বিকাশে মুক্তিপণ নিতে গিয়ে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশের হাতে ৫ অপহরণকারী আটক

  • আপডেট: ০৪:৪৬:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ মার্চ ২০২০
  • ৪০

গাজী মহিনউদ্দিন:
মুক্তিপণ নিতে গিয়ে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশের হাতে আটক হয়েছে ৫ অপহরণকারী। বিকাশের টাকা লেনদেনের সূত্রে ধরে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশের ফাঁদে ধরা পড়ে অপহরণ চক্রের ৫ সদস্য। এরা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষকে অভিনব কৌশলে আটক করে রামগঞ্জ উপজেলার জয়পুরা গ্রামে নিয়ে নির্যাতন করে মুক্তিপন হিসেবে মোটা অংকের টাকা আদায় করে আসছে।

২৯ ফেব্রুয়ারি শনিবার হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৫ অপহরণকারীকে আটক জেল হাজতে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় শাহরাস্তি উপজেলা মহিম উদ্দিন নামীয় ব্যক্তি বাদীয় হয়ে হাজীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। যার মামলা নং-১, তারিখ- ১/৩/২০২০।

আটক ৫ অপহরণকারী লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের জয়পুরা গ্রামের মো. খলিলুর রহমানের ছেলে মো. মাহবুবুল আলম রিপন (২৬), এই গ্রামের ভূঁইয়া বাড়ির মৃত আব্দুল হাই এর ছেলে মো. বকরত (২০), কাজিমুদ্দীন ভূঁইয়া বাড়ির মো. মোস্তফার ছেলে মহসিন (২৫), মিজি বাড়ির মো. শরাফত উল্ল্যাহর ছেলে মো. রাশেদ (২৪)।

হাজীগঞ্জ থানার এস.আই রমিজউদ্দিন বলেন, ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে গিয়ে মাহবুব আলম রিপন টাকা পয়সা এবং দামী দামী জিনিসপত্র নিয়ে চুরি করে পালিয়ে যায়। চুরির অর্থ উদ্ধার করতে রিপনের সাবেক স্ত্রী মোসা. ফারজানা আক্তার পপি (২২) কে নিয়ে রামগঞ্জ উপজেলার জয়পুরা গ্রামে আসেন ঢাকার ব্যবসায়ী মুন্সিগঞ্জ জেলার টঙ্গিবাড়ি মটুকপুর গ্রামের আবুল বাসার হাওলাদারের ছেলে হিরু হাওলাদার, শরীয়তপুর জেলার সখিপুর উপজেলার দুলারচর গ্রামের ফারুক বেপারি ছেলে মো. সোহান (১৮), একই জেলার জাঝিড়া উপজেলার মেহের আলী মাতব্বর কান্দির শিকিল আলী সর্দারের ছেলে মো. সবুজ (২৮), ভাঙ্গা উপজেলার গজারিয়ার মৃধাবাড়ির জাকির মৃধার ছেলে যোবায়ের (২০)। তাদের কে আটক করে দিন-রাত পাশবিক নির্যাতন করে মুক্তিপণ দাবী রিপন ও তার সঙ্গীরা। মুক্তিপন হিসেবে ৭৫ হাজার টাকা বিকাশ এজেন্টের মাধ্যমে পাঠানো হয়।

হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ কাশিমপুর বাজারের এক বিকাশ এজেন্টের সহায়তায় রাসেল ও বরকত নামে দুই অপহরণকারীকে আটক করে। তাদের তথ্য মতে রামগঞ্জ থানা পুলিশের সহযোগিতায় কাটাখালী থেকে রিপনকে আটক করে। রিপনের মাধ্যমে আরো দুই অপরাধী এবং আটককৃত ৫জনকে উদ্ধার করেছি। তারা ৫জন কে আটক রেখে বিকাশের মাধ্যমে ৭৫ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করে। এর মধ্যে ১২ হাজার টাকা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি।

হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আলমগীর হোসেন রনি বলেন, অপরাধীরা বিকাশের মাধ্যমে মুক্তিপন হিসেবে প্রায় ৭৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। বিষয়টি থানায় অবহিত করার পরই দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছি। ৫জনকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নে সিমস্ প্রকল্প বিষয়ক অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত

বিকাশে মুক্তিপণ নিতে গিয়ে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশের হাতে ৫ অপহরণকারী আটক

আপডেট: ০৪:৪৬:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ মার্চ ২০২০

গাজী মহিনউদ্দিন:
মুক্তিপণ নিতে গিয়ে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশের হাতে আটক হয়েছে ৫ অপহরণকারী। বিকাশের টাকা লেনদেনের সূত্রে ধরে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশের ফাঁদে ধরা পড়ে অপহরণ চক্রের ৫ সদস্য। এরা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষকে অভিনব কৌশলে আটক করে রামগঞ্জ উপজেলার জয়পুরা গ্রামে নিয়ে নির্যাতন করে মুক্তিপন হিসেবে মোটা অংকের টাকা আদায় করে আসছে।

২৯ ফেব্রুয়ারি শনিবার হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৫ অপহরণকারীকে আটক জেল হাজতে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় শাহরাস্তি উপজেলা মহিম উদ্দিন নামীয় ব্যক্তি বাদীয় হয়ে হাজীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। যার মামলা নং-১, তারিখ- ১/৩/২০২০।

আটক ৫ অপহরণকারী লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের জয়পুরা গ্রামের মো. খলিলুর রহমানের ছেলে মো. মাহবুবুল আলম রিপন (২৬), এই গ্রামের ভূঁইয়া বাড়ির মৃত আব্দুল হাই এর ছেলে মো. বকরত (২০), কাজিমুদ্দীন ভূঁইয়া বাড়ির মো. মোস্তফার ছেলে মহসিন (২৫), মিজি বাড়ির মো. শরাফত উল্ল্যাহর ছেলে মো. রাশেদ (২৪)।

হাজীগঞ্জ থানার এস.আই রমিজউদ্দিন বলেন, ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে গিয়ে মাহবুব আলম রিপন টাকা পয়সা এবং দামী দামী জিনিসপত্র নিয়ে চুরি করে পালিয়ে যায়। চুরির অর্থ উদ্ধার করতে রিপনের সাবেক স্ত্রী মোসা. ফারজানা আক্তার পপি (২২) কে নিয়ে রামগঞ্জ উপজেলার জয়পুরা গ্রামে আসেন ঢাকার ব্যবসায়ী মুন্সিগঞ্জ জেলার টঙ্গিবাড়ি মটুকপুর গ্রামের আবুল বাসার হাওলাদারের ছেলে হিরু হাওলাদার, শরীয়তপুর জেলার সখিপুর উপজেলার দুলারচর গ্রামের ফারুক বেপারি ছেলে মো. সোহান (১৮), একই জেলার জাঝিড়া উপজেলার মেহের আলী মাতব্বর কান্দির শিকিল আলী সর্দারের ছেলে মো. সবুজ (২৮), ভাঙ্গা উপজেলার গজারিয়ার মৃধাবাড়ির জাকির মৃধার ছেলে যোবায়ের (২০)। তাদের কে আটক করে দিন-রাত পাশবিক নির্যাতন করে মুক্তিপণ দাবী রিপন ও তার সঙ্গীরা। মুক্তিপন হিসেবে ৭৫ হাজার টাকা বিকাশ এজেন্টের মাধ্যমে পাঠানো হয়।

হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ কাশিমপুর বাজারের এক বিকাশ এজেন্টের সহায়তায় রাসেল ও বরকত নামে দুই অপহরণকারীকে আটক করে। তাদের তথ্য মতে রামগঞ্জ থানা পুলিশের সহযোগিতায় কাটাখালী থেকে রিপনকে আটক করে। রিপনের মাধ্যমে আরো দুই অপরাধী এবং আটককৃত ৫জনকে উদ্ধার করেছি। তারা ৫জন কে আটক রেখে বিকাশের মাধ্যমে ৭৫ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করে। এর মধ্যে ১২ হাজার টাকা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি।

হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আলমগীর হোসেন রনি বলেন, অপরাধীরা বিকাশের মাধ্যমে মুক্তিপন হিসেবে প্রায় ৭৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। বিষয়টি থানায় অবহিত করার পরই দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছি। ৫জনকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।