নিজস্ব প্রতিবেদক:
চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্রীকে অপহরণ করার চেষ্টার সময় মূলহোতা অপহরণকারী মামুনকে পুলিশ আটক করেছে বলে জানা গেছে। পরে আসামিকে চাঁদপুর মডেল থানা প্রাঙ্গণে নেয়ার পরেই পুলিশের হাত থেকে যুবক মামুন পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টায় চাঁদপুর মডেল থানা প্রাঙ্গণে।
চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রীকে বেশ কিছুদিন ধরে আসা-যাওয়ার পথে উত্ত্যক্ত করার ঘটনায় কলেজছাত্রীর বাবা জিয়া বাদি হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
বৃহস্পতিবার কলেজছাত্রী তার অসুস্থ স্বজনকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে দেখতে আসলে খবর পেয়ে লম্পট বখাটে মামুন কলেজছাত্রীকে অপহরণ করার জন্য হাত ধরে টেনে নেওয়ার চেষ্টা চালায়।
এ সময় তার পরিবারের লোকজন এসে কলেজছাত্রীকে উদ্ধার করে এবং পুলিশকে খবর দেয়।
খবর পেয়ে চাঁদপুর মডেল থানার এসআই লোকমান হোসেন হাসপাতালে গিয়ে মামুনকে আটক করে থানা প্রাঙ্গণে নিয়ে আসে। এ সময় মামুনের হাতে হ্যান্ডকাফ না থাকায় সে পুলিশের হাত থেকে ছুটে গিয়ে চাঁদপুর পৌরসভার পিছন দিয়ে দেয়াল পাড়ি দিয়ে পালিয়ে যায়। আসামিকে ধরার জন্য পিছনে দৌড়ে গিয়েও পুলিশ তাকে ধরতে সক্ষম হয়নি।
পলাতক আসামি মামুন চাঁদপুর শহরের রহমতপুর কলোনির ভাড়াটিয়া বাসিন্দা।
এ ঘটনায় কলেজছাত্রীর বাবা জিয়া জানান, দীর্ঘদিন যাবত বখাটে মামুন আমার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। থানায় অভিযোগ করার পরে তাকে ডেকে এনে মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মেয়েকে হাসপাতালের সামনে থেকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে মামুন।
এ ঘটনায় মডেল থানার এসআই লোকমান জানান, আমি হাসপাতালে অন্য কাজে যাই। তখন দেখতে পাই ভিতরে মেয়ে ও ছেলের বাবার সাথে কথা কাটাকাটি হচ্ছে। আমি সেখান থেকে তাদের ডেকে এনে শান্ত কীর। মামুনকে ডেকে বলি থানায় মুচলেকা দিয়েছিছ মেয়েকে আর ডিস্টাব করবি না, এ কথা বলে তাকে শাসিয়ে চলে যেতে বলি। সে এ পথ থেকে সরে যাবে বলে চলে যায়।
এ ব্যাপারে চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো: নাছিম উদ্দিন মুঠোফোনে বলেন, এ ধরনে কোন ঘটনা আমার জানা নেই।