নিজস্ব প্রতিনিধি॥
চাঁদপুর জেলাধীন সদর উপজেলার গোবিন্দিয়া মৌজার ওয়াপদা খালের উপর পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না রেখে, নিস্কাশন ব্যবস্থা বন্ধ রেখে ইউনিয়ন পরিষদের রাস্তা নির্মাণ প্রভাবশালীরা মাছচায় করায় ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃস্টি হয়ে এ এলাকার ২০ একর কৃষি জমি পানির নীচে নিমর্জ্জিত হয়ে পড়েছে। এতে করে সদর উপজেলার গোবিন্দিয়া মৌজার শতশত কৃষক জমিতে চাষাবাদ করতে না পারায় বেকার হয়ে পড়েছে। এবং ধান উৎপাদন ব্যবস্থা ব্যাহত হতে দেখা গেছে । আর্থিক অভাব-অনটনের মধ্যে দিয়ে কৃষককুলদের পরিবার-পরিজন নিয়ে দিনের পর দিন তারা কস্টে কাটাতে হচেছ।
এ এলাকায় পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা সচল করার লক্ষ্যে এলাকার শতশত কৃষকরা ও অসংখ্য জমির মালিকরা জেলা প্রশাসক, চাঁদপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর বরাবর সম্প্রতি একটি অভিযোগ করলেও গত ২ মাসেও কোন সমাধানের উপায় হচেছনা বা সমাধান মিলছেনা।
হানারচর ইউনিয়ন গোবিন্দিয়া মৌজার ওয়াপদা খালের পাশে প্রায় ২০ একর চাষাবাদের জমির উপর কৃষি জমিতে কৃষকরা বর্তমান এ সময় ইরি ধান ও আমন ধানের চাষাবাদ করতো। এই এলাকায় বর্ষার মৌসুমে জমির পানি ওয়াবদার খাল দিয়ে নিষ্কাশন হতো।
কিছুদিন পূর্বে ইউনিয়ন পরিষদ রাস্তাটি নতুনভাবে মেরামত করলেও কালভার্ট ও পানি নিস্কাশন হওয়ার পাইপ না থাকায় পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যায়।
এছাড়া ওয়াপদার খালে খন্ড খন্ড ভাবে ইউপি চেয়ারম্যানসহ বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী মাটি ফেলে বাঁধ দিয়ে মৎস্য চাষ করায় বর্ষা ও শীত মৌসুমেও জমিতে জলাবদ্ধতা হয়ে থাকে। এ কারণেই জলাবদ্ধতা থাকায় কৃষকরা জমিতে তাদের ফলন ফলাতে পারছেনা। যার ফলে হাজার-হাজার মন ধান উৎপাদন থেকে বঞ্চিত হচেছ।
স্থানীয় বেশ কয়েকজন কৃষক জানান, পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা বন্ধ করে মৎস্য চাষ করায় ও ইউনিয়ন পরিষদের সামনের রাস্তাটি নতুন করে করার কারনে ২০ একর চাষাবাদের কৃষি জমি পানিতে নিমোাজ্জিত হয়ে পড়ে।
সংশ্লিস্ট সকল জায়গায় অভিযোগ করেও এর কোন প্রতিকার না হওয়ায় কৃষকদের এ বছর ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়ে লোকশান গুনতে হবে। স্থানীয় কৃষকরা এর সমাধান চায় সংশ্লিস্ট কর্তপক্ষের কাছে। এ মৌসুমে কোন কৃষক এই জমিতে ফলন করতে না পারায় এতে করে এ এলাকায় খাদ্য ঘাটতি দেখা দিবে বলে এলাকার শতশত কৃষকদের অভিমত।
এ এলাকার প্রায় শতাধিক কৃষক জানান, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বরাবর এর সমাধান চেয়ে একটি অভিযোগ করার পরেও তারা কোন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় তাদের মধ্যে ব্যাপক হতাশা দেখা দিয়েছে। তাদের জোর দাবী অতি দ্রুত এই রাস্তার মাঝখানে কালভার্ট স্থাপন করে পানি নিষ্কাশন সচল করার হোক।
এ ব্যাপারে চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা মুঠো ফোনে জানান,এ বিষয়ে কৃষকরা অভিযোগ দেওয়ার বিষয় আমার জানা নেই। আমি বিষয়টি সংশ্লিস্ট দায়িত্বরত কর্মকর্তাকে ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য বলে দিব। তবে এ জটিল বিষয়টি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি এ প্রতিনিধিকে আশ্বাস প্রদান করেন।