সংগঠনের মধ্যে যারা দ্বিধা দ্বন্দ সৃষ্টি করছে শিঘ্রই তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে:মিজানুর রহমান ভুঁইয়া কালু

  • আপডেট: ০৫:২১:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০১৯
  • ২৬

স্টাফ রিপোর্টার ॥

কেন্দ্রীয় সম্মেলনকে সামনে রেখে চাঁদপুর জেলা য্বুলীগের উদ্যোগে সোমবার বিকেল ৪ টায় চাঁদপুর পৌর পাঠাগারে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আলহাজ্ব মিজানুর রহমান ভুঁইয়া কালু। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, সংগঠন তারা গতিতে চলে। গত ৭ নভেম্বর আমরা একটি সাধারণ সভার আহ্বান করি। অনেকে বলেছে আমি নাকি ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠানে সভা করেছি। থানা যুবলীগ তো আমাদের প্রতিপক্ষ না। আমরা ৭ তারিখ সিদ্ধান্ত নিয়েছি ১৮ তারিখ বিকাল ৩টায় সভা নির্ধারণ করি। আর আজকে শুনি দুপুর ২টায় সদর থানা যুবলীগ সভা দিয়েছে। আমরা বিষয়টি জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতিকে অবহিত করি। তিনি এখানে কাউকে সভা না করার জন্য বলেন।
শ্রদ্ধেয় জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দৃষ্টি আকর্ষন করে কালু ভূঁইয়া বলেন, আপনাদের সামনে আমাদের কুলাঙ্গার ও ভূমিদস্যু বলা হয়েছে। আপনারা তাদেরকে কিছুই বলেন নাই। আমি এখনও জেলা যুবলীগের দায়িত্বে রয়েছি। আপনাদের কারনে যুবলীগে আজ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। আওয়ামীলীগ আমাদের ফাদার সংগঠন। আপনাদের আমরা সম্মান করি। আজকে কেন কাদা ছোরাছুড়ি? আর কোন নেতাকর্মীকে লাঞ্চিত হতে দেয়া হবে না। বিএনপি জামায়াত থেকে কারা আওয়ামীলীগে এসেছে। তাদেরকে চিহ্নিত করতে হবে। অনুপ্রবেশকারীদের ভিত শক্ত করতে এখন তারা এমপি ও মন্ত্রীদের ছবি দিয়ে বড় বড় বিল বোর্ড তৈরী করে ছড়িয়ে দিয়েছে। ফ্রিডম পার্টির নেতার আজ বিলবোর্ড শহর দখল করে আছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন। আপনাদের আশপাশ থেকে তাদেরকে সরিয়ে দিবেন। রাজরাজেশ্বরে কিসের উপর ভিত্তি করে সম্মেলন ছাড়া কমিটি গঠন করা হয়েছে। সকলে আপনাদের কাছে জানতে চায়। সাধারণ মানুষ বলছে টাকার বিনিময়ে নাকি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমরা আওয়ামীলীগ অফিসে কি আর যেতে পারব কিনা, তা জানাবেন। আর কারা কারা যেতে পারবে না প্রয়োজনে নাম প্রকাশ করে তালিকা টানিয়ে দিবেন। সংগঠনের মধ্যে নাম বা পদ না থাকলেও আমরা আওয়ামীলীগের সাথে থাকব। নৌকায় ভোট দেব। অনেক আওয়ামীলীগ নেতা আছে বিএনপি নেতাদের কাছ থেকে টাকা খেয়ে ইউসুফ গাজীকে ফেল করিয়েছেন। ২০০৮ সালে দীপু আপার নির্বাচন আওয়ামীলীগের অনেক বড় বড় নেতা করতে চান নি। আমরা সব সময় ¯্রােতের পক্ষেই ছিলাম। আওয়ামী যুবলীগ করেছে ¯্রােতের পক্ষেই থাকব। বঙ্গবন্ধুর সাথে খন্দকার মোস্তাক ও ছিলেন। এরূপ আপনাদের পাশেও খন্দকার মোস্তাকের চেয়ে ভয়াবহ লোক আছে। তাদের কে পরিহার করুন। এরাই অনুপ্রবেশকারী।
নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি যেহুতু যুবলীগ করি। তাই যুবলীগ ভাইদের প্রতি অনুরোধ করছি অনুপ্রবেশকারীদের থেকে সাবধান। সংগঠনের ২২ ধারায় বলা আছে সংগঠনের মধ্যে যারা দ্বিধা দ্বন্দ সৃষ্টি করে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য। সংগঠনের মধ্যে যারা দ্বিধা দ্বন্দ সৃষ্টি করছে শিঘ্রই তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। গত ১৪ নভেম্বর জেলা যুবলীগের নামে যারা সভা করেছে, আপনাদের কাছে প্রশ্ন তারা কোন যুবলীগ? যারা ক্যাসিনো, অবৈধ ব্যবসা, ভূমিদস্যু, মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত আছেন। তাদের কাছে অনুরোধ দেশে অনেক দল আছে তবে যুবলীগ করতে আইসেন না।
জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সালাউদ্দিন মোঃ বাবরের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মোঃ আবু পাটওয়ারী, সদস্য ঝন্টু দাস, সদর থানা যুবলীগের সাবেক সভাপতি মোঃ নাজমুল হোসেন পাটোয়ারী, জেলা যুবলীগ সদস্য চন্দ্র, বাদল উদ্দীন, সোহাগ পাটওয়ারী, ইকবাল, কচুয়া উপজেলার যুবলীগের সভাপতি ও মেয়র নাজমুল আলম স্বপন, হাইমচর উপজেলা যুবলীগের সদস্য হাবিবুর রহমান হাবুসহ জেলা, সদর, উপজেলা ও পৌরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের যুবলীগের নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, সর্বশেষ ২০১২ সালের ১৪ জুলাই বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ষষ্ঠ জাতীয় কংগ্রেসে চেয়ারম্যান পদে ওমর ফারুক চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক পদে মো. হারুনুর রশিদ নির্বাচিত হন। তবে সম্প্রতি ক্যাসিনো অভিযানে সবচেয়ে আলোচিত এই সংগঠনটির নতুন রূপ পেতে যাচ্ছে আগামী ২৩ নভেম্বর। এদিন আওয়ামী যুবলীগের জাতীয় কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হবে। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠেয় এই কংগ্রেসে প্রধান অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

Tag :

সম্পাদক ও প্রকাশক:
মোঃ মহিউদ্দিন আল আজাদ

মোবাইল : ০১৭১৭-৯৯২০০৯ (নিউজ) বিজ্ঞাপন : ০১৬৭০-৯০৭৩৬৮
ইমেইলঃ notunerkotha@gmail.com

সর্বাধিক পঠিত

সমন্বয়ক আর জামায়াতের কারণে ইউনুছ সরকার ব্যর্থ হবে-ইঞ্জি. মমিনুল হক

সংগঠনের মধ্যে যারা দ্বিধা দ্বন্দ সৃষ্টি করছে শিঘ্রই তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে:মিজানুর রহমান ভুঁইয়া কালু

আপডেট: ০৫:২১:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০১৯

স্টাফ রিপোর্টার ॥

কেন্দ্রীয় সম্মেলনকে সামনে রেখে চাঁদপুর জেলা য্বুলীগের উদ্যোগে সোমবার বিকেল ৪ টায় চাঁদপুর পৌর পাঠাগারে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আলহাজ্ব মিজানুর রহমান ভুঁইয়া কালু। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, সংগঠন তারা গতিতে চলে। গত ৭ নভেম্বর আমরা একটি সাধারণ সভার আহ্বান করি। অনেকে বলেছে আমি নাকি ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠানে সভা করেছি। থানা যুবলীগ তো আমাদের প্রতিপক্ষ না। আমরা ৭ তারিখ সিদ্ধান্ত নিয়েছি ১৮ তারিখ বিকাল ৩টায় সভা নির্ধারণ করি। আর আজকে শুনি দুপুর ২টায় সদর থানা যুবলীগ সভা দিয়েছে। আমরা বিষয়টি জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতিকে অবহিত করি। তিনি এখানে কাউকে সভা না করার জন্য বলেন।
শ্রদ্ধেয় জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দৃষ্টি আকর্ষন করে কালু ভূঁইয়া বলেন, আপনাদের সামনে আমাদের কুলাঙ্গার ও ভূমিদস্যু বলা হয়েছে। আপনারা তাদেরকে কিছুই বলেন নাই। আমি এখনও জেলা যুবলীগের দায়িত্বে রয়েছি। আপনাদের কারনে যুবলীগে আজ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। আওয়ামীলীগ আমাদের ফাদার সংগঠন। আপনাদের আমরা সম্মান করি। আজকে কেন কাদা ছোরাছুড়ি? আর কোন নেতাকর্মীকে লাঞ্চিত হতে দেয়া হবে না। বিএনপি জামায়াত থেকে কারা আওয়ামীলীগে এসেছে। তাদেরকে চিহ্নিত করতে হবে। অনুপ্রবেশকারীদের ভিত শক্ত করতে এখন তারা এমপি ও মন্ত্রীদের ছবি দিয়ে বড় বড় বিল বোর্ড তৈরী করে ছড়িয়ে দিয়েছে। ফ্রিডম পার্টির নেতার আজ বিলবোর্ড শহর দখল করে আছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন। আপনাদের আশপাশ থেকে তাদেরকে সরিয়ে দিবেন। রাজরাজেশ্বরে কিসের উপর ভিত্তি করে সম্মেলন ছাড়া কমিটি গঠন করা হয়েছে। সকলে আপনাদের কাছে জানতে চায়। সাধারণ মানুষ বলছে টাকার বিনিময়ে নাকি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমরা আওয়ামীলীগ অফিসে কি আর যেতে পারব কিনা, তা জানাবেন। আর কারা কারা যেতে পারবে না প্রয়োজনে নাম প্রকাশ করে তালিকা টানিয়ে দিবেন। সংগঠনের মধ্যে নাম বা পদ না থাকলেও আমরা আওয়ামীলীগের সাথে থাকব। নৌকায় ভোট দেব। অনেক আওয়ামীলীগ নেতা আছে বিএনপি নেতাদের কাছ থেকে টাকা খেয়ে ইউসুফ গাজীকে ফেল করিয়েছেন। ২০০৮ সালে দীপু আপার নির্বাচন আওয়ামীলীগের অনেক বড় বড় নেতা করতে চান নি। আমরা সব সময় ¯্রােতের পক্ষেই ছিলাম। আওয়ামী যুবলীগ করেছে ¯্রােতের পক্ষেই থাকব। বঙ্গবন্ধুর সাথে খন্দকার মোস্তাক ও ছিলেন। এরূপ আপনাদের পাশেও খন্দকার মোস্তাকের চেয়ে ভয়াবহ লোক আছে। তাদের কে পরিহার করুন। এরাই অনুপ্রবেশকারী।
নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি যেহুতু যুবলীগ করি। তাই যুবলীগ ভাইদের প্রতি অনুরোধ করছি অনুপ্রবেশকারীদের থেকে সাবধান। সংগঠনের ২২ ধারায় বলা আছে সংগঠনের মধ্যে যারা দ্বিধা দ্বন্দ সৃষ্টি করে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য। সংগঠনের মধ্যে যারা দ্বিধা দ্বন্দ সৃষ্টি করছে শিঘ্রই তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। গত ১৪ নভেম্বর জেলা যুবলীগের নামে যারা সভা করেছে, আপনাদের কাছে প্রশ্ন তারা কোন যুবলীগ? যারা ক্যাসিনো, অবৈধ ব্যবসা, ভূমিদস্যু, মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত আছেন। তাদের কাছে অনুরোধ দেশে অনেক দল আছে তবে যুবলীগ করতে আইসেন না।
জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সালাউদ্দিন মোঃ বাবরের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মোঃ আবু পাটওয়ারী, সদস্য ঝন্টু দাস, সদর থানা যুবলীগের সাবেক সভাপতি মোঃ নাজমুল হোসেন পাটোয়ারী, জেলা যুবলীগ সদস্য চন্দ্র, বাদল উদ্দীন, সোহাগ পাটওয়ারী, ইকবাল, কচুয়া উপজেলার যুবলীগের সভাপতি ও মেয়র নাজমুল আলম স্বপন, হাইমচর উপজেলা যুবলীগের সদস্য হাবিবুর রহমান হাবুসহ জেলা, সদর, উপজেলা ও পৌরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের যুবলীগের নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, সর্বশেষ ২০১২ সালের ১৪ জুলাই বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ষষ্ঠ জাতীয় কংগ্রেসে চেয়ারম্যান পদে ওমর ফারুক চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক পদে মো. হারুনুর রশিদ নির্বাচিত হন। তবে সম্প্রতি ক্যাসিনো অভিযানে সবচেয়ে আলোচিত এই সংগঠনটির নতুন রূপ পেতে যাচ্ছে আগামী ২৩ নভেম্বর। এদিন আওয়ামী যুবলীগের জাতীয় কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হবে। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠেয় এই কংগ্রেসে প্রধান অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।