সিরিজের প্রথম ম্যাচে হেরে ব্যাকফুটে চলে যাওয়া ভারত পরপর দুই ম্যাচজিতে ২-১ ব্যবধানেট্রফি নিশ্চিত করে।
রোববার ভারতের নাগপুরের বিদর্ভ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করে স্বাগতিকরা।
প্রথমে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ১৭৪ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে স্বাগতিক ভারত। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬২ রান করেন স্রেয়াশ আয়ার। এছাড়া ৫২ রান করেন লোকেশ রাহুল।
১৭৫ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর তাড়া করতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে যায় বাংলাদেশ। দলীয় মাত্র ১২ রানে লিটন দাস ও সৌম্য সরকারের উইকেট হারিয়ে প্রাথমিক বিপর্যয়ে পড়ে যায় টাইগাররা।
সেই অবস্থা থেকে দলকে টেনে তুলেন তরুণ ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ নাইম শেখ। তৃতীয় উইকেটে মোহাম্মদ মিঠুনের সঙ্গে গড়েন ৯৮ রানের জুটি। তাদের জুটিতে জয়ের স্বপ্ন দেখতে থাকেন টাইগার সমর্থকরা।
এরপর খেই হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ দল। পরপর দুই বলে দুই উইকেট নেই। ২৯ বলে ২৭ রান করে দিপক চাহারের তৃতীয় শিকার মিঠুন। ব্যাটিংয়ে নেমে কিছু বুঝে ওঠার আগেই শিবম দুবের গতির বলে স্ট্যাম্প ভেঙে যায় মুশফিকুর রহিমের।
দিল্লিতে ৬০ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে বাংলাদেশকে জয় উপহার দেয়া মুশফিক আজ ফেরেন শূন্য রানে। তার বিদায়ে ১৩.১ ওভারে ১১০ রানে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
জয়ের জন্য শেষ ২৮ বলে প্রয়োজন ছিল ৪৯ রান। খেলার এমন অবস্থায় বিভ্রান্ত হন নাইম।ইনিংসের শুরু থেকে অসাধারণ ব্যাটিং করে যাওয়া এ ওপেনারেরস্ট্যাম্প ভেঙে যায় শিবম দুবের বলে। সাজঘরে ফেরার আগে ৪৮ বলে ১০টি চার ও দুই ছক্কায় ৮১ রান করেন।
এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে কিছু বুঝে ওঠার আগেইশিবম দুবের বলে ক্যাচ তুলে দেন আফিফ হোসেন। পরপর দুই উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে কার্যত ছিটকে যায় বাংলাদেশ।
ইনিংসের শেষ দিকেমাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও আমিনুল ইসলামরা বাড়তি দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে না পারায় শেষ পর্যন্ত ৩০ রানে হেরে যায় বাংলাদেশ।
ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেন দিপক চাহার। তিনি ৩.২ ওভারে মাত্র ৭ রান খরচায় ৬ উইকেট শিকার করেন।