notunerkotha.com
বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বকালের সেরা খেলোয়াড় তিনি নিঃসন্দেহে। ‘হাঁটি হাঁটি পা পা’ থেকে বাংলাদেশ দল যে আজ বিশ্বমঞ্চে দৌড়ানোর স্বপ্ন দেখে সেটা তার হাত ধরেই। বাংলাদেশ এযাবতকালে যতগুলো ম্যাচ জিতেছে তার অর্ধেকের বেশি ম্যাচে ছিল তার প্রত্যক্ষ ভূমিকা। বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি ম্যাচে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতা তিনি। তবে সাকিব আল হাসানের শূন্যতা ছিল এক জায়গায়। বিশ্বকাপে ছিল না তেমন কোনো দাপুটে পারফরম্যান্স। ছিল না ম্যাচ সেরার পুরস্কার। গতকাল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচে ব্যাটে-বলে নিজের সেরাটা দিয়ে সেই শূণ্যতাও পুষিয়ে নিলেন নবাব।
এর আগে বিশ্বমঞ্চে মোট ২১টি ম্যাচ খেললেও কোন ম্যাচ সেরার পুরষ্কার জেতেননি ওয়ানডেতে ১৯ বার ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ জেতা সাকিব। সেই আক্ষেপ ঘোচানোর জন্য যে এবার দারুণ পরিশ্রম করেছেন তা জানিয়েছেন আগেই। পরিশ্রমের ফল পেয়েছেন আয়ারল্যান্ড সিরিজেই। বিশ্বকাপে এসেও তার ধারা অব্যাহত।
গতকাল ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং তিন ডিপার্টমেন্টেই দুর্দান্ত ছিলেন সাকিব। যেন মনে হচ্ছিল সেই ২০০৮-০৯ সালের ২০/২১ বছর বয়সী সাকিব নেমেছেন মাঠে। ব্যাট হাতে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে উপহার দিলেন বাংলাদেশের বিশ্বকাপের সেরা জুটি। ৮৪ বলে আট চার ও এক ছক্কায় খেললেন ৭৫ রানের ঝলমলে এক ইনিংস।
আঁটসাঁট বোলিংয়ে সাকিব বেঁধে রেখেছিলেন ব্যাটসম্যানদের। দারুণ এক ডেলিভারিতে এইডেন মারক্রামকে বিদায় করে ভাঙেন বিপজ্জনক হয়ে ওঠা জুটি। সৌম্য সরকার ক্যাচ হাতছাড়া না করলে পেতে পারতেন ডেভিড মিলারের উইকেট। শেষ পর্যন্ত ১০ ওভারে ৫০ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট।
ফিল্ডিংয়েও সাকিব ছিলেন দারুণ। সাইফুদ্দিনের বলে ঝাঁপিয়ে পড়ে লুফে নেন আন্দিলে ফেলুকোয়ায়োর ক্যাচ।
এবারের বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে ২১ রানে জয়লাভ করে বিশ্বকাপ অভিযান দারুনভাবে শুরু করল টিম টাইগার্স। আর তাতে সবচেয়ে বড় অবদান রাখলেন দেশের সেরা খেলোয়াড়টিই। পুরো বিশ্বকাপেই যে তার দিকে তাকিয়ে থাকবে পুরো দেশ।