শরীফুল ইসলাম:
খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব ও যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন শুভ বড়দিন বুধবার আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে চাঁদপুরে পালিত হয়েছে। সন্ধ্যায় ব্যাপিস্ট চার্চে প্রধান অতিথি হিসেবে জেলা প্রশাসক মোঃ মাজেদুর রহমান খান খ্রিষ্টান ধর্মালম্বীদের সাথে বড় দিনের কেক কাটেন।
এ সময় তিনি বলেন, যিশু পথভ্রষ্ট মানুষকে সত্য ও ন্যায়ের পথে আহ্বান জানিয়ে মানুষের মধ্যে ভালোবাসা, সেবা, ক্ষমা, মমত্ববোধ, সহানুভূতি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠাসহ শান্তিপূর্ণ অবস্থানের শিক্ষা দিয়েছেন। জাতিতে জাতিতে সম্প্রীতি ও ঐক্য স্থাপনসহ অশান্ত বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় যীশু খ্রিস্টের শিক্ষা ও আদর্শ খুবই প্রাসঙ্গিক বলে আমি মনে করি। বিদ্যমান সম্প্রীতির এই সুমহান ঐতিহ্যকে আরো সুদৃঢ় করতে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখতে হবে। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রেখে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলি।
সান্তাক্লজের ভূমিকায় ছিলেন পিনাক বাইন, অনুবাদক অালব্রান্ট স্বপন কর্মকার, চার্চ পালক অনুপ দাস, সম্পাদক সলেমান মন্ডল পরিচালক ও পরিচালিকা রুপলেখা কর্মকার, মনিন্দ্র বর্মন, স্বপন কর্মকার, সমিউল বাইন, পিতর বেপারী, জোসেপ দাস, রেবারেন এনকে দাস গুপ্ত। এ উপলক্ষে চাঁদপুর শহরের প্রেসক্লাব সড়কের ব্যাপিস্ট চার্চে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ধর্মীয় এ প্রতিষ্ঠান সাজানো হয় বর্ণিল সাজে। চাসকাল ৯টায় সমস্ত খ্রিস্টীয় ভক্তবৃন্দ উপাসনালয়ে মিলিত হয়ে প্রার্থনা করেন। এরপর বড়দিনের তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যায় খ্রিস্টমাস অনুষ্ঠানে গীতিআলেখ্য পরিবেশন করা হয়। এরপর শান্তা ক্লজ সবার মাঝে উপহার বিতরণ করেন।
খ্রিস্ট ভক্তবৃন্দ এ দিনটির জন্যে প্রতিবছর অধির আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকে। এদিনে সবাই নতুন পোশাকে আনন্দে মেতে উঠে। বড়দিনের উৎসবকে ঘিরে এখানে র্যাব-পুলিশের নিরাপত্তা বলায় জোরদার করা হয়।