হাইমচর প্রতিনিধি॥
নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম বলেছেন, ভোটের উৎসবকে ফিরিয়ে আনতে চাই। কারণ আমাদের বাঙালিদের একটি উৎসব ভোটের দিনেও। ঈদেরমতই একটি উৎসব হয়। এর জন্য প্রার্থীদের সহযোগিতা লাগবে। আর আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর যারা দায়িত্বে থাকবেন তাদেরত দায়বদ্ধতাত আছেই। আর প্রার্থীদের দায়বদ্ধতা ভোটার, সমাজ ও দেশের কাছে।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) বিকেলে চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে উপজেলা পরিষদ এর সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষ্যে সকল প্রার্থী, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তাদের নিয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আপনারা যারা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন আপনাদের মধ্যে যেন প্রতিহিংসা না থাকে। কারণ প্রতিহিংসা মানুষকে দূর্ঘটনা ঘটাতে উদ্বুদ্ধ করে। শুধুমাত্র আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ভোটের পরিবেশ তৈরী করতে পারবে না। তাদেরকে ভোট কেন্দ্রে আসার জন্য চারপাশের পারিপার্শিকতাও ভোটারের অনুকুলে হতে হবে। কারণ আমরা ভোটারকে কেন্দ্রে এসে ভোট দেয়া, অবস্থান করার নিরাপত্তা দিব। নির্বাচন কমিশন ভোট সম্পন্ন ও ফলাফলের পর একদিন পর্যন্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার বিধান রাখে। কিন্তু আপনাদের পারস্পরিক প্রতিহিংসার জায়গুলো যেন তৈরী নহয়। সেই অবস্থান থেকে বেরিয়ে আসলে ভোটার উপস্থিতি ও নিরাপত্তা কোনভাবে বিঘ্নিত হবে না।
তিনি বলেন, প্রার্থীদের কাছ থেকে কোন ধরণের অভিযোগ পাইনি। এখানে নির্বাচনের চমৎকার পরিবেশ রয়েছে। ভোটারদেরকেও খুব উৎসব মুখোর দেখাগেছে। ইভিএম এ নির্বাচন নিয়ে কোন অসুবিধার কথা কেউ বলেননি। কোন প্রার্থী আরেক প্রার্থীর বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ করেননি। তাহলে বুঝাগেছে আপনাদের সবদলের লোকদের মধ্যে একটি সহঅবস্থান রয়েছে।
কবিতা খানম বলেন, হাইমচর উপজেলা মাত্র ৬টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। তারপরেও মেঘনার পশ্চিম পাড়ে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে সেখানে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সংখ্যা বাড়নোর চেষ্টা করা হবে।
মতিবিনময় সভায় সভাপতিত্ব করেন চাঁদপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হেলাল উদ্দিন।
উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুরের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) মো. মিজানুর রহমান, র্যাব-১১ এর কোম্পানী কমান্ডার মেজর তালুকদার নাজমুস সাকিব, বিজিবি কুমিল্লার জোনাল এ্যাডজুটেন্ট মাসুদুল ইসলাম খান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌসি বেগম প্রমূখ।