বিনম্র শ্রদ্ধাঃ জাতীয় চার নেতা 

  • আপডেট: ০৪:৩৫:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ নভেম্বর ২০১৯
  • ৩০
সুদীপ চন্দ্র হালদার
৩ নভেম্বর, ১৯৭৫; বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম কলঙ্কময় দিন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে ১৯৭৫ সালের ১৫ ই  আগষ্ট সপরিবারে হত্যাকান্ডেরই ধারাবাহিকতায় এই দিনে হত্যা করা হয় বাঙালি জাতির চার সূর্যসন্তান সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমদ, এম মনসুর আলী এবং এএইচএম কামরুজ্জামানকে।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নেমে আসে এক ঘোর অমানিশা। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীদের সামনে তখন দুটি পথ খোলা ছিল; বিশ্বাসঘাতক মোস্তাকের শিখন্ডি সরকারকে সমর্থন দান নতুবা জেলে যাওয়া, নির্যাতিত হওয়া। সেই ঘোর  অমানিশার সময় কেউ কেউ বিশ্বাসঘাতক মোস্তাককে সমর্থন করেছিলেন, কেউ কেউ রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছিলেন আর আপোষহীন আদর্শবাদী নেতৃবৃন্দ ছিলেন জেলে, সেই সূত্রেই বঙ্গবন্ধুর বিশ্বস্ত জাতীয় চার নেতাও কারাগারের প্রকোষ্ঠে ছিলেন।
১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর মধ্য রাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে একটি পিকআপ এসে থামে। রাত তখন আনুমানিক দেড়টা থেকে দুইটা। ঢাকা তখন অস্থিরতার এক নগরী; সকালে এক রকম পরিস্থিতি তো বিকালে আরেক রকম পরিস্থিতি।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন আমিনুর রহমান,  রাত দেড়টার দিকে কারা মহাপরিদর্শক জনাব নুরুজ্জামান হাওলাদার তাকে ফোন করে ডাকলেন।  তিনি দ্রুত চলে এসেছিলেন এবং কারাগারের ফটকে এসেই দেখলেন মুসলেহ উদ্দিনের নেতৃত্বে সেনা সদস্যরা অপেক্ষা করছে। আমিনুর রহমান ভিতরে তার কক্ষে গেলেন,  কিছুক্ষনের মধ্যেই ফোন এসেছিল এবং অপর প্রান্ত থেকে বলা হল কারা মহাপরিদর্শকের সাথে প্রেসিডেন্ট কথা বলবেন। তিনি দৌড়ে গিয়ে কারা মহাপরিদর্শককে জানালেন। আমিনুর রহমান একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন,”টেলিফোনে বলা হলো প্রেসিডেন্ট কথা বলবে আইজি সাহেবের সাথে।  তখন আমি দৌড়ে গিয়ে আইজি সাহেবকে খবর দিলাম। কথা শেষে আইজি সাহেব বললেন যে প্রেসিডেন্ট সাহেব ফোনে বলছে আর্মি অফিসাররা যা চায়, সেটা তোমরা কর।”
কারা মহাপরিদর্শকের কাছে মুসলেহ উদ্দিন চার জনের নাম দিয়ে তাদেঁরকে এক কক্ষে আনতে বলল এবং তাদেঁরকে হত্যা করা হবে-এটা সরাসরি জানাল। হত্যা করা হবে এমন কথা শুনে কারা মহাপরিদর্শক জনাব নুরুজ্জামান হাওলাদার, উপ কারা মহাপরিদর্শক কাজী আবদুল আউয়াল,  জেলার আমিনুর রহমান সকলেই কিংকর্তবব্যবিমূঢ় হয়ে গেলেন। কিন্তু সেনা সদস্যদের অস্ত্রের নল এবং প্রেসিডেন্ট এর নির্দেশনার পরে তাদের হাতে আর তেমন কিছুই ছিল না।
সুদীপ চন্দ্র হালদার
দ্রুততম সময়ে  জাতীয় চার নেতাকে এক কক্ষে আনতে সেনাসদস্যরা তাড়া দিচ্ছিল কারা কর্মকর্তাদের। সৈয়দ নজরুল ইসলাম এবং তাজউদ্দিন আহমদ কারাগারে একই সেলে ছিলেন। এম মনসুর আলী এবং এএইচএম কামরুজ্জামান অন্য সেলে ছিলেন। তাজউদ্দিন আহমদ তখন পবিত্র ধর্মগ্রন্থ পাঠ করছিলেন, তাঁকে বলা মাত্রই চলে আসলেন,  সৈয়দ নজরুল ইসলাম চোখে মুখে পানি দিয়েই বেরিয়ে আসলেন। এম মনসুর আলী পোশাক পরিবর্তন করে নিলেন। চার জনকে এক কক্ষে একত্রিত করা মাত্রই গুলি করা হল; লুটিয়ে পড়লেন বাঙালি জাতির চার মহানায়ক।  তাজউদ্দিন আহমদ বাদে বাকি তিনজনই তাৎক্ষনিকভাবে মৃত্যুবরন করলেন। তাজউদ্দিন আহমদের  পা ও উরুতে গুলি লেগেছিল, তিনি করুন কন্ঠে পানি পানি বলে আর্তনাদ করেছিলেন, কিন্তু তাঁকে পানি দেওয়া হয়নি।
দীর্ঘ সময় পরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরনে বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী    তাজউদ্দিন আহমদ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
৩ তারিখ সারাদিন তাজউদ্দিন আহমদ এর পরিবারের লোকজন খোজ নিয়েও নিশ্চিত হতে পারলেন না-কী ঘটেছে।  পরের দিন, ৪ নভেম্বর, বিকাল চারটায়  বলা হল জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। উপ কারা মহাপরিদর্শক কাজী আবদুল আউয়াল লালবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। উল্লেখ্য, কাজী আউয়াল সাহেবই একমাত্র ব্যক্তিত্ব যিনি ঘটনা শুরুর দিকে খুনিদের প্রতিহত করার চেষ্টা করেন, খানিকটা তর্ক-বিতর্ক  করেছিলেন। দীর্ঘ ২১ বছর পর বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করে জাতীয় চার নেতা হত্যাকান্ডের বিচারের পথ সুগম করেছিলেন।
বিশ্বাসঘাতক মোস্তাককে  বঙ্গভবনে চালাচ্ছিলেন বঙ্গবন্ধুকে হত্যাকারী ছয় জন জুনিয়র সেনা কর্মকর্তা।  ক্যান্টনমেন্টের সেনা কর্মকর্তাদের সাথে তাদের দূরত্ব ক্রমশ বাড়ছিল। আবার, ক্যান্টনমেন্টের সিনিয়র সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যেও চলছিল  ক্ষমতার দ্বন্দ্ব ; এক পক্ষে জিয়াউর রহমান এবং অন্যপক্ষে  খালেদ মোশাররফ।  খালেদ মোশাররফ বঙ্গবন্ধুকে হত্যাকারী ছয় জুনিয়র সেনা কর্মকর্তাকে চেইন অব কমান্ড এর আওতায় যাওয়ায় জন্য তাগাদা দিচ্ছিলেন। অনুমান করা হয়ে থাকে খালেদ মোশাররফ বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ড মেনে নিতে পারেননি।
অনেকেই তখন হিসাব কষছিলেন বিশ্বাসঘাতক মোস্তাকের শিখন্ডী সরকার বেশি দিন টিকবে না; যেকোন সময় পাল্টা অভ্যুত্থান হতে পারে, আর পাল্টা অভ্যুত্থান হলে সেটি বঙ্গবন্ধুর অনুসারী তথা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর পক্ষে যাবে। আওয়ামী লীগের পক্ষে গেলে  সেটির নেতৃত্ব দেবেন জাতীয় চার নেতা এবং এটি তখন রাজনৈতিক সমর্থন পেয়ে যাবে। আর তাই অভ্যুত্থান হলেও যাতে সেটি রাজনৈতিক সমর্থন না পায় এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যেন নেতৃত্ব শুন্য থাকে, সেই নেতিবাচক কুপরিকল্পনা থেকেই জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়-হত্যা করা হয় ইতিহাসের সমস্ত নিয়ম নীতি লঙ্ঘন করে জেলের  মধ্যে নির্মম ভাবে মুক্তিযুদ্ধকালীন মুজিবনগর সরকারের চার মহান বীরকে।
ইতিহাসের আলোয় উদ্ভাসিত হয়ে চিরকাল সূর্যসম দেদীপ্যমান থাকবেন জাতীয় চার নেতা। মৃত্যুবার্ষিকীতে বিনম্র শ্রদ্ধা।
লেখকঃ রাজনৈতিক কর্মী
ইমেইলঃ sudipnipan@yahoo.com
Tag :
সর্বাধিক পঠিত

যে কারণে পুরুষে ৪টি বিয়ের পক্ষে হীরা সুমরো

বিনম্র শ্রদ্ধাঃ জাতীয় চার নেতা 

আপডেট: ০৪:৩৫:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ নভেম্বর ২০১৯
সুদীপ চন্দ্র হালদার
৩ নভেম্বর, ১৯৭৫; বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম কলঙ্কময় দিন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে ১৯৭৫ সালের ১৫ ই  আগষ্ট সপরিবারে হত্যাকান্ডেরই ধারাবাহিকতায় এই দিনে হত্যা করা হয় বাঙালি জাতির চার সূর্যসন্তান সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমদ, এম মনসুর আলী এবং এএইচএম কামরুজ্জামানকে।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নেমে আসে এক ঘোর অমানিশা। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীদের সামনে তখন দুটি পথ খোলা ছিল; বিশ্বাসঘাতক মোস্তাকের শিখন্ডি সরকারকে সমর্থন দান নতুবা জেলে যাওয়া, নির্যাতিত হওয়া। সেই ঘোর  অমানিশার সময় কেউ কেউ বিশ্বাসঘাতক মোস্তাককে সমর্থন করেছিলেন, কেউ কেউ রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছিলেন আর আপোষহীন আদর্শবাদী নেতৃবৃন্দ ছিলেন জেলে, সেই সূত্রেই বঙ্গবন্ধুর বিশ্বস্ত জাতীয় চার নেতাও কারাগারের প্রকোষ্ঠে ছিলেন।
১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর মধ্য রাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে একটি পিকআপ এসে থামে। রাত তখন আনুমানিক দেড়টা থেকে দুইটা। ঢাকা তখন অস্থিরতার এক নগরী; সকালে এক রকম পরিস্থিতি তো বিকালে আরেক রকম পরিস্থিতি।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন আমিনুর রহমান,  রাত দেড়টার দিকে কারা মহাপরিদর্শক জনাব নুরুজ্জামান হাওলাদার তাকে ফোন করে ডাকলেন।  তিনি দ্রুত চলে এসেছিলেন এবং কারাগারের ফটকে এসেই দেখলেন মুসলেহ উদ্দিনের নেতৃত্বে সেনা সদস্যরা অপেক্ষা করছে। আমিনুর রহমান ভিতরে তার কক্ষে গেলেন,  কিছুক্ষনের মধ্যেই ফোন এসেছিল এবং অপর প্রান্ত থেকে বলা হল কারা মহাপরিদর্শকের সাথে প্রেসিডেন্ট কথা বলবেন। তিনি দৌড়ে গিয়ে কারা মহাপরিদর্শককে জানালেন। আমিনুর রহমান একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন,”টেলিফোনে বলা হলো প্রেসিডেন্ট কথা বলবে আইজি সাহেবের সাথে।  তখন আমি দৌড়ে গিয়ে আইজি সাহেবকে খবর দিলাম। কথা শেষে আইজি সাহেব বললেন যে প্রেসিডেন্ট সাহেব ফোনে বলছে আর্মি অফিসাররা যা চায়, সেটা তোমরা কর।”
কারা মহাপরিদর্শকের কাছে মুসলেহ উদ্দিন চার জনের নাম দিয়ে তাদেঁরকে এক কক্ষে আনতে বলল এবং তাদেঁরকে হত্যা করা হবে-এটা সরাসরি জানাল। হত্যা করা হবে এমন কথা শুনে কারা মহাপরিদর্শক জনাব নুরুজ্জামান হাওলাদার, উপ কারা মহাপরিদর্শক কাজী আবদুল আউয়াল,  জেলার আমিনুর রহমান সকলেই কিংকর্তবব্যবিমূঢ় হয়ে গেলেন। কিন্তু সেনা সদস্যদের অস্ত্রের নল এবং প্রেসিডেন্ট এর নির্দেশনার পরে তাদের হাতে আর তেমন কিছুই ছিল না।
সুদীপ চন্দ্র হালদার
দ্রুততম সময়ে  জাতীয় চার নেতাকে এক কক্ষে আনতে সেনাসদস্যরা তাড়া দিচ্ছিল কারা কর্মকর্তাদের। সৈয়দ নজরুল ইসলাম এবং তাজউদ্দিন আহমদ কারাগারে একই সেলে ছিলেন। এম মনসুর আলী এবং এএইচএম কামরুজ্জামান অন্য সেলে ছিলেন। তাজউদ্দিন আহমদ তখন পবিত্র ধর্মগ্রন্থ পাঠ করছিলেন, তাঁকে বলা মাত্রই চলে আসলেন,  সৈয়দ নজরুল ইসলাম চোখে মুখে পানি দিয়েই বেরিয়ে আসলেন। এম মনসুর আলী পোশাক পরিবর্তন করে নিলেন। চার জনকে এক কক্ষে একত্রিত করা মাত্রই গুলি করা হল; লুটিয়ে পড়লেন বাঙালি জাতির চার মহানায়ক।  তাজউদ্দিন আহমদ বাদে বাকি তিনজনই তাৎক্ষনিকভাবে মৃত্যুবরন করলেন। তাজউদ্দিন আহমদের  পা ও উরুতে গুলি লেগেছিল, তিনি করুন কন্ঠে পানি পানি বলে আর্তনাদ করেছিলেন, কিন্তু তাঁকে পানি দেওয়া হয়নি।
দীর্ঘ সময় পরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরনে বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী    তাজউদ্দিন আহমদ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
৩ তারিখ সারাদিন তাজউদ্দিন আহমদ এর পরিবারের লোকজন খোজ নিয়েও নিশ্চিত হতে পারলেন না-কী ঘটেছে।  পরের দিন, ৪ নভেম্বর, বিকাল চারটায়  বলা হল জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। উপ কারা মহাপরিদর্শক কাজী আবদুল আউয়াল লালবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। উল্লেখ্য, কাজী আউয়াল সাহেবই একমাত্র ব্যক্তিত্ব যিনি ঘটনা শুরুর দিকে খুনিদের প্রতিহত করার চেষ্টা করেন, খানিকটা তর্ক-বিতর্ক  করেছিলেন। দীর্ঘ ২১ বছর পর বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করে জাতীয় চার নেতা হত্যাকান্ডের বিচারের পথ সুগম করেছিলেন।
বিশ্বাসঘাতক মোস্তাককে  বঙ্গভবনে চালাচ্ছিলেন বঙ্গবন্ধুকে হত্যাকারী ছয় জন জুনিয়র সেনা কর্মকর্তা।  ক্যান্টনমেন্টের সেনা কর্মকর্তাদের সাথে তাদের দূরত্ব ক্রমশ বাড়ছিল। আবার, ক্যান্টনমেন্টের সিনিয়র সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যেও চলছিল  ক্ষমতার দ্বন্দ্ব ; এক পক্ষে জিয়াউর রহমান এবং অন্যপক্ষে  খালেদ মোশাররফ।  খালেদ মোশাররফ বঙ্গবন্ধুকে হত্যাকারী ছয় জুনিয়র সেনা কর্মকর্তাকে চেইন অব কমান্ড এর আওতায় যাওয়ায় জন্য তাগাদা দিচ্ছিলেন। অনুমান করা হয়ে থাকে খালেদ মোশাররফ বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ড মেনে নিতে পারেননি।
অনেকেই তখন হিসাব কষছিলেন বিশ্বাসঘাতক মোস্তাকের শিখন্ডী সরকার বেশি দিন টিকবে না; যেকোন সময় পাল্টা অভ্যুত্থান হতে পারে, আর পাল্টা অভ্যুত্থান হলে সেটি বঙ্গবন্ধুর অনুসারী তথা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর পক্ষে যাবে। আওয়ামী লীগের পক্ষে গেলে  সেটির নেতৃত্ব দেবেন জাতীয় চার নেতা এবং এটি তখন রাজনৈতিক সমর্থন পেয়ে যাবে। আর তাই অভ্যুত্থান হলেও যাতে সেটি রাজনৈতিক সমর্থন না পায় এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যেন নেতৃত্ব শুন্য থাকে, সেই নেতিবাচক কুপরিকল্পনা থেকেই জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়-হত্যা করা হয় ইতিহাসের সমস্ত নিয়ম নীতি লঙ্ঘন করে জেলের  মধ্যে নির্মম ভাবে মুক্তিযুদ্ধকালীন মুজিবনগর সরকারের চার মহান বীরকে।
ইতিহাসের আলোয় উদ্ভাসিত হয়ে চিরকাল সূর্যসম দেদীপ্যমান থাকবেন জাতীয় চার নেতা। মৃত্যুবার্ষিকীতে বিনম্র শ্রদ্ধা।
লেখকঃ রাজনৈতিক কর্মী
ইমেইলঃ sudipnipan@yahoo.com