বিশেষ প্রতিনিধি॥
হাজীগঞ্জে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্যকরে জোরপূর্বক বিল্ডিং নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া যায়। জানা যায়, উপজেলার পৌর ৯নং ওয়ার্ড আলীগঞ্জ তালুকদার বাড়ীর মৃত জলিল তালুকদার গং পাশ্ববর্তী আজাদ কমিশনারের বাড়ীর মৃত জিতু মিয়া গং এর জায়গায় আদালতের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জোরপূর্বক বিল্ডিং নিমার্ণের কাজ চলমান রেখেছে।
মৃত জিতু মিয়া গং গত ১ ডিসেম্বর বিজ্ঞ হাজীগঞ্জ সহকারী জজ আদালত চাঁদপুর ও হাজীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে বিবাধী জলিল তালুকদার গংদের বিরুদ্ধে। হাজীগঞ্জ থানার বাদী মৃত জিতু মিয়ার ছেলে মো. রাসেল হোসেন ও চাঁদপুর জজ আদালতে দেওয়ানী বন্টন মামলা ২৬২/১৯ এর বাদী মৃত জিতু মিয়ার স্ত্রী সাজেদা বেগম। উভয় মামলার বিবাদীগন হচ্ছে মৃত জলিল তালুকদারের ছেলে শাহনেওয়াজ, আউয়াল, ফারুক, সাইফুল ও হানিফ এবং একই বাড়ীর মৃত গনি মিয়ার ছেলে ফজলুল হক। অভিযোগে দেখা যায়, হাজীগঞ্জ ২৪০ নং কংগাইশ মৌজার নালিশী ১৩২ এস এ ১২২ নং খতিয়ানের সি, এস ১০৪২ দাগের মোঃ .৫৫০ শতাংশ ডোবা বর্তমানে ভরাট ভূমির উপর সম্পত্তি।
সম্পত্তির উপর হাজীগঞ্জ থানায় ও চাঁদপুর সহকারী জজ আদালতে মামলার অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা এবং সর্বশেষ হাইকোর্ট বিভাগের সমন জারীর জবাব না দিয়ে বিবাদীগন আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে জোরপূর্বক জবর দখল করে বসত বিল্ডিং নির্মাণের কাজ চলমান রেখেছে। বাদী পক্ষের লোকজন বাধাঁ প্রধানের চেষ্টা করলে তাদেরকে বিবাদী পক্ষের লোকজন আক্রমন ও হুমকি দিয়ে আসছে বলে অভিযোগ উঠে। নিরুপায় হয়ে বাদী পক্ষের লোকজন আদালতের সরনাপন্ন হলে সর্বশেষ বিবাদী পক্ষকে ৭ দিনের কারন দর্শানের নোটির্শ দেয় আদালত।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আদালতের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা ও সর্বশেষ হাইকোটের সমন পেয়েও জোরপূর্বক প্রতিপক্ষ মৃত জলিল তালুকদার গং উক্ত বিরোধ স্থানে বিল্ডিং নির্মানের কাজ চলমান রেখেছে। এ বিষয়ে প্রতিপক্ষ শাহনেওয়াজ, আউয়াল ও ফজলুল হকের সাথে কথা হলে তারা বলেন, বিষয়টি স্থানীয় কাউন্সিলরকে অবগত করে কাজ চলমান রেখেছি।
ক্ষতিগ্রস্ত মৃত জিতু মিয়ার স্ত্রী সাজেদা বেগম ও ছেলে রাসেল হোসেন বলেন, আমরা দখল উদ্ধারের জন্য মামলা করেছি, আদালত নিষেধাজ্ঞা ও সমন জারির পরেও তারা জোরপূর্বক আমাদের বিরোধকৃত ভূমির উপর অবৈধ ভাবে বিল্ডিং নির্মানের কাজ চলমান রেখেছে। আমরা আইনের মাধ্যমে শ্রদ্ধাশীল রেখে প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করছি।