শর্ত ছাড়াই ইরানের সঙ্গে আলোচনায় রাজি যুক্তরাষ্ট্র

  • আপডেট: ১১:১৫:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২০
  • ২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

কোন শর্ত ছাড়াই ইরানের সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। জাতিসংঘে দেয়া এক চিঠিতে ট্রাম্প প্রশাসন এ কথা জানিয়েছে বলে বিবিসির খবরে বলা হয়েছে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে দেয়া এক চিঠিতে জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত কেলি ক্র্যাফট বলেছেন, ইরানের দ্বারা আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা যাতে হুমকির মুখে না পড়ে এবং উত্তেজনা যাতে বৃদ্ধি না পায় সেজন্য যুক্তরাষ্ট্র আলোচনা করতে প্রস্তুত রয়েছে। জাতিসংঘে দেয়া ওই চিঠিতে কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার যুক্তি হিসেবে নিজেদের রক্ষা করার জন্যই এ কাজ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

সোলাইমানি হত্যাকাণ্ড সঠিক পদক্ষেপ ছিল বলে যুক্তরাষ্ট্রের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়। মধ্যপ্রাচ্যে নিজেদের সৈন্য এবং স্বার্থ রক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্র প্রয়োজন অনুযায়ী অতিরিক্ত ব্যবস্থা নেবে বলেও জানানো হয়েছে।

অন্যদিকে জাতিসংঘ সনদের ৫১ ধারা উল্লেখ করে ইরানও চিঠির মাধ্যমে মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার যৌক্তিকতা তুলে ধরেছে। কোন রাষ্ট্র যদি নিজেদের রক্ষার জন্য পদক্ষেপ নেয় তাহলে সেটি দ্রুত জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে অবহিত করতে হবে বলে জাতিসংঘ সনদের ৫১ ধারায় বলা হয়েছে।

জাতিসংঘে ইরানের রাষ্ট্রদূত মাজিদ তখত রাভানচি এক চিঠিতে জানিয়েছেন, ইরান কোন যুদ্ধ কিংবা উত্তেজনা বাড়াতে চায়না। মার্কিন ঘাঁটিতে সুনির্দিষ্ট এবং যথাযথ সামরিক পদক্ষেপের মাধ্যমে ইরান আত্মরক্ষার চেষ্টা করেছে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত।

এর আগে হোয়াইট হাউস থেকে সরাসরি সম্প্রচারিত এক ভাষণে ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধের কিনার থেকে ফিরে এসেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার তিনি বলেছেন, ইরাকে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর পর ইরান তার আগের অবস্থান থেকে সরে এসেছে।

প্রসঙ্গত ইরাকে দুটি মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ইরান ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এতে ৮০ মার্কিন সেনা নিহত ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সামরিক সরঞ্জামের। ইরাকের পশ্চিমাঞ্চলের আইন আল আসাদ ও কুর্দিস্তানের ইরবিল ঘাঁটিতে ২২টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়।

ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেলে দাবি করা হয়- মঙ্গলবার শেষ রাতে হামলার মাধ্যমে কাসেম সোলেমানি হত্যার জবাব দেয়া হয়েছে। তবে এরপর ইরান আর যুদ্ধ চায় না। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র যদি হামলা করে তবে পাল্টা জবাব দেবে। সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে হামলা চালিয়ে এর জবাব দেবে ইরান।

মধ্যপ্রাচ্য থেকে মার্কিন সেনাদের বিতাড়িত করা হবে বলে যুক্তরাষ্ট্রকে হুশিয়ার করে দিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

ঋণের কথা বলে শাহবাগে সমাবেশের ডাক, অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের আহ্বায়ক মোস্তফা আটক

শর্ত ছাড়াই ইরানের সঙ্গে আলোচনায় রাজি যুক্তরাষ্ট্র

আপডেট: ১১:১৫:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

কোন শর্ত ছাড়াই ইরানের সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। জাতিসংঘে দেয়া এক চিঠিতে ট্রাম্প প্রশাসন এ কথা জানিয়েছে বলে বিবিসির খবরে বলা হয়েছে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে দেয়া এক চিঠিতে জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত কেলি ক্র্যাফট বলেছেন, ইরানের দ্বারা আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা যাতে হুমকির মুখে না পড়ে এবং উত্তেজনা যাতে বৃদ্ধি না পায় সেজন্য যুক্তরাষ্ট্র আলোচনা করতে প্রস্তুত রয়েছে। জাতিসংঘে দেয়া ওই চিঠিতে কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার যুক্তি হিসেবে নিজেদের রক্ষা করার জন্যই এ কাজ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

সোলাইমানি হত্যাকাণ্ড সঠিক পদক্ষেপ ছিল বলে যুক্তরাষ্ট্রের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়। মধ্যপ্রাচ্যে নিজেদের সৈন্য এবং স্বার্থ রক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্র প্রয়োজন অনুযায়ী অতিরিক্ত ব্যবস্থা নেবে বলেও জানানো হয়েছে।

অন্যদিকে জাতিসংঘ সনদের ৫১ ধারা উল্লেখ করে ইরানও চিঠির মাধ্যমে মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার যৌক্তিকতা তুলে ধরেছে। কোন রাষ্ট্র যদি নিজেদের রক্ষার জন্য পদক্ষেপ নেয় তাহলে সেটি দ্রুত জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে অবহিত করতে হবে বলে জাতিসংঘ সনদের ৫১ ধারায় বলা হয়েছে।

জাতিসংঘে ইরানের রাষ্ট্রদূত মাজিদ তখত রাভানচি এক চিঠিতে জানিয়েছেন, ইরান কোন যুদ্ধ কিংবা উত্তেজনা বাড়াতে চায়না। মার্কিন ঘাঁটিতে সুনির্দিষ্ট এবং যথাযথ সামরিক পদক্ষেপের মাধ্যমে ইরান আত্মরক্ষার চেষ্টা করেছে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত।

এর আগে হোয়াইট হাউস থেকে সরাসরি সম্প্রচারিত এক ভাষণে ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধের কিনার থেকে ফিরে এসেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার তিনি বলেছেন, ইরাকে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর পর ইরান তার আগের অবস্থান থেকে সরে এসেছে।

প্রসঙ্গত ইরাকে দুটি মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ইরান ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এতে ৮০ মার্কিন সেনা নিহত ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সামরিক সরঞ্জামের। ইরাকের পশ্চিমাঞ্চলের আইন আল আসাদ ও কুর্দিস্তানের ইরবিল ঘাঁটিতে ২২টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়।

ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেলে দাবি করা হয়- মঙ্গলবার শেষ রাতে হামলার মাধ্যমে কাসেম সোলেমানি হত্যার জবাব দেয়া হয়েছে। তবে এরপর ইরান আর যুদ্ধ চায় না। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র যদি হামলা করে তবে পাল্টা জবাব দেবে। সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে হামলা চালিয়ে এর জবাব দেবে ইরান।

মধ্যপ্রাচ্য থেকে মার্কিন সেনাদের বিতাড়িত করা হবে বলে যুক্তরাষ্ট্রকে হুশিয়ার করে দিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি।