নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশের গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক অঞ্চলের ৮টি জেলায় রেল ক্রসিংগুলোতে গেটম্যান না থাকায় প্রায় ঘটছে রেল দূর্ঘটনা।বাংলাদেশ রেলওয়ের পাকশী বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, খুলনা, যশোর, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, রাজবাড়ী ও গোপালগঞ্জ জেলা তাদের আওতাধীন। এই আট জেলায় অনুমোদিত রেল ক্রসিং গেট রয়েছে ২০৪টি। এর মধ্যে ৪৪টিতে দীর্ঘদিন ধরে কোনো গেটম্যান নেই।
সূত্রটি জানায়, পাকশী বিভাগের আওতায় আট জেলায় রেললাইন রয়েছে মোট ৬৩৯ কিলোমিটার। এর মধ্যে মেইন লাইন ৪৬৪ কিলোমিটার এবং লুপ ও সাইড লাইন ১৭৫ কিলোমিটার। রেজমিনে ঘুরে এবং রেলওয়ে কর্মকর্তা ও যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী রেললাইনে অনেক স্থানে পর্যাপ্ত পাথর নেই। কাঠের অনেক স্লিপার পচে নষ্ট হয়ে গেছে। ঝিনাইদহের মোবারকগঞ্জে তিন থেকে চারটি রেল সেতুর অবস্থা জরাজীর্ণ।
এসব সেতুর স্লিপারগুলোর নড়াচড়া ঠেকাতে পেরেক দিয়ে বাঁশ ও টায়ার দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য জেলার চিত্রও প্রায় একই রকম। এর ফলে ট্রেন চলার জন্য যাত্রীদের ঝাঁকুনি সহ্য করতে হয়। এ ছাড়া কয়েকটি স্থানে ট্রেনের গতিও কমাতে হয়। ব্যাপারে বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ মোশাররফ হোসেন বলেন, গেটম্যান না থাকায় রেল ক্রসিংগুলোতে মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়।
অনুমোদনহীন এবং গেটম্যান ছাড়া ক্রসিংগুলোর বিষয়ে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত, তা না হলে দুর্ঘটনা ঘটতেই থাকবে। ব্যাপারে রেলওয়ে যশোরের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী কাজী ওয়ালিউল হক সমকালকে বলেন, কোথাও স্লিপার নষ্ট হলে তা পরিবর্তন করা হয়। কিছু কিছু স্থানে পাথর কম আছে, সেখানে শিগগিরই পাথর দেওয়া হবে। রলওয়ের পাকশী বিভাগের বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান বলেন, অনুমোদিত সব লেভেল ক্রসিংয়ে গেটম্যান দেওয়ার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে।
সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও এলজিইডি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়েই অসংখ্য ক্রসিংয়ে সড়ক তৈরি করেছে। ওইসব স্থানে গেটম্যান দেওয়ার সুযোগ নেই। ার দাবি, পাকশী বিভাগের আওতাধীন কোথাও ঝুঁকিপূর্ণ রেললাইন ও রেলসেতু নেই। রেললাইনের কোথাও পাথর কম কিংবা স্লিপার নষ্ট আছে কিনা তা খোঁজ নিয়ে দেখবেন। রেলসেতুতে বাঁশ ও টায়ার দেওয়ার কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, সংস্কার কাজের সুবিধার জন্য এগুলো দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, পাকশী বিভাগের আওতাধীন রেলপথ নিয়মিত সংস্কার করা হয়ে থাকে।