিয়ে গেছে। পরে মাতৃত্বকালীন ভাতার একাউন্ড হোল্ডারের স্বামী রিপনের হাতে টাকা দিয়েছি।
জানা গেছে, ওই গ্রামের রিপন এর স্ত্রী রুনা আক্তারের নামের মাতৃত্বকালীন ভাতার অ্যাকাউন্ট হয়। কয়েক মাস পূর্বে রুনা আক্তার প্রবাসে চলে যায়। কিন্তু ১৫ দিন পূর্বে ওই ইউনিয়নের ৪,৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য মমতাজ বেগম। মিথ্যা অজুহাত দিয়ে অ্যাকাউন্ট নাম্বার এর ফরমটি নিয়ে আসছে। গত ৯ মার্চ ওই এলাকার সবাই মাতৃত্বকালীন ভাতা উত্তোলন করে।
ভুক্তভোগী রুনা আক্তারের স্বামী রিপন বলেন, আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্যাংক থেকে মাতৃত্বকালীন ভাতা উত্তোলন করতে পেরেছি।
জানতে চাইলে ইউপি সদস্য মমতাজ বেগম বলেন, আমি ওই টাকা ব্যাংকে ফেরত দিয়েছি।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সানজিদা ইসলাম বলেন, ১১ নং হাটিলা ইউনিয়নে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৫১জন মাতৃত্বকালীন ভাতা পায়। পুরো উপজেলায় গত তিন অর্থবছরে মোট মাতৃত্বকালীন ভাতার পরিমাণ ১৮শ ৪৮ জন। ব্যাংকের এমন অব্যবস্থাপনার কারণে আগামীতে ব্যাংক এশিয়াতে ভাতার একাউন্ট স্থানান্তর করা হচ্ছে।