নিজস্ব প্রতিনিধি:
হাজীগঞ্জে মাহফিল বন্ধ করে দিয়ে একটি ফোরকানীয়া মাদরাসা ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার হাটিলা পশ্চিম ইউনিয়নের পাতানিশ পশ্চিম পাড়া ঈদগাঁ মাঠ সংলগ্ন ফোরকানীয়া মাদরাসায় এই ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এর আগে মাদরাসার মাহফিল বন্ধ করে দেন স্থানীয় স্বার্থান্বেষী মহল।
জানা গেছে, পাতানিশ পশ্চিম পাড়া ঈদগাঁ সংলগ্ন এলাকা ও স্থানীয় শিশু-কিশোরদের ইসলামি জ্ঞান অর্জন ও নৈতিক শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে বেশ কয়েক বছর আগে মাদরাসাটি স্থাপন করেন, বীরমুক্তিযোদ্ধা গাজী আলী আহমদ। কিন্তু মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে স্থানীয় কয়েকজন স্বার্থান্বেষী মহল এর বিরোধিতা করে।
এই বিরোধিতার ফলে গত ২৭ ফেব্রুয়ারী মাদরাসাটি ভাংচুর করে ওই স্বার্থান্বেষী মহল। এবং মাদরাসার ওয়াজ মাহফিল বন্ধ করার জন্য মাহফিলের প্রধান বক্তাসহ অন্যান্য আলেমদের তার হুমকি-ধমকি প্রদান করে। এতে করে মাহফিল বন্ধ হয়ে যায়। যা গত ২৯ ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, কয়েকজন লোকের কারনে মাহফিল বন্ধ হয়ে যায়। তবে তাদের নাম বলতে অপরাগতা প্রকাশ করেন তারা। এবং মাদরাসাটি পূণরায় চালুর দাবী জানান স্থানীয়রা। এতে করে স্থানীয় ও ওই এলাকার শিশু-কিশোররা ধারে-কাছে আরবি শিক্ষার সুযোগ পাবে বলে জানান।
এ বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা গাজী আলী আহমদ বলেন, ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষার লক্ষ্যে সরকারি খাস জমিতে (ভূমি) আমি অস্থায়ীভাবে একটি মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করি। কিন্তু সরকারি খাস জমি দখলের উদ্দেশ্যে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল মাদরাসার বিরোধিতা করে। এবং তারা গত বছর এই জমি দখলের উদ্দেশ্যে বেশ কয়েকটি সরকারি গাছ লুট করে। যার ফলে ভূমি অফিস মামলা দায়ের করে এবং এ ঘটনায় স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ওই স্বার্থান্বেষী মহলের কারনে মাদরাসাটি বন্ধ হয়ে যায়। আমি এটি পূণরায় চালুর উদ্দেশ্যে ২৯ ফেব্রুয়ারী একটি ওয়াজ-মাহফিলের আয়োজন করি। কিন্তু এর আগেই গত ২৭ ফেব্রুয়ারী মাদরাসাটি ভাংচুর করে তারা এবং মাহফিলের দাওয়াতকৃত বক্তাদের সাথে অশোভন আচরন করে। এতে করে মাহফিলটি বন্ধ হয়ে যায়। এ ঘটনায় প্রশাসনের সু-দৃষ্টি ও সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।