মেঘনায় মা’ ইলিশ শিকারের দায়ে ২৩ জেলের কারাদন্ড

  • আপডেট: ১২:৩৭:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০১৯
  • ৩৮

চাঁদপুর, ১২ অক্টোবর, শনিবার॥
চাঁদপুরের মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় মা ইলিশ শিকারের দায়ে ২৩ জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দিয়েছে পৃথক দু’টি ভ্রাম্যমান আদালত। এদের মধ্যে ৭জনকে শুক্রবার সন্ধ্যায় কারাদন্ড প্রদান করেন, ভ্রাম্যমান আদালতের হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌসি বেগম ও মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার।
শনিবার সকালে হাইমচরে আটক জেলেদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফেরদৌসি বেগম। তিনি ৬ জেলেকে ১ বছর করে কারাদন্ড প্রদান করেন।

এর আগে শুক্রবার রাতে মতলব উত্তর উপজেলায় আটক হয় ১০ জেলে। মতলব উত্তরে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমিন আক্তার। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩টি নৌকা ও ৬০ হাজার মিটার কারেন্টজাল জব্দ করা হয়।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কন্ট্রোল রুম থেকে জানানো হয়, শুক্রবার গভীর রাতে মতলব উত্তর উপজেলার মেঘনা নদীর ষাটনল ও মোহনপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১০ জেলেকে আটক করা হয়। তাদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড প্রদান করা হয়।

কারাদন্ডপ্রাপ্তরা হলেন-শাকিল (২২), মো. শিপন (১৯), আ. রহিম (৪০), মো. সাগর হোসেন (২৪), মীর হোসেন (১৮), মো. নাছির উদ্দিন (২২), মো. বাবু (২০), নজরুল ইসলাম (২৮), মো. মাসুদ (৩০) ও মো. দুলাল (২৫)।

এ ছাড়া হাইমচর উপজেলার নীলকমল ইউনিয়নের ইশানবালা এলাকায় শুক্রবার গভীর রাত থেকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে মেঘনা নদীতে মা ইলিশ আহরণ করে পালিয়ে যাওয়ার সময় ৬ জেলেকে আটক করা হয় । এ সময় টাস্কফোর্স ১৫০ কেজি মা ইলিশ ও ২টি মাছ ধরা নৌকা জব্দ করে।

হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফেরদৌসি বেগম আটক ৬ জেলেকে ১ বছর করে কারাদন্ড প্রদান করেন।
কারাদন্ডপ্রাপ্ত জেলেরা হলেন-হাইমচর উপজেলার মজিবর রাঢ়ী (৪৫) ও মো. সাইফুল ইসলাম (২০),সদর উপজেলার আক্কাছ আলী খান (৪২), মো: সুমন খান (৩৫), মো. আরিফ (২০) ও মো. রিপন গাজী(১৮)।

ইউএনও শারমিন আক্তার বলেন, নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সময়ে ইলিশ আহরণ, বেচাকেনা, পরিবহন ও মজুুদ সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। আমরা দিনরাত নদীতে অভিযান পরিচালনা করছি। জাতীয় সম্পদ যারা বিনষ্ট করবে তারা দেশের শত্রু। তাদের কোন ছাড় দেয়া হবে না। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কেউ নদীতে নামলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রতিদিন আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আসাদুল বাকি জানান, দুই উপজেলায় কারাদন্ড প্রাপ্ত জেলেদের শনিবার সকাল ১১টায় চাঁদপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। অভয়াশ্রম এলাকায় জেলা উপজেলা টাস্কফোসের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

অপরদিকে,চাঁদপুরের মতলব উত্তর ও হাইমচরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মেঘনা নদীতে মা ইলিশ শিকার করায় ৭ জেলেকে পৃথক ভ্রাম্যমান আদালতে ১ বছর করে কারাদন্ড প্রদান করা হয়। এ সময় সুমন মোল্লা (১৭) নামে কিশোরকে বয়স কম হওয়ায় ৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।
শুক্রবার সন্ধ্যায় পৃথক ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌসি বেগম ও মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার।

কারাদন্ড প্রাপ্ত জেলেরা হচ্ছেন- হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী এলাকার কাসেম পাটওয়ারী,কাসেম মোল্লা ও মতলব উত্তরে আটক মুন্সিগঞ্জ জেলার সাইদ হোসেন, মেহেদী হাসান, মো. ইউসুফ মোল্লা, নবী হোসেন ও হযরত আলী।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

হাজীগঞ্জে ৯ কিশোর গ্যাং আটক

মেঘনায় মা’ ইলিশ শিকারের দায়ে ২৩ জেলের কারাদন্ড

আপডেট: ১২:৩৭:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০১৯

চাঁদপুর, ১২ অক্টোবর, শনিবার॥
চাঁদপুরের মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় মা ইলিশ শিকারের দায়ে ২৩ জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দিয়েছে পৃথক দু’টি ভ্রাম্যমান আদালত। এদের মধ্যে ৭জনকে শুক্রবার সন্ধ্যায় কারাদন্ড প্রদান করেন, ভ্রাম্যমান আদালতের হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌসি বেগম ও মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার।
শনিবার সকালে হাইমচরে আটক জেলেদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফেরদৌসি বেগম। তিনি ৬ জেলেকে ১ বছর করে কারাদন্ড প্রদান করেন।

এর আগে শুক্রবার রাতে মতলব উত্তর উপজেলায় আটক হয় ১০ জেলে। মতলব উত্তরে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমিন আক্তার। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩টি নৌকা ও ৬০ হাজার মিটার কারেন্টজাল জব্দ করা হয়।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কন্ট্রোল রুম থেকে জানানো হয়, শুক্রবার গভীর রাতে মতলব উত্তর উপজেলার মেঘনা নদীর ষাটনল ও মোহনপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১০ জেলেকে আটক করা হয়। তাদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড প্রদান করা হয়।

কারাদন্ডপ্রাপ্তরা হলেন-শাকিল (২২), মো. শিপন (১৯), আ. রহিম (৪০), মো. সাগর হোসেন (২৪), মীর হোসেন (১৮), মো. নাছির উদ্দিন (২২), মো. বাবু (২০), নজরুল ইসলাম (২৮), মো. মাসুদ (৩০) ও মো. দুলাল (২৫)।

এ ছাড়া হাইমচর উপজেলার নীলকমল ইউনিয়নের ইশানবালা এলাকায় শুক্রবার গভীর রাত থেকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে মেঘনা নদীতে মা ইলিশ আহরণ করে পালিয়ে যাওয়ার সময় ৬ জেলেকে আটক করা হয় । এ সময় টাস্কফোর্স ১৫০ কেজি মা ইলিশ ও ২টি মাছ ধরা নৌকা জব্দ করে।

হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফেরদৌসি বেগম আটক ৬ জেলেকে ১ বছর করে কারাদন্ড প্রদান করেন।
কারাদন্ডপ্রাপ্ত জেলেরা হলেন-হাইমচর উপজেলার মজিবর রাঢ়ী (৪৫) ও মো. সাইফুল ইসলাম (২০),সদর উপজেলার আক্কাছ আলী খান (৪২), মো: সুমন খান (৩৫), মো. আরিফ (২০) ও মো. রিপন গাজী(১৮)।

ইউএনও শারমিন আক্তার বলেন, নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সময়ে ইলিশ আহরণ, বেচাকেনা, পরিবহন ও মজুুদ সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। আমরা দিনরাত নদীতে অভিযান পরিচালনা করছি। জাতীয় সম্পদ যারা বিনষ্ট করবে তারা দেশের শত্রু। তাদের কোন ছাড় দেয়া হবে না। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কেউ নদীতে নামলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রতিদিন আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আসাদুল বাকি জানান, দুই উপজেলায় কারাদন্ড প্রাপ্ত জেলেদের শনিবার সকাল ১১টায় চাঁদপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। অভয়াশ্রম এলাকায় জেলা উপজেলা টাস্কফোসের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

অপরদিকে,চাঁদপুরের মতলব উত্তর ও হাইমচরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মেঘনা নদীতে মা ইলিশ শিকার করায় ৭ জেলেকে পৃথক ভ্রাম্যমান আদালতে ১ বছর করে কারাদন্ড প্রদান করা হয়। এ সময় সুমন মোল্লা (১৭) নামে কিশোরকে বয়স কম হওয়ায় ৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।
শুক্রবার সন্ধ্যায় পৃথক ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌসি বেগম ও মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার।

কারাদন্ড প্রাপ্ত জেলেরা হচ্ছেন- হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী এলাকার কাসেম পাটওয়ারী,কাসেম মোল্লা ও মতলব উত্তরে আটক মুন্সিগঞ্জ জেলার সাইদ হোসেন, মেহেদী হাসান, মো. ইউসুফ মোল্লা, নবী হোসেন ও হযরত আলী।