তিন দিনের কর্মবিরতিতে হাজীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনে অচলাবস্থায়

  • আপডেট: ০১:৪২:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২০
  • ৩৪

গাজী মহিনউদ্দিন:
সারাদেশের ন্যায় তিন দিনের কর্মবিরতিতে হাজীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। তিন ধরে সরকারি অফিসগুলোতে পদবি ও বেতন গ্রেড উন্নীত করাসহ ৯ দফা দাবিতে বাংলাদেশ কালেক্টরেট সহকারী সমিতির (বাকাসস) ডাকে তৃতীয় শ্রেণির সরকারি কর্মচারিদের তিন দিনের কর্মবিরতি শুরু হয়েছে।
এ কর্মবিরতির কারণে মাঠ প্রশাসনে দাপ্তরিক কার্যক্রমে এক প্রকার অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার কোনো কর্মচারীই চেয়ারে বসেননি। ফলে নানা প্রয়োজনে এসে শত শত সেবা প্রার্থী সেবা না পেয়ে ফিরে গেছেন। টানা ৩ দিন ধরে কর্মবিরতি পালন করে তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীরা। কর্মবিরতি চলাকালে হাজীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন কার্যালয় প্রাঙ্গণে অবস্থান কর্মসূচি এবং সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়
এসময় উপজেলা ভূমি অফিসের প্রধান সহকারি শ্যামলী রাণী শীল, উপজেলা আইসিটি টেকনেশিয়ান নাসির উদ্দিনসহ অন্যান্য কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
কর্মচারীরা জানান, একই পদের ২১ ধরনের কর্মচারীর পদবি ও গ্রেড পরিবর্তন হয়েছে। ১৯৯৫ সালের ১৯ মে সচিবালয়ের প্রায় দুই হাজার তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীকে দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মর্কতা পদে উন্নীত করা হয়। কিন্তু বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনে কর্মরত তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। তারা যে পদে চাকুরিতে ঢুকেছেন, সে পদ নিয়েই অবসরে যেতে হচ্ছে। এর চাইতে লজ্জার বিষয় আর কি থাকতে পারে। কেরানি হয়েই মরতে হচ্ছে। সব বিভাগের কর্মচারীদের পদোন্নতি হয়, আমাদের হয় না। এক দেশে কি দুই আইন থাকতে পারে।

Tag :

সম্পাদক ও প্রকাশক:
মোঃ মহিউদ্দিন আল আজাদ

মোবাইল : ০১৭১৭-৯৯২০০৯ (নিউজ) বিজ্ঞাপন : ০১৬৭০-৯০৭৩৬৮
ইমেইলঃ notunerkotha@gmail.com

কচুয়ায় বরইগাঁও যুব উন্নয়ন সংগঠনের উদ্যোগে ২ শতাধিক পরিবারের মধ্যে ইফতার সামগ্রী বিতরণ

তিন দিনের কর্মবিরতিতে হাজীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনে অচলাবস্থায়

আপডেট: ০১:৪২:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২০

গাজী মহিনউদ্দিন:
সারাদেশের ন্যায় তিন দিনের কর্মবিরতিতে হাজীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। তিন ধরে সরকারি অফিসগুলোতে পদবি ও বেতন গ্রেড উন্নীত করাসহ ৯ দফা দাবিতে বাংলাদেশ কালেক্টরেট সহকারী সমিতির (বাকাসস) ডাকে তৃতীয় শ্রেণির সরকারি কর্মচারিদের তিন দিনের কর্মবিরতি শুরু হয়েছে।
এ কর্মবিরতির কারণে মাঠ প্রশাসনে দাপ্তরিক কার্যক্রমে এক প্রকার অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার কোনো কর্মচারীই চেয়ারে বসেননি। ফলে নানা প্রয়োজনে এসে শত শত সেবা প্রার্থী সেবা না পেয়ে ফিরে গেছেন। টানা ৩ দিন ধরে কর্মবিরতি পালন করে তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীরা। কর্মবিরতি চলাকালে হাজীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন কার্যালয় প্রাঙ্গণে অবস্থান কর্মসূচি এবং সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়
এসময় উপজেলা ভূমি অফিসের প্রধান সহকারি শ্যামলী রাণী শীল, উপজেলা আইসিটি টেকনেশিয়ান নাসির উদ্দিনসহ অন্যান্য কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
কর্মচারীরা জানান, একই পদের ২১ ধরনের কর্মচারীর পদবি ও গ্রেড পরিবর্তন হয়েছে। ১৯৯৫ সালের ১৯ মে সচিবালয়ের প্রায় দুই হাজার তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীকে দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মর্কতা পদে উন্নীত করা হয়। কিন্তু বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনে কর্মরত তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। তারা যে পদে চাকুরিতে ঢুকেছেন, সে পদ নিয়েই অবসরে যেতে হচ্ছে। এর চাইতে লজ্জার বিষয় আর কি থাকতে পারে। কেরানি হয়েই মরতে হচ্ছে। সব বিভাগের কর্মচারীদের পদোন্নতি হয়, আমাদের হয় না। এক দেশে কি দুই আইন থাকতে পারে।