মোঃ জামাল হোসেনঃ
শাহরাস্তিতে শারদীয় দূর্গা উৎসব বির্সজনের পূর্বে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব।
উৎসবমুখর পরিবেশে ৮ অক্টোবর পূজারীদের বিকেলে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে তারা তাদের প্রিয় দেবী দুর্গা প্রতিমার বিসর্জন পর্ব শেষ করেন। এর মাধ্যমে শেষ হলো সনাতন ধর্মাবলম্বী হিন্দু সমপ্রদায়ের ৫ দিনব্যাপী শারদীয় দুর্গোৎসব।
এদিন সকালে দশমী বিহিত পূজা শেষে দেবীর বিসর্জন পর্ব শেষ হয়। ধর্মীয় বিশ্বাস মতে দেবী তাঁর স্বামীর গৃহ কৈলাশে ফিরে যান ঘোড়ায় চড়ে। দেবীর বিদায় পর্বের সকালে ভক্তহৃদয়ে নেমে আসে বিষাদের সুর।
বিদায় পর্বে ছোট-বড় সকল বয়সের নারী ভক্তি-শ্রদ্ধা সহকারে তেল, সিঁদুর পরিয়ে দেবী দুর্গাকে রাঙিয়ে দেন শেষবারের মতো। তখন অনেক নারীর চোখের কোণ ভরে উঠে অশ্রুতে। এ যে জগৎ জননী মা দুর্গা, আবার ফিরে আসবেন একটি বছর পর, তখন হয়তো অনেকেই থাকবেন না, চলে যেতে হবে মায়াময় সংসারের মায়া ত্যাগ করে।
এ চিন্তা-চেতনা থেকে তারা মায়ের চরণে শেষবারের মতো আবারো প্রার্থনা করেন তাদের সংসারের সুখ-শান্তিসহ আরোগ্য কামনায়। নারীদের তেল, সিদুঁর পরিয়ে দেয়ার দৃশ্য চোখে পড়ে প্রতিটি পূজা মন্ডপে। বিকেলে চোখে পড়ে খড়-মাটি দিয়ে গড়া দেবী প্রতিমার কাঠামো বিসর্জনের প্রস্ততি। শাহ্রাস্তি পৌর শহরে বিকেলে আনন্দ-উৎসাহের মধ্য দিয়ে শত শত নারী-পুরুষ-শিশু-কিশোরসহ সববয়সী মানুষের উপস্থিতিতে শুরু হয় বিসর্জন পর্ব।
বিসর্জন পর্বে বের করা হয় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রায় শহরের মেহের কালীবাড়ী, পালপাড়া পূজা মন্ডপ, বর্ধন বাড়ী পূজা মন্ডপ, ছিখুটিয়া ঠাকুর বাড়ী পূজা মন্ডপ, গর্ন্ধব্যপুর পূজা মন্ডপ সহ মোট ৫টি পূজা মন্ডপের ভক্তবৃন্দ অংশ নেয়। তারা প্রতিমা সহকারে উপজেলার প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ডাকাতিয়া নদি ছিখুটিয়া ব্রিজ সংলগ্ন নদীতে প্রতিমা বিসর্জন পর্ব শেষ করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ফরিদ উল্যাহ চৌধুরী, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ কামরুজ্জামান মিন্টু, পৌর মেয়র হাজী আব্দুল লতিফ, শাহ্রাস্তি থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহ্ আলম, উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জেডএম আনোয়ার, উপজেলা পূজা উদ্যাপন কমিটির ভার প্রাপ্ত সভাপতি নিখিল চন্দ্র মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক অমৃত মজুমদার টুটুন সহ বিভিন্ন পূজা মন্ডপের সভাপতি ও সম্পাদক সহ ভক্তবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।