নিজস্ব প্রতিবেদক:
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলায় পান্না বেগম নামে প্রবাসীর স্ত্রী ১৫ ভরি স্বর্ণ, নগদ লক্ষাধিক টাকা নিয়ে প্রেমিকের হাত ধরে উধাও হয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। প্রবাসীর স্ত্রীকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে তার পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানানোর পরও কোনো হদিস মেলেনি। স্বর্ণালঙ্কার ও টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যাওয়ার সময় প্রবাসীর ৮ বছরের ফাহিম নামে শিশু সন্তানকে নিয়ে যায়। এই ঘটনাটি পুলিশকে জানালে ও বাড়াবাড়ি করলে প্রবাসী মো. খাজা আহমদকে ফোন করে তার স্ত্রী ৮ বছরের শিশু সন্তানকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। শিশুসন্তানকে হারানোর ভয়ে প্রবাসী এখন পাগল উন্মাদের মত আত্মনাত করছে বলে জানিয়েছেন তার পরিবারের লোকজন।
গত ২ মার্চ সোমবার দুপুরে হাজীগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের সর্দার বাড়ীর প্রবাসী মোঃ খাজা আহমদের স্ত্রী পান্না বেগম তার আট বছরের শিশু সন্তানকে নিয়ে পরকীয়া প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়ে যায়।
খাজা আহমেদের পরিবারের লোকজন জানান, হাজিগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের মোঃ জাকিরের মেয়ে পান্না আক্তার এর সাথে ২০১১ সালে প্রেম করে একই গ্রামের মোঃ সোলেমান চৌধুরীর ছেলে মোঃ খাজা আহমদের বিয়ে হয়। প্রেমঘটিত কারণে বিয়ে হওয়ায় পান্নার পরিবারবর্গ মেনে নেয়নি। গত ৫ বছর পূর্বে খাজা আহমেদ ওমানে চাকরির উদ্দেশ্যে দেশ ছেড়ে বিদেশ চলে যায়। খাজা আমাদের বাড়িতে প্যারালাইসিস মা সাথে প্রবাসীর স্ত্রী পান্না বেগম একই ঘরে বসবাস করতেন। তার দেখাশুনা ও খোঁজখবর নেওয়ার মত কেউ না থাকায় সুযোগ বুঝে প্রবাসীর স্ত্রী পান্না মোবাইল ফোনে অজ্ঞাত এক যুবকের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে।
অবশেষে পরকীয়ার টানে লোভে পড়ে ১৫ ভরি স্বর্ণ ও লক্ষাধিক টাকা নিয়ে ঘটনার দিন দুপুরে পালিয়ে যায়। ঘটনার দুইদিন পর পান্না বেগম ফোন করে প্রবাসী খাজা আহমেদকে হুমকি দিয়ে বলেন ঘটনাটি বাড়াবাড়ি করলে তার শিশু সন্তানকে মেরে প্যাকেট করে বস্তায় ঢুকিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দিবে।
এই বিষয়ে মুঠোফোনে প্রবাসী খাজা আহমেদ জানায়, অসুস্থ মায়ের সাথে স্ত্রী একা বাড়িতে থাকতো। সেই সুযোগে স্ত্রী পান্না বাড়িতে থেকেই অজ্ঞাত যুবকের সাথে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। কিন্তু বিষয়টি কেউ বুঝতে না পারায় ঘটনার দিন দুপুরে টাকা স্বর্ণালংকার ও শিশু সন্তানকে নিয়ে উধাও হয়ে যায়। এখন শিশু সন্তানকে পুঁজি করে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে ব্ল্যাকমেইলিং করছে। যেকোনো সময় ছেলেকে নিয়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শিশু সন্তানকে উদ্ধার করতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
তবে এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কোন ধরণের অভিযোগ করেননি খাজা আহমেদ এর পরিবার।
