ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নাম ঘোষণার পর থেকে অন্তত ৮০ জন নেতার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ওঠে। তাদের অপসারণ চেয়ে আন্দোলন করেন পদবঞ্চিতরা।
অভিযোগ আমলে নিয়ে চাকরিজীবি, অনুপ্রবেশকারী, বয়সসীমা অতিক্রমকারী- এমন ২৫ থেকে ৩০ জনের নামের তালিকা করেছে সংগঠনটি। সেই সাথে কমিটি ঘোষণার পর চাকরিতে যোগ দিয়েছেন এমন অন্তত দশ জনের নামের তালিকা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, আমরা যে তদন্ত কমিটি করেছি তাদের রিপোর্টে কয়েকজন সদস্যের বিরুদ্ধে গঠনতন্ত্র বহির্ভূতভাবে কমিটিতে স্থান পাওয়ার প্রমাণ পেয়েছি। আমরা একসাথে কিছুদিনের মধ্যেই এই পদগুলো শূন্য ঘোষণা করবো।
চলতি সপ্তাহেই প্রকাশ করা হবে বাদ পড়াদের নামের তালিকা। আর শূন্য পদে শিগগিরই যোগ্যদের জায়গা দেয়া হবে।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, নতুন করে আমাদের কেন্দ্রীয় কমিটির অনেকেই চাকরিতে যোগদান করেছে। এই সপ্তাহের ভিতরেই আমরা একটি তালিকা প্রকাশ করবো। এছাড়া নতুন যাদেরকে কমিটিতে স্থান দেয়া হবে তাদেরকে যথাযথভাবে যাচাই এবং যোগ্যতার ভিত্তিতেই পদ দেয়া হবে।
ছাত্রলীগকে ইতিবাচক রাজনীতির ধারায় ফিরিয়ে এনে সংগঠনকে গতিশীল করতেই এই সির্দ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান ঐতিহ্যবাহী ছাত্রসংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।