ক্রীড়া ডেস্কঃ
ফেভারিট তকমা নিয়েই সিরিজ শুরু করে ভারত। কিন্তু সাকিব-তামিমহীন তারুণ্য নির্ভর বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেহেরে ব্যাকফুটে চলে যায় রোহিত শর্মারা। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৮উইকেটের বিশাল জয়ে সিরিজে ১-১ সমতায় ফিরল স্বাগতিক ভারত।
বৃহস্পতিবার রাজকোটের সৌরাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে উড়ন্ত সূচনা করে বাংলাদেশ। তরুণ ওপেনার মোহাম্মদ নাইমকে সঙ্গে নিয়ে ৬০ রানের জুটি গড়েন লিটন দাস। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পতনের কারণে শেষ পর্যন্ত ১৫৩ রান করতে সক্ষম হয় টাইগাররা।
বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেন ওপেনার নাইম। এছাড়া ৩০ রান করে করেন সৌম্য সরকার ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
১৫৪ রানের সহজ টার্গেট তাড়া করতে নেমে ২৬ বল হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে ভারত। দলের জয়ে সর্বোচ্চ ৮৫ রান করেন রোহিত শর্মা। এছাড়া ৩১ রান করেন শেখর ধাওয়ান। ২৪ রানে অপরাজিত থেকে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন স্রেয়াশ আয়ার।
এদিকে টাইগারদের দিল্লি জয়ের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজ জেতার স্বপ্ন জাগিয়েছিলেন দুই ওপেনার নাইমও লিটন। ৬০ রানের অনবদ্য জুটির পর একসময় মনে হয়েছিল বাংলাদেশের রান দু’শো ছুঁয়ে ফেলতে পারে। কিন্তু মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় শেষ পর্যন্ত ১৫৩ রানেই সন্তুষ্ট থাকতে হয় বাংলাদেশকে।
ভারতের মতো ব্যাটিং শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে ১৫৪ রান খুব বেশি নয়; তারপরও আশা ছিল। প্রথম ১০ ওভারে টপ অর্ডারের কয়েকজন ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফিরিয়ে রানের চাকাটা সচল হতে না দিলে সিরিজ জয় অসম্ভব কিছু না। কিন্তু রোহিত-ধাওয়ানের অনবদ্য ব্যাটিং আর বাংলাদেশ দলের কিছু মিস ফিল্ডিং এ সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেয়।
যদিও দিনশেষে সান্তনা বাংলাদেশি তরুণ লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লবের বোলিং। তারকারণেই সেঞ্চুরি মিস হলো রোহিত শর্মার। ভারত সেরা এ ওপেনার অনবদ্য ব্যাটিং করে সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন।কিন্তু আমিনুলের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হওয়ার কারণে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরিমিস করেন রোহিত।
বাংলাদেশ দলের তরুণ লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লব ৪ ওভারে ২৯ রানে ভারতেরদুই ওপেনারশেখর ধাওয়ান ও রোহিত শর্মাকে সাজঘরে ফেরান।